Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দারিদ্র্য বিমোচনে ইউনূসকে যারা ক্রেডিট দিচ্ছে, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায় : নাসিম

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি ১৪ দলের

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে সা¤প্রতিক এক বক্তব্যের জন্য এবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কড়া সমালোচনা করেছেন সরকারে অর্থমন্ত্রীর সহকর্মী স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের দারিদ্র্যবিমোচনে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহম্মদ ইউনূসকে কৃতিত্ব দেয়ার চেষ্টা করছেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসকে ক্রেডিট দিয়ে যারা বক্তব্য দিচ্ছে, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া কিছুই করার নেই। নাসিম জানান, জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশনে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। গতকাল সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করছে বলে বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনূসেরও প্রশংসা করেন।
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। অর্থমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ দারিদ্র্য কমায় না, যারা এই ঋণের ব্যবসা করে তাদের লাভ হয়। আর অর্থমন্ত্রী এসব বিবেচনায় না নিয়ে এমন একজনের প্রশংসা করেছেন; যার কারণে পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বাতিল হয়ে গেছে।’
গতকাল ১৪ দলের সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্যবিমোচন হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। কিন্তু এখন ড. ইউনূস সাহেবকে ক্রেডিট দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনে ড. ইউনূসকে ক্রেডিট দিয়ে যারা বক্তব্য দিচ্ছে, তারা বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাদের প্রতি করুণা ছাড়া কিছুই করার নেই।
কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম জানান, বৈঠকে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির বিষয়টি জাতীয় সংসদে পাস করার দাবি জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। তিনি বলেন, বৈঠকে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তুলেছেন নেতারা। আমরা আশা করছি, সামনে ১১ মার্চের সংসদ অধিবেশনেই প্রস্তাবটি উত্থাপিত হবে। আর সেইদিনই এটি গণহত্যা দিবস হিসেবে গৃহীত হবে।
বিএনপি আগামী সংসদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করে নাসিম বলেন, নির্বাচন পরিচালনা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, কোনো দল পরপর দুইবার নির্বাচনে না এলে নিবন্ধন বাতিলের বিধান আছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি আগামী নির্বাচনে না এলে তাদের নিবন্ধন হুমকিতে পড়বে। বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বক্তব্যের জবাবে নাসিম বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা রাজনৈতিক দলের ব্যাপার। নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি বিভিন্ন স্টাইলে কথা বলছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, আমরা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি করছি। আশা করি, ১১ তারিখে জাতীয় সংসদে দিবস হিসেবে গৃহীত হবে।
জাতীয় পার্টি (মঞ্জু) মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম খান ও সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আফজাল হোসেন, বিপ্লব বড়ুয়া, এস এম কামাল হোসেন প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ