Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কেরানীগঞ্জে সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ী ছাড়তে বাধ্য হলেন চিকিৎসক দম্পতি

| প্রকাশের সময় : ২৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকার কেরানীগঞ্জে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের ভয়ে অবশেষে জীবন বাঁচাতে বাড়ী ছাড়তে বাধ্য হলেন চিকিৎসক দম্পতি। চিকিৎসক দম্পতি ডাঃ আবু নোমান ও ডাঃ শাহানা আক্তারের কাছে দফায় দফায় চাঁদা দাবী ও পেট্রোল বোমা মেরে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছিল চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা।
ঘটনাটি থানা পুলিশসহ অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করার পরেও তারা গত ৪ দিনেও এব্যাপারে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে পারেননি। এতে ভয়ে ও আতঙ্কিত হয়ে গতকাল রোববার বিকেলে একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই তারা নিজ বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এদিকে ডাঃ শাহানা আক্তার চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দফায় দফায় প্রাণনাশের হুমকিতে হৃদরোগাক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ডাঃ আবু নোমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বুধবার রাত ১০টার সময় ক্লিনিক থেকে বাসায় যাওয়ার সময় ২ জন যুবক মোটর সাইকেলযোগে এসে আমাদের রিক্সার গতিরোধ করে আমাদের রিক্সা লক্ষ্য করে দুটি গুলি করে দ্রæত পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা একটি চিঠি দিয়ে যায়। ঐ চিঠিতে আমাদের হুমকি দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাদা দাবি করা হয়। এরপর দফায় দফায় এসএমএস ও ফোনের মাধ্যমে আমাদের কাছে চাঁদা চেয়ে সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাদের দাবীকৃত চাঁদার পরিমাণও বাড়তে বাড়তে ২ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। এছাড়া সন্ত্রাসীরা আমার ক্লিনিক ও বাড়ী পেট্রোল বোমা মেরে উড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, ৪ দিন যাবৎ চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমাদেরকে চরম আতংকের মধ্যে রেখেছে। নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও আমাদের বাড়িতে আসছে। কিন্তু তারা এব্যাপারে কিছুই করতে পারছেন না। সন্ত্রাসীরা বারবার ফোন করছে অথচ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কেন তাদেরকে ধরতে পারছেন না। তাই একপর্যায়ে বাধ্য হয়েই সন্তানদের নিয়ে বাড়ী ছেড়ে অন্যত্র চলে আসতে বাধ্য হচ্ছি।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ী ছেড়ে চলে যাওয়ার বিষয়টি আমি জানি না। এছাড়া তদন্তের স্বার্থে আমি এব্যাপারে কিছু বলতে চাচ্ছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ