Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিলাবৃষ্টিতে সাঁথিয়ার পেঁয়াজ চাষিদের সর্বনাশ

| প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সাঁথিয়া (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পেঁয়াজ চাষিরা এবার পথে বসেছেন। শিলাবৃষ্টিতে তাদের স্বপ্নের পেঁয়াজ পচে গেছে। পচা পেঁয়াজ বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সাঁথিয়ার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায় প্রতি মণ পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে কৃষি শ্রমিকের মজুরি উঠছে না। আবার অনেক চাষি ক্রেতার অভাবে পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না। গত মঙ্গলবার সকালে সাঁথিয়া সিঅ্যান্ডবি চতুরহাট ঘুরে দেখা যায়, প্রতি মণ পেঁয়াজ ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাটে আসা কৃষকেরা জানান, পেঁয়াজের ক্রেতা নেই, কার কাছে বিক্রি করব। সাঁথিয়ার আতবশুকা গ্রামের কৃষক ইসহাক ৪ মণ পেঁয়াজ বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে এসেছেন, কিন্তু ক্রেতা না থাকায় পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারছেন না। কিভাবে শ্রমিকের মজুরি ও পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করবেন এ চিন্তায় দিশেহারা। বাড়ি ফেরার খরচের টাকা তার কাছে নেই। ভবানীপুর গ্রামের মাহাতাব জানান, ৩ বিঘা জমিতে পিয়াজ আবাদ করে যে পেঁয়াজ উঠেছে তার অর্ধেকই পচা। তার থেকে বেছে বেছে ৮ মণ পিয়াজ নিয়ে এসেছি হাটে কিন্তু বিক্রি করতে পারছি না। কিভাবে মহাজনের টাকা দেব। সাঁথিয়ার আব্দুল লতিফ ফকির জানান, সে এবছর সাত বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করেছিল। শিলাবৃষ্টিতে তার সব পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে, মজুত করে রাখতে পারছেন না আবার বিক্রি করতেও পারছেন না। চতুরহাটের পাইকার ও আড়তদার কালাম জানান, কেনা পেঁয়াজই সে সংরক্ষণ করতে পারছেন না, পচন ধরে যাচ্ছে। এই পেঁয়াজ ঢাকা নিয়ে বিক্রি করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ মার্চ হালকা বৃষ্টির সাথে ভারী শিলাপাতে সাঁথিয়া উপজেলায় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির অর্ধেকের বেশি পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিলাবৃষ্টি

১০ এপ্রিল, ২০২১
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ