Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনা মাশুলে ট্রানজিট তোড়জোড়

চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরে বিশেষ ইয়ার্ড চায় ভারত

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


শফিউল আলম : চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর দিয়ে ভারতের পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট তথা করিডোর সুবিধা দেয়ার লক্ষ্যে ঢাকা-দিল্লির মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ চুক্তির তোড়জোড় চলছে। উভয় বন্দরে ভারতের আমদানি ও রফতানি পণ্য নৌ, রেল ও সড়কপথে পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আবার ট্রানজিট পণ্য হ্যান্ডলিং করার জন্য দুই বন্দরে সুনির্দিষ্টভাবে বিশেষায়িত ইয়ার্ড-শেড পেতে চায় ভারত। শুধু তাই নয়; বিনা মাসুলে ট্রানজিট সুবিধায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে ব্যবহারের জন্য নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। আগামী ৭-১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিল্লি সফরকালে ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ট্রানজিট ব্যবস্থা প্রদান সম্পর্কিত চুক্তি সম্পাদনের প্রক্রিয়া চলছে। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে (‘দি সেভেন সিস্টার’ নামে পরিচিত) পণ্যসামগ্রী পরিবহনের জন্য ভারত এই ট্রানজিটের কথা বলছে। বন্দর বিশেষজ্ঞ, ব্যবহারকারী তথা স্টেকহোল্ডারগণ বলছেন, দেশেরই আমদানি-রফতানিমুখী পণ্য পরিবহনের চাহিদার ক্ষেত্রে বর্তমানে উভয় সমুদ্র বন্দর সক্ষমতায় অনেক পেছনে রয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথের অবকাঠামোও অত্যন্ত সীমিত, অপর্যাপ্ত। সেখানে যদি ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রানজিট দেয়া হয় তাহলে জরাজীর্ণ ও সীমিত অবকাঠামোসহ সামগ্রিকভাবে পরিবহন ব্যবস্থা আরও বিশৃঙ্খল হয়ে ভেঙে পড়বে। এ অবস্থায় ভারতকে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ট্রানজিট দেয়াই হবে অদূরদর্শিতা।      
চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দরকে ট্রানজিট কিংবা করিডোর সুবিধার আওতায় ব্যবহারের জন্য ভারত বিভিন্ন কৌশলে আবদার, চাপ ও পীড়াপীড়ি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। বর্তমান পর্যায়ে এসে উভয় বন্দরে ‘অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশেষায়িত ইয়ার্ড বা জায়গা’ সুনির্দিষ্ট করে পেতে চায় ভারত। এর জন্য ভারতের পক্ষ থেকে ফের পীড়াপীড়ি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের দু’টি প্রধান সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে দেশটি এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে পণ্যসামগ্রী পরিবহন করতে চায়। বিশেষত উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূমি-বেষ্টিত (ল্যান্ড লক্ড) ৭টি রাজ্যে (ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম, অরুণাচল, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড ও মনিপুর) চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনে ভারত গুরুত্ব দিচ্ছে। উভয় বন্দর দিয়ে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক কিছু ফি ছাড়া অন্য কোনো রকম ‘শুল্ক-কর’ ‘রাজস্ব’ ‘মাশুল’ অথবা কোনো ধরনের ট্রানজিট ‘ফি’ আরোপ ও আদায় না করার শর্তযুক্ত একতরফা লাভের ট্রানজিটের জন্যও ভারত আবদার করছে।   
তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও বন্দর ব্যবহারকারী তথা স্টেকহোল্ডার সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ভারতের ট্রানজিট পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে বিশেষায়িত ইয়ার্ড বা জায়গা রাখার প্রশ্নে প্রবল আপত্তি উঠেছে। ভারতীয় পণ্যের জন্য বিশেষায়িত ইয়ার্ড নির্দিষ্ট করে রাখতে গেলে বন্দরে কন্টেইনারসহ কার্গোজট ও জাহাজ জটের সমস্যা আরও প্রকট হবে। তাছাড়া যেসব দেশের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক লেনদেন ভারতের তুলনায় বেশিই রয়েছে সেসব দেশও ওই একই সুবিধা চাইতে পারে এবং এতে করে বিপত্তি দেখা দেবে। বিগত ডিসেম্বরে ’১৬ইং অনুষ্ঠিত ঢাকা-দিল্লির মধ্যকার নৌ-পরিবহন সচিব পর্যায়ের বৈঠকেও প্রস্তাবিত ‘বিশেষায়িত ইয়ার্ডে’র বিপক্ষে যুক্তি সহকারে উভয় বন্দরে জট বৃদ্ধির আশঙ্কা তুলে ধরা হয়।
তা সত্তে¡ও সর্বশেষ গত সপ্তাহে নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবিত ট্রানজিট চুক্তির খসড়ায় চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে সুনির্দিষ্ট ‘বিশেষায়িত (ডেডিকেটেট) ইয়ার্ড’ বা জায়গা এবং কার্যত ‘বিনা ফি চার্জ ট্যারিফ বা মাশুল’- ফের এই দু’টি সুবিধা চাওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে ট্রানজিট সুবিধায় ব্যবহার সম্পর্কিত স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগেই চুক্তি সম্পাদনের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে। এ ব্যাপারে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আনুষঙ্গিক তথ্য ও খসড়া পাঠানো হয়েছে।
আগেও ভারতের সাথে ট্রানজিট ফি’র অভিজ্ঞতা সুখকর নয়। ইতোপূর্বে সরকার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর দিয়ে ভারতকে তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য পরিবহনে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করে। এর জন্য টনপ্রতি ১৯২ টাকা হারে নামমাত্র ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শুল্ক-কর হিসেবে পায় টনপ্রতি মাত্র ১৩০ টাকা, সড়ক ও জনপথ বিভাগ পায় মাত্র ৫২ টাকা এবং বিআইডব্লিউটিএ পায় মাত্র ১০ টাকা। অথচ ২০১১ সালে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের এ ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ট্রানজিট ফি’র চেয়েও অনেক কম হারে নৌ-বন্দরে ভারতের জন্য ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। ট্যারিফ কমিশনের কোর কমিটির প্রস্তাবিত ট্রানজিট ফি টনপ্রতি ১ হাজার ৫৮ টাকা।
এদিকে ভারতে বিশেষত দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অনগ্রসর ৭টি রাজ্যে বাংলাদেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের বিশাল বাজার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশে উৎপাদিত ওষুধ, খাদ্যপণ্য, সিমেন্ট, স্টিল ও আয়রন, আইটি সামগ্রী, রাসায়নিক সামগ্রী, জুয়েলারি দ্রব্যাদি, তৈরি পোশাক, সিরামিক, প্লাস্টিকজাত পণ্য, খেলনা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পপণ্য ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কিন্তু ‘ভারত-টু-ভারত’ একতরফা এই প্রস্তাবিত ট্রানজিটের কারণে তা ভেস্তে যাবে। মুখ থুবড়ে পড়বে দেশে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত শত শত শিল্প-কারখানা।
ভারতকে বিনা মাশুলে ট্রানজিট এবং চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরে বিশেষায়িত ইয়ার্ড নির্দিষ্ট করে দেয়ার প্রস্তাব প্রসঙ্গে ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) ভাইস চ্যান্সেলর বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সিকান্দার খান গতকাল (শনিবার) দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভারতের সাথে কী কী চুক্তি হবে তা আমরা এখনও জানি না। চট্টগ্রাম কিংবা মংলা বন্দরে ভারতকে বিশেষায়িত (ডেডিকেটেট) ইয়ার্ড-শেড দেয়া মোটেও সমীচীন হবে না। কেননা ভারত আমাদের সাথে যতটা বাণিজ্যিক অংশীদার, আরও অন্যান্য বড় দেশ আছে যেগুলোর সাথে বাংলাদেশের সাথে অনেক বেশি বাণিজ্যিক লেনদেন হয়ে থাকে। তারাও চট্টগ্রাম-মংলা বন্দরে ডেডিকেটেট ইয়ার্ড-শেড সুবিধা চাইতে পারে। শুধু ভারতকে এই সুবিধা দেয়াটা বৈষম্যমূলক হবে। আমার বাড়িতে অন্যের কল বসানোর আবদার পূরণ করা সম্ভব কীভাবে? বিনা মাশুলে ট্রানজিটের জন্য ভারতের পীড়াপীড়ি বিষয়ে তিনি বলেন, ভারত তো সবকিছুই মাফ করিয়ে নিয়েই পেয়ে যেতে চায়। দেশের পণ্য হ্যান্ডেল করতে গিয়ে বন্দরজটে এমনিতেই বেহাল অবস্থা। তার উপর যদি ভারতকে বন্দর ট্রানজিট দেয়া হয় তাহলে পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে? তার অভিমত, ট্রানজিট ও অন্যান্য বিষয়ে ভারতের সঙ্গে ডিলে যেতে বলিষ্ঠ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের পরিচয় দিতে হবে। বৈদেশিক চুক্তির বিষয়ে আমাদের দক্ষতা ভারতের চেয়ে কম। তবে অভিজ্ঞজনের অভাব নেই। অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে কাজে লাগানো চাই।     
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতমুখী পণ্যের ট্রানজিট চালুর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলক ব্যবস্থায় সর্বপ্রথম পণ্য আনা-নেয়া শুরু হয় ২০১৫ সালে। ২ জুন ’১৫ইং ‘এমভি ইরাবতী স্টার’ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে ভিড়ে এবং ভারতের তিনটি বন্দরগামী পণ্যভর্তি ৯২টি কন্টেইনার নামায়। এরপর ভারতের জন্য আনিত ৮৫টি কন্টেইনার নিয়ে ১৩ জুন ’১৫ইং চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করে ‘এমভি ওশান প্রæব’ জাহাজটি। এসব কন্টেইনার ভারতের চেন্নাই ও নভোসেবা বন্দরে পৌঁছে। ভারতের চেন্নাই, কোচিন ও নভোসেবা বন্দরে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশে কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা হয়। এর আগে বিগত ৬ ও ৭ জুন’ ১৫ইং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকালে ভারত কর্তৃক চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের ব্যাপারে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং উপক‚লীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
তবে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত বিষদ কোনো নীতিমালা (যেমন-এসওপি) প্রণীত হয়নি। দেশের বন্দর-কাস্টমস ভারতের ট্রানজিট বাবদ ফি, চার্জ, মাশুল, শুল্ক-কর প্রাপ্তির বিষয়টিও এখন পর্যন্ত অস্পষ্ট রয়ে গেছে। ট্রানজিট বাবদ ভারত থেকে বড় ধরনের কোনো মাশুল পাওয়ার প্রত্যাশা ক্ষীণ আগে থেকেই। আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর তার বাস্তব দৃষ্টান্ত। তাছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম প্রধান রেল ও সড়ক রুটসহ দেশের সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক সড়কগুলোও ট্রানজিটের ভার বহনের জন্য মোটেও উপযুক্ত নয়। সীমিত সড়কগুলো ট্রানজিটে ব্যবহৃত হলে দেশের পরিবহনব্যবস্থা আরও ভেঙে পড়বে।     
বন্দর বিশেষজ্ঞ, বন্দর ব্যবহারকারীরা আশঙ্কা করছেন, সরকার যদি বন্দরকে ভারতের জন্য ট্রানজিট সুবিধায় দেয় তাহলে বিশেষত প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বাড়তি ভারতীয় পণ্যসামগ্রী হ্যান্ডলিংয়ে নানামুখী সমস্যায় পড়বে। এমনিতেই বন্দরের সক্ষমতা ও ধারণক্ষমতার তুলনায় সময়ের প্রয়োজনে বেশি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে গিয়ে চট্টগ্রাম বন্দর হিমশিম দশায় রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর বলতে গেলে বছরের প্রায়ই সময় কন্টেইনারসহ কার্গোজটের মুখে পড়ছে। সেখানে যদি ভারতের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে ট্রানজিট দেয়া হয় তাহলে বন্দরজট সমস্যা আরও বাড়বে। চট্টগ্রাম বন্দর দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ আমদানি-রফতানি পণ্য হ্যান্ডলিং করছে। সময় ও দেশের প্রয়োজনে পণ্য হ্যান্ডলিং ক্রমাগত বেড়ে গিয়ে বন্দরের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৪-১৫ শতাংশ। কিন্তু সেই সমানুপাতে জেটি-বার্থ, টার্মিনাল, ইয়ার্ড, ভারি যান্ত্রিক সরঞ্জামের মতো সুবিধাগুলো দিন দিন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। মূল জাহাজ চলাচল চ্যানেলের দীর্ঘদিন ড্রেজিং না হওয়ায় ভরাট হয়ে নাব্যতা হারাচ্ছে বন্দর। এ কারণে বহির্নোঙ্গরে বড় জাহাজ বহর থেকে আমদানি পণ্য লাইটারিং করতে গিয়েই সময় ও আর্থিক অপচয় বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় গত বছর ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯০৯ টিইইউএস। ২০২০ সালে প্রধান এ বন্দরকে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে হবে প্রায় ২৮ লাখ টিইইউস। তখন বন্দরের সক্ষমতায় ঘাটতি থাকবে ৪ লাখ কিংবা আরও বেশি।
পোর্ট-শিপিং বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের জনগণের নিত্য ও ভোগ্যপণ্য পরিবহন সামাল দেয়ার পাশাপশি কৃষি-শিল্প, কল-কারখানা ও বৈদেশিক বাণিজ্য এবং রাজস্বের চাকা সচল রাখতে গিয়ে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর জাতীয় অর্থনীতিতে হৃৎপিন্ড হিসেবে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে। ভূ-কৌশলগত অবস্থানের প্রেক্ষাপটেও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের ভূমিকা অপরিসীম। ভারতকে চট্টগ্রাম-মংলা বন্দর ট্রানজিট দেয়ার মানে হবে চরম অদূরদর্শী পদক্ষেপ। তা আত্মঘাতীও হতে পারে।



 

Show all comments
  • saif ২ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:৫৪ এএম says : 0
    সহমত, এখন কেবল সরকার প্রধান এবং সংশ্লিষ্টদের জন্যে দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। আল্লাহ তাদেরকে জ্ঞ্যান দান করুন এবং আমাদের এই পীর আওলীয়ায় ধন্য এই দেশকে রক্ষা করুন।
    Total Reply(0) Reply
  • Zakaria Islam ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:১৬ পিএম says : 0
    কোনো একদিন ঘুম থেকে উঠে শুনবো,কয়েকশো কোটি ডলারের বিনিময়ে
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammad Riyaj ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:১৭ পিএম says : 0
    দেশ টাকে ধবংস করে দিচ্ছে এই অবৈধ, ভারতের ...........................
    Total Reply(0) Reply
  • nazrul ২ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:৫০ পিএম says : 0
    Allaha amader hefazot koro
    Total Reply(0) Reply
  • Mahbubur rahman ২ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:১১ পিএম says : 0
    India ki kore transtport fee chara tader ponno ak strit theke onno strit niea jabe. Bangladesh ki indiar baper des
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১০:৪৬ পিএম says : 0
    হাঁ কয়েক দিন পূর্বে মাননিয় প্রধান মন্রীর বক্তব্য সঠিক হলে, এমনটি হওয়া ই স্বাভাবিক। প্রধানমন্রী বলছিল, ভারতকে গ্যাস দিতে রাজী হলে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা ই ক্ষমতায় আসতো। তবে খালেদা জিয়া কিসের বিনিময় ২০০১ এ ক্ষমতায় আসলো, প্রধানমন্রী জনগণকে জানালে ভাল হতো। কারণ খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ভারতকে গ্যাস বা অন্য কিছু দেয় নাই। জনগণ তা ভাল করে ই জানে। এই দিকে কথানুযায়ী, ২০০৮ এবং ২০১৪ এর ভোটারবিহীন নির্বাচনে কিসের বিনিময় ক্ষমতায় আছে এবং এখন ও টিকে আছে তা জনগণ ভাল ভাবেই বুজতে পারছে। বিনা মাসুলে ট্রানজিট সহ অন্য কিছু দিয়ে বা চুক্তি করে ক্ষমতায় আছে বা টিকে থাকতে হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থ বিক্রয় করে কেহ ই চির দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। জনগণ তা ই বিশ্বাস করে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ