Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আধিপত্য সেই ভারতেরই

| প্রকাশের সময় : ২৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : সিরিজ শুরুর আগে সে কি উত্তাপ! উত্তাপের আঁচ মাঠে যতটুকু, বাইরে যেন তার চেয়েও বেশি। স্লেজিং কান্ডের মধ্য দিয়ে শুরু, এরপর ডিআরএস, টুইটার বিতর্ক আরো কত কি? কিন্তু কোন কিছুতেই রীতি বদলালো না। বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অক্ষুণ্নই রইল স্বাগতিক আধিপত্য।
২০০৪ সালে ভারতের মাটি থেকে ট্রফিটি উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। ওই একবারই সাধারণ নিয়মের বত্যায় ঘটেছিল। এরপর থেকে সেই একই চিত্র। ধর্মশালা টেস্ট ৮ উইকেটে জিতে এবারো ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে স্বাগতিক আধিপত্য বজায় রাখল ভারত।
শুরুটা অবশ্য হয়েছিল ভিন্নভাবে। প্রথম টেস্ট জিতে এক যুগ আগের সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু পরের ম্যাচেই দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজে সমতা ফেরায় ভারত। শুরু থেকেই আলাচনায় থাকা সিরিজের পারদটা আরো উপরে ওঠে রাঁচি টেস্ট ড্র হলে। ধর্মশালা তখন অঘোষিত ‘ফাইনাল’। সেই ফাইনালে আধিপত্য রেখেই সিরিজ পুনরুদ্ধার করে বিরাট কোহলির দল। নিজেদের ইতিহাসে এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো প্রথম টেস্ট হারের পরও সিরিজ জিতল ভারত। মৌসুমটাও তারা শেষ করল ১৩ টেস্টের মধ্যে ১০টিতেই জয় নিয়ে। জিতেছে ৪টি সিরিজই।
কাঁধের চোটের কারনে কোহলি অবশ্য শেষ টেস্টে ছিলেন না। তার পরিবর্তে দলের নেতৃত্ব দেন আজিঙ্কে রাহানে। চতুর্থ দিনের প্রয়োজনীয় ৮৭ রান তুলে বিজয়ের হাসি হাসতে তাই যেন তর সইছিল না রাহানের। দলীয় ৪৬ রানে দাঁড়িয়ে মুরালি বিজয় ও চেতস্বর পুজারাকে হারানোর পর ক্রিজে এসে তাই শুরু করেন টি-টোয়েন্টি মেজাজের ব্যাটিং! প্যাট কমিন্সের যে বলটি মিডউইকেট দিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন সেই বাউন্সারের গতি ছিল ঘন্টায় ১৪৭ কি.মি! পরের বলে আবার চার। ২৭ বলে দুটি বিশাল ছক্কা ও ৪ চারে অপরাজিত ৩৮ রান করে বীরের বেশে মাঠ ছাড়েন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক। লোকেশ রাহুল অপরাজিত ছিলেন ৫১ রানে। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১০৬ রানের মধ্যে ১৯ রান বিজয়কে নিয়ে আগের দিনই করে রেখেছিলেন রাহুল। এদিন বাকি রান করতে সময় নেন মাত্র ঘন্টা দেড়েক।
গাভাস্কারের কাছ থেকে ট্রফিটি গ্রহণ করেন রাহানে-কোহলি দুজনে মিলে। কোহলির কাছে এটি ছিল ‘অবিশ্বাস্য’ এক সিরিজ। তার মতে, ‘ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটা আবেগপূর্ণ হলেও অস্ট্রেলিয়া যেভাবে এই সিরিজে লড়েছে তা ছিল অবিশ্বাস্য। আমরা বার বার পিছিয়ে পড়েছি কিন্তু ছেলেরা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’ শেষ ম্যাচে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক রাহানের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন কোহলি, ‘অজিঙ্কে দারুণ নেতৃত্ব দিয়েছে, দলের পরিবর্তন গুলোও কাজে এসেছে।’
পরাজিত অধিনায়ক স্মিথেরও প্রথম উচ্চারণই ছিল ‘চমৎকার সিরিজ’। ‘ক্যারিয়ারে যতগুলো সিরিজ খেলেছি তার মধ্যে এটি অণ্যতম সেরা’ বলেন টেস্টের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। সফরে তিন তিনটি শতক হাঁকিয়ে নিজে আলো ছড়ালেও দলের ব্যাটিংই মূলত ভুগিয়েছে সফরকারীদের। ভারতকে অভিনন্দন জানিয়ে উপমহাদেশে তাদের হারানো কঠিন বলে আবারো স্বীকার করেন স্মিথ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
অস্ট্রেলিয়া : ৩০০ ও ১৩৭।
ভারত : ৩৩২ ও ২৩.৫ ওভারে ১০৬/২ (লক্ষ্য ১০৬, আগের দিন ১৯/০) (রাহুল ৫২*, বিজয় ৮, পুজারা ০, রাহানে ৩৮*; কামিন্স ১/৪২, হ্যাজেলউড ০/১৪, ও’কিফে ০/২৩, লায়ন ০/১৯)।
ফল: ভারত ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : ৪ ম্যাচে ভারত ২-১ এ জয়ী।
ম্যাচ ও সিরিজ সেরা : রবীন্দ্র জাদেজা (ভারত)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আধিপত্য

১৮ জানুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ