স্টাফ রিপোর্টার : উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা রিট আবেদনটি বিচারাধীন থাকলেও জীবন বীমা করপোরেশনের সহকারী ম্যানেজার পদে লিখিত পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার সকাল ১০টায় এ পদে পরীক্ষা নেয়া হয়। এদিকে পরীক্ষাটির বৈধতা নিয়ে চিন্তিত ও শঙ্কিত অংশগ্রহণকারী প্রার্থীরা। জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্থগিতাদেশ চেয়ে চলতি মাসের ২৪ তারিখে হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সংক্ষুব্ধ কাউছারসহ ১১ জন। আজ রোববার হাইকোর্টে এ মামলাটি শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর আইনজীবী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জীবন বীমার করপোরেশনের জিএম (প্রশাসন) এসএম মেজবাউল ইসলাম বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব। রিটকারীর আইনজীবী মোহাম্মদ ফারুক হোসেন বলেন, যেহেতু আমরা এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে রিট দায়ের করেছি এবং এটি শুনানির জন্য দৈনিক কার্যতালিকায় ছিল, তাই কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো আদালতের আদেশ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত রাখা। এছাড়াও এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অর্থ মন্ত্রনালয়ের, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রেরণ করা হয় জীবন বীমা করপোরেশনে। এর পরেও ওই প্রতিষ্ঠানটি এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন, যেটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, জীবন বীমা করপোরেশনে সহকারী ম্যানেজার পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা চাওয়া হয়েছিলো প্রথম শ্রেনীর স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি (মাস্টার্স) অথবা দ্বিতীয় শ্রেণীর ¯œাতক (সম্মান)সহ স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি। কিন্তু এ পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহনে ৪ বছর মেয়াদী ¯œাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারী আবেদন কারীদেরকেও কার্ড ইস্যু করা হয়। যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পরিপন্থি।
এর ফলে বঞ্চিত ৪ বছর মেয়াদী ¯œাতক (সম্মান) ডিগ্রিধারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পরীক্ষায় আবেদন করেছে পুত্র সুমন কুমার তালুকদার, অথচ কার্ড ইস্যু করা হয়েছে পিতা শ্যামল কুমার তালুকদারের নামে। এমন অনিয়ম ছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে একের পর এক সিরিয়ালে রেখে লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।