Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বেড়েছে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি

| প্রকাশের সময় : ১৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শওকত আলম পলাশ : ২০১৬ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি বেড়েছে। চতুর্থ প্রান্তিকে এর আগের প্রান্তিকের তুলনায় ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি ১২ শতাংশ বেড়ে ৭ এমবিপিএসে পৌঁছেছে। বার্ষিক হিসাবে এক বছর আগের একই প্রান্তিকের তুলনায় গড় গতি বেড়েছে ২৬ শতাংশ। মার্কিন কনটেন্ট সরবরাহ নেটওয়ার্ক ও ক্লাউড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আকামাই টেকনোলজিস প্রকাশিত স্টেট অব দি ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর টেলিকম এশিয়া। আকামাই টেকনোলজিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়া ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতিতে নেতৃত্ব ধরে রেখেছে; চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটিতে গড় গতি ২৬ দশমিক ১ এমবিপিএসে দাঁড়িয়েছে। তবে গত বছরের তৃতীয় ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটিতে ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি ছিল যথাক্রমে ২৬ দশমিক ৩ ও ২৭ এমবিপিএস। বৈশ্বিক ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি বিবেচনাতেও দেশটি শীর্ষে রয়েছে।

‘স্টেট অব দি ইন্টারনেট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গতির ক্ষেত্রেও ইতিবাচক অর্জন দেখা গেছে। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক ৪, ১০, ১৫ ও ২৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বেড়েছে যথাক্রমে ১৫, ৩১, ৩৭ ও ৪৫ শতাংশ।
স্টেট অব দি ইন্টারনেট প্রতিবেদনের সম্পাদক ডেভিড বেলসন বলেন, ২০০৪ সালে যখন প্রথম ইন্টারনেটের গড় গতি-বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, তখন দ্রæত গতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ মানে ছিল ৫ এমবিপিএস বা এর কিছু বেশি। বিশ্বব্যাপী আজ থেকে প্রায় নয় বছর আগে ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের হার ছিল ১৬ শতাংশ। বর্তমানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের হার বেড়েছে উলে­খযোগ্য।
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ১৫ এমবিপিএস গতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ২৫ শতাংশ সংযোগ ব্যবহারকারী। দ্রæত গতির ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রবণতা নতুন ব্যবসা সৃষ্টি ও বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট বিষয়ে অভিজ্ঞতা বাড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে গ্রাহক পর্যায়ে বিভিন্ন সংযুক্ত ডিভাইস ব্যবহার বৃদ্ধি বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট অভিজ্ঞতা বাড়াতেও ভূমিকা রাখছে।
আকামাই টেকনোলজিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতিতে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাজ্য (২৬ দশমিক ৮ এমবিপিএস)। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কম গড় গতি রেকর্ড করা হয়েছে ভেনিজুয়েলায় (২ দশমিক ৯ এমবিপিএস)।

বিশ্বব্যাপী যেসব দেশের ওপর জরিপ পরিচালনা করে স্টেট অব দি ইন্টারনেট প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, এগুলোর মধ্যে ৩০টি দেশের গড় মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ গতি ১০ এমবিপিএস ছাড়িয়ে গেছে। এর আগের প্রতিবেদনে এমন দেশের সংখ্যা ছিল ২৪টি। পাশাপাশি ৫৮টি দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের গড় গতি ৪ এমবিপিএস ছাড়িয়েছে। এর আগের প্রতিবেদনে এ ধরনের দেশের সংখ্যা ছিল ৫২টি।

বিশ্বব্যাপী চতুর্থ প্রান্তিকে বেশকিছু ইন্টারনেট বিভ্রাটের ঘটনা ঘটেছে। পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (পিটিসিএল) এ সময়ই টেকনিক্যাল কারণে তাদের ইন্টারনেট সেবা বিভ্রাটের কথা জানিয়েছিল। এতে গত ডিসেম্বরে দেশটিতে আকস্মিক ইন্টারনেট সেবা সরবরাহ বিঘিœত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশে ইন্টারনেটের গতির ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। দৈনন্দিন জীবনের অনেক কাজ এখন ইন্টারনেট নিভর হয়ে পড়েছে। ইন্টারনেট গতি এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ