Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হলি আর্টিজানের খাঁড়া এডিপিতে -পরিকল্পনামন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এবার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়ন শতভাগ হবে না স্বীকার করে সেজন্য হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। বরাবরই শেষ সময়ে এডিপি কাটছাঁট করা হয়। তবে মন্ত্রী মুস্তফা কামাল এবার শতভাগ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়ে এলেও গতকাল তা থেকে পিছু হটার কথা জানান। নিজের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে বিদেশিদের উপর হামলার পর প্রায় সব বিদেশি চলে গিয়েছিল। এরপর সরকার নানা উদ্যোগ নিয়ে তাদের ফিরিয়ে আনলেও বেশ কয়েক মাস কাজ বন্ধ থাকায় মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ে। এর ফলে এবার শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না।”
পাশাপাশি গুলশান হামলার পর প্রতিটি বড় প্রকল্পের নিরাপত্তা খরচও বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এডিপি বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত ২০১৬-১৭ অর্থ-বছরের তুলনায় বেশি হবে বলে মনে করেন মুস্তফা কামাল।
গত জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৩২ শতাংশের কিছু বেশি, যা তার আগের অর্থ-বছর ২০১৫-১৬ অর্থ-বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ বেশি।
মুস্তফা কামাল বলেন, কয়েক মাস বিদেশিরা না থাকায় মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কয়েক মাস বন্ধ থাকার কারণে বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যয় কম হয়েছে।
“পাইপলাইনের অর্থ ব্যয়ের মূল চালিকাশক্তি হচ্ছে বিদেশিরা,” বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি অর্থ-বছরের শুরুতে পাইপলাইনের আকার ছিল ২ হাজার ১৮৭ কোটি ডলার।
“তা চলতি অর্থ-বছর শেষে নিশ্চিতভাবে অনেক বেড়ে যাবে। কারণ এবারও বৈদেশিক সহায়তার বিপুল অর্থ অব্যয়িত থেকে যাবে। ফলে বাড়বে পাইপলাইনের আকার,” বলেন মন্ত্রী।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে প্রতি বছর বিদেশিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতি আদায় বেড়েছে দাবি করেন তিনি।
লেন, চলতি অর্থ-বছরের প্রথম সাত মাসে ১ হাজার ৪৬৭ কোটি ডলারের প্রতিশ্রæতি আদায় হয়েছে। যেখানে ২০০৮-০৯ অর্থ-বছরেও প্রতিশ্রæতি ছিল মাত্র ২২৬ কোটি ডলার। প্রতিশ্রæত বৈদেশিক সহায়তার ছাড়ও বেড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০০৮-০৯ অর্থ-বছরে যেখানে এক বছরে মাত্র ১৭৯ কোটি ডলার ছাড় হয়েছিল, সেখানে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫৩ কোটি ডলার।
মুস্তফা কামাল বলেন, “পাইপলাইন বড় হলেও বিদেশিদের কাছ থেকে প্রতিশ্রæতি আদায় কমানো যাবে না। কারণ ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের ২৪ হাজার ও ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের টার্গেট রয়েছে।
“ভবিষ্যতে সরাসরি বিদেশিদের বিনিয়োগের মাধ্যমেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চাই। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতেও বিনিয়োগের গতি বাড়াতে হবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ