Inqilab Logo

বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরবনের বাঘ মনিটরিং ফলাফলের গ্রহণ যোগ্যতার প্রশ্ন উঠতে পারে আবারো সাতক্ষীরা রেঞ্জে মনিটরিং ফলাফল আগস্টে

| প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক ও আশরাফুল ইসলাম নূর, খুলনা থেকে ঃ সুন্দরবনের প্রতীক রয়েল বেঙ্গল টাইগার মনিটরিং এর প্রথম পর্ব শেষ হল ১৫ মার্চ। শুধু সাতক্ষীরা রেঞ্জের এ মনিটরিংয়ের ফলাফল জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী আগস্ট পর্যন্ত। একেক বছরে একটি করে রেঞ্জ এলাকা মনিটর করে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা নির্ণয় ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। পূর্বে বাঘ শুমারির ফলাফল নিয়েও দেশ জুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।
ইউএস এইড’র ওয়াইল্ড টিমের মাঠ সমন্বয়কারী শামসুদ্দোহা জানান, প্রথম পর্যায়ে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের ৩৪০টি পয়েন্টে গাছ এবং খুঁটির সাথে ৪৪১টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘ মনিটরিংয়ের কাজ করা হয়েছে। ক্যামেরার আশেপাশের গাছে পাহাড়ী শুঁটকি গুঁড়ো করে লাগানো হয়েছিল। শুঁটকির গন্ধে আশপাশে থাকা বাঘ সেখানে চলে আসে। আর বাঘ এলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি তুলে নিচ্ছে ক্যামেরা। এ পদ্ধতি-ই ক্যামেরা ট্রাপিংয়ে বাঘ মনিটর কার্যক্রম চলছে। এতে বাঘের সংখ্যা, অবস্থান ও খাদ্য সম্পর্কে জানা যাবে। এক একটি স্থানে ৪৫দিন ক্যামেরা রাখা ছিল। বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ মদিনুল আহসান জানান, ১ মার্চ থেকে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বাঘ মনিটরিং শেষ হল ১৫ মার্চ। একই সাথে বাঘের খাদ্য, যেমন- হরিণ এবং শূকরও মনিটর করা হয়েছে। ক্যামেরায় তোলা ছবি এবং অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বাঘের সংখ্যাসহ সার্বিক মনিটরিংয়ের ফলাফল প্রকাশ করতে পারবো আগামী আগস্ট মাসে। এই কার্যক্রমটি পুরো সুন্দরবনজুড়ে নয়, এ বছর করা হচ্ছে সাতক্ষীরা রেঞ্জে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাঈদ আলী জানান, বনের প্রায় দুই হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঘ মনিটর করা হচ্ছে, যা সুন্দরবনের মোট আয়তনের ৩০ভাগ। সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জে বর্তমানে বাঘের সংখ্যা কত, কমেছে নাকি বেড়েছে তা মনিটর করা হচ্ছে। ছয় হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের একেক রেঞ্জে ভাগ ভাগ করে মনিটর করলে বাঘের সংখ্যা সঠিক হবে কি না তা সন্দেহ দেখা দিয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেষ্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজিক্যালয় ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুস সাদাত শুভ বলেন, বাঘ খুব দ্রুত সময়ে বাসস্থান পরিবতন করা প্রানী। এ প্রানী জরিপে এক এক এলাকায় এক এক বছরে করলে তো সঠিক সংখ্যা জানা যাবে কি না সে প্রশ্ন থাকতেই পারে!
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ১৯৭৫ সালের পর থেকে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল অনেকটা অনুমানভিত্তিক। ২০০৪ সালে পাগ মার্ক (পায়ের ছাপ) পদ্ধতিতে সুন্দরবনের একটি জরিপে বাঘের সংখ্যা পাওয়া যায় ৪৪০টি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাঘ

২৯ জুলাই, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ