Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপহারে অনিয়ম এরশাদের আপিলের রায় ২৩ মার্চ

| প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : দুই যুগ আগের একটি দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আপিলের রায় আগামী ২৩ মার্চ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি শেষ করে রায়ের জন্য এ দিন ঠিক করেন।
প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় উপহার নিয়ে তা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দেওয়ায় দুর্নীতির দায়ে এরশাদকে তিন বছর কারাদÐ দিয়েছিল বিচারিক আদালত। সামরিক শাসক এরশাদ গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি করেছিল। ব্যুরো বিলুপ্ত হওয়ায় সেই মামলাগুলো এখন দুর্নীতি দমন কমিশন পরিচালনা করছে।
আদালতে এরশাদের পক্ষে শুনানি করে শেখ সিরাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। দুদকের পক্ষে খুরশীদ আলম খান। পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, সাজার বিরুদ্ধে এরশাদের আপিলের শুনানি গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুরু হয়। মোট পাঁচদিন শুনানি হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ রায় দেবে হাইকোর্ট। শুনানিতে বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখার আরজি জানিয়েছি।
১৯৯১ সালের ৮ জানুয়ারি দায়ের করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়, ১৯৮৩ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিভিন্ন উপহার রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা না দিয়ে এরশাদ এক কোটি ৯০ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৫ টাকার আর্থিক অনিয়ম ঘটিয়েছেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ১৯৯২ সালের ৩ ফেব্রæয়ারি এ মামলার রায়ে এরশাদকে তিন বছরের কারাদÐ দেয়। এরশাদ ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করলে দÐ স্থগিত হয়ে যায়। দুই দশক পর ২০১২ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন এ মামলায় পক্ষভুক্ত হয়। শুনানির জন্য এর আগে একবার আদালতে উপস্থাপন করা হলেও পরে তা আর এগোয়নি। গত আগস্টে আবারও এই আপিল শুনানির উদ্যোগ নেয় দুদক। শুনানির দিন চেয়ে দুদকের আবেদনে গত বছরের ১ নভেম্বর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের একক বেঞ্চ ১৫ নভেম্বর শুনানির জন্য নির্ধারণ করে দেয়। ওইদিন এরশাদের আইনজীবী শুনানির জন্য নিজের প্রস্তুতি ও এরশাদ গুরুতর অসুস্থ উল্লেখ করে চার সপ্তাহের সময়ের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য ৩০ নভেম্বর নতুন তারিখ রাখে। ওইদিন বিচারক এরশাদের আইনজীবীকে বলেছিলেন, ১৯৯২ সালের মামলা এখনও যদি বিচারাধীন থাকে তাহলে হাইকোর্টের দরজা বন্ধ করে দেয়া উচিত। বিভিন্ন অভিযোগে প্রায় তিন ডজন মামলা হয় এরশাদের বিরুদ্ধে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের হলফনামায় দেখা যায়, তার বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। আট মামলার মধ্যে চারটির কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। মঞ্জুর হত্যাসহ তিনটি মামলা বর্তমানে চালু রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ