Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিধবার পরিবার

কোর্টে ছিনতাই ও অপহরণ মামলা

প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : মির্জাপুরে বসতবাড়ি দখল করতে নিরীহ এক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে মামলায় গ্রেফতারের ভয়ে নিরীহ ওই দরিদ্র পরিবারের সদস্যরা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। জানা গেছে, মির্জাপুর পৌরসভার বাওয়ার কুমারজানী মৌজার মির্জাপুর মহিলা কলেজের পূর্বপাশের ৪৩৮ দাগে সরকারি খাস জমির উপর দীর্ঘদিন ধরে ঘর তুলে ভূমিহীন বিধবা রশিয়া বেওয়া তার ছেলে-মেয়েদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু মির্জাপুর থানা রোডের বাসিন্দা মো. আ. কাদের ও তার লোকজনের ওই জমির উপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। ভূমিহীন রশিয়া বেওয়ার একমাত্র আশ্রয় তার জমিটুকু দখল করে নেয়ার জন্য আ. কাদের গং নানাভাবে ভয়-ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার দখল করার চেষ্টা চালায়। এ ব্যাপারে রশিয়া বেওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুদ আহমেদের নিকট এবং মির্জাপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। অপরদিকে দখলবাজ আ. কাদের নিরীহ ওই পরিবারের বসতবাড়ি একাধিকবার দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে বিধবা রশিয়া বেওয়ার ছেলে হান্নান বেপারী মেয়ের জামাই শফিক বেপারী ও বোনের ছেলে জাহাঙ্গীর বেপারীর নামে টাঙ্গাইল কোর্টে ছিনতাই ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলার ভয়ে নিরীহ পরিবারটির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে বিধবা রশিয়া বেওয়া জানান, মানুষের বাড়িতে কাজ শেষে রাতে ছেলে-মেয়ে নিয়ে ওই আশ্রয়টুকুতে ঘুমাই। আ. কাদের গংরা এখন এই আশ্রয়টুকু দখল করতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় নায়েব অফিসকে সরেজমিনে তদন্ত করে ওই জমির ব্যাপারে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বসতভিটা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিধবার পরিবার
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ