Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পুলিশরা দেশের রাজা হলে আপনি কোথায়?

প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এখনই পদত্যাগের পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। যুক্তি তুলে ধরে তিনি বলেছেন, পুলিশ যখন দাবি করেছে তারা দেশের রাজা। তাহলে আপনি কোথায়? এতে শুধু আমাদেরই দুর্গতি না, শেখ হাসিনার জন্যও দুর্গতি কম অপেক্ষা করছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। দলীয় নেতা-কর্মীদের জেগে উঠার আহবান জানিয়ে বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে পালিয়ে থাকলে ভবিষ্যত অন্ধকার। নয়া পল্টনে মহানগর বিএনপির কার্যালয়ে ভাসানী মিলনায়তনে মহানগর আহবায়ক কমিটির এই সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এই সভায় শ্লোগান তো দিলাম- জেলের তালা ভাঙবো। ঘরে বসে কী জেলের তালা ভাঙা যায়? জেলের তালা ভাঙতে হলে যথা সময়ে যথাস্থানে থাকতে হয়। আজকের সভার সভাপতি সাহেব বলেছেন, আমরা আবার ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকবো। আমি অতীতের অভিজ্ঞতায় বলছি, যদি আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে পালিয়ে থাকতে হয়, তাহলে তো ভবিষ্যত অন্ধকার।
রাজধানীতে সংগঠনকে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, হাসিনার ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে রাজত্ব চলে গিয়েছিলো। রাজধানী ঢাকা সে রক্ষা করেছে। সব সরকারের পতন রাজধানীতেই হয়। অতীতের মতো রাজধানীতেও একটা সরকার পতন করা যায় কিনা প্রশ্নটা জনগণের কাছে। সেই কারণে বলব, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা আমাদের হারানো গৌরব যদি পুনরুজ্জীবিত করতে চাই, তাহলে রাজধানীতে আমরা যারা বসবাস করি, তাদের বলতে হবে আমরা রাজধানী থেকে স্বৈরাচার দুরাচার বিতাড়িত করবো। কারণ রাজধানীর বাইরে কোনো জায়গা নেই, যেখানে সে পা রাখবে। কারণে অনেক আগেই অবরোধ হয়ে গেছে।
সভায় দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৮ ও ১৯ জানুয়ারি দুইদিনের ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি সফল করার বিষয় নিয়ে সভায় আলোচনা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, এতো নিপীড়ন-নির্যাতনের পরও আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় মানুষের জনস্রোত প্রমাণ করে দিয়েছে মানুষ কার পেছনে আছে। কোকো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। সে জিয়াউর রহমানের ছেলে খালেদা জিয়ার ছেলে বলেই ঢাকার মানুষ সেদিন জানান দিলো- বেগম খালেদা জিয়া ভয় নাই, আমরা আপনার পাশে আছি।
সুতরাং মানুষ তো বিএনপির সঙ্গে আছে। আমরা যারা অতি মানুষ যারা নিজেদেরকে নেতা ভাবি, অতিমানুষরা যদি মানুষের মতো সাড়া দিতে পারতাম, তাহলে হাসিনার ক্ষমতার আয়ু এতোদিন থাকার কথা না।
৫ জানুয়ারি নয়া পল্টনে জনসভায় সফল করার জন্য মহানগরের নেতা-কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে ওই সভায় সভাপতিত্ব করা গয়েশ্বর বলেন, ওই জনসভাটি ভালো হয়েছে। যারা সমালোচক তারাও বলেছেন।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের একজন পরিদর্শক পুলিশের হাতে নিগৃহীত প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, কালকে পুলিশ তাকে (ডিসিসিআই-এর পরিদর্শক) ধইরা এমন ধোলাই দিছে, আবার বলছে কি-মাছের রাজা ইলিশ, দেশের রাজা পুলিশ। শেখ হাসিনাকে বলব, আজকেই পদত্যাগ করেন। পুলিশ যখন দাবি করেছে, তারা দেশের রাজা। তাহলে আপনি কোথায়?
তিনি বলেন, দেশের রাজা যখন পুলিশ হয়ে গেছে, তখন শুধু আমাদেরই দুর্গতি না, শেখ হাসিনার জন্যও দুর্গতি কম অপেক্ষা করতেছে না। এর আগে বাংলাদেশ কর্মকর্তাকেও পুলিশ নাজেহাল করেছে। এরকম অবস্থার মধ্যে আমরা বসবাস করছি। পত্রিকার এই অবস্থার মধ্যে লিখতে পারে না, তারপরও এর মধ্যে যতটুকু লেখছে, তাতে জনগণ জানতে পারছে। নেতা-কর্মীদের ‘ভেদাভেদ ও বিভক্তি’ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান তিনি।
মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী আবুল বাশারের সভাপতিত্বে এই সভায় সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের ভ্ুঁইয়া, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ নেতা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশরা দেশের রাজা হলে আপনি কোথায়?
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ