Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্থলবন্দর দ্রুত চালু করতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে নৌ পরিবহনমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উখিয়া (কক্সবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে স্থলবন্দর চালু হলে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার মধ্যে সম্পর্কের আরো উন্নয়ন হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সরকারের পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ স্থলবন্দর দ্রুত চালু করার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। এ নিয়ে মন্ত্রণালয়ে বেশ ক’বার আলোচনায় ফলপ্রসূ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে স্থলবন্দর প্রকল্প বাস্তবায়নে আর কোন বাধা নেই। গতকাল (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টায় নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘুমধুম স্থলবন্দরের সম্ভাব্য স্থানসমূহ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিংকালে একথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন স্থানে ২৩টি স্থলবন্দরের মধ্যে ১০টি বন্দরে পুরোদমে কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার যে স্বপ্ন ছিল তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সাথে স্থলবন্দর চালু করতে যাচ্ছে। ঘুমধুমে প্রস্তাবিত স্থল বন্দর চালু করা হলে স্থানীয় অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হবে পাশাপাশি এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২০৩০ সালে বিশে^র খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ ৩০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশও স্থান করে নেবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে আবারো ক্ষমতায় আনার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। এ সময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ নিয়ে জাতিসংঘসহ বিশে^র বিভিন্ন দাতা সংস্থা কাজ করছে। আমাদের সাথে মিয়ানমারের সুসম্পর্ক রয়েছে বিধায় দ্রæত স্থলবন্দর বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক পদ রায়, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন, বান্দরবান পার্বত্য জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান কৈহ্লালা, বান্দরবান জেলা প্রশাসক দীলিপ কুমার ভৌমিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন, বান্দরবান পৌর মেয়র মোঃ ইসলাম বেবী, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবঃ মেজর ফোরকান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা খাইরুল বশর প্রমুখ। পরে মন্ত্রী নির্মাণাধীন বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়কের কাজ পরিদর্শন করেন।



 

Show all comments
  • শামসুল হক শারেক ১১ মার্চ, ২০১৭, ১২:৩৪ এএম says : 0
    টেকনাফ স্থল বন্দর এর চেয়ে অনেক সুবিধা হবে এই বন্দরে। যেমন মিয়ানমারের উত্তাঞ্চলেরর যেসব মালামাল এখন অনেক জায়গা ঘুরে মংডু হয়ে টেকনাফ দিয়ে বাংলাদেশে আসছে, গুংধুম স্থল বন্দর হলে এই ঘুরাঘুরি দরকার হবে না। এই কারণে অনেক কম মূল্যে আমরা মিয়ানামারের পন্য পাব। এছাড়াও টেকনাফ থেকে এসব মালামাল ঢাকা পৌঁছাতে এখন যে খরচ পড়ে ঘংধুম থেকে ওসব মালামাল অর্ধক খরছে ঢাকা পৌঁছবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ