Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গোপালগঞ্জে সূর্যমুখী চাষে সাফল্য

| প্রকাশের সময় : ২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি-২ জাতের সূর্যমুখী চাষে সাফল্য এসেছে। এ সূর্যমুখীর বীজ সংরক্ষণ করে কৃষক আগামী আবাদ করতে পারবেন। হাইব্রিড সূর্যমুখীর মতোই এ সূর্যমুখী বিঘায় ১৮ মণ উৎপাদিত হয়। আগে হাইব্রিড সূর্যমুখী ছাড়া অন্য কোনো জাতের সূর্যমুখী ছিল না। ফলে কৃষক পরবর্তী বছরের চাষাবাদের জন্য বীজ রাখতে পারত না। প্রতি কেজি হাইব্রিড বীজ ১৬শ’ টাকায় ক্রয় করতে হতো। এ কারণে কৃষক সূর্যমুখী চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। বারি-২ জাতের সূর্যমুখীর বীজ সহজলভ্য। প্রতি কেজি বীজের মূল্য ২৫০ টাকা। এছাড়া কৃষক এ সূর্যমুখী আবাদ করে পরবর্তী বছরের জন্য এ বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। ফলে আগামীতে সূর্যমুখী চাষ সম্প্রসারিত হবে বলে কৃষি বিভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
বারি-২ জাতের সূর্যমুখী চাষাবাদের উন্নত প্রযুক্তির ওপর কৃষক মাঠ দিবস থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান। গতকাল সোমবার গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা গ্রামে পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প আয়োজিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের ডিডি সমীর কুমার গোস্বামী। প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে গোপালগঞ্জ হর্টি কালচার সেন্টারের ডিডি মো: আব্দুল মজিদ, জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা রমেশ চন্দ্র ব্র‏হ্ম, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা হরলাল মধু, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মিজানুর রহমান, বৈজ্ঞানিক সহকারী ওয়ালিউর রহমান, কৃষক মো: আমজাদ ফকির, মো: জাফরউল্লাহ মোল্লা বক্তব্য রাখেন। গোবরা গ্রামের কৃষক মো: আমজাদ হোসেন বলেন, এ জাতের সূর্যমুখী বিঘায় ১৮ মণ ফলেছে। কলাই ফসলের তুলনায় এ ফসল চাষাবাদ লাভজনক। আগে হাইব্রিড সূর্যমুখীর চাষ করেছি। সে সূর্যমুখীর বীজ রাখা যেত না। পরিবর্তী বছর ১৬শ’ টাকা দিয়ে প্রতি কেজি বীজ কিনে এনে আবাদ করতে হতো। হাইব্রিডের তুলনায় এ সূর্যমুখীর ফলন বেশি। নতুন এ সূর্যমুখীর বীজ রাখা যায়। ফলে আমাদের এলাকায় এ সূর্যমুখীর চাষ সম্প্রসারিত হবে। পিরাজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচ এম খায়রুল বাসার বলেন, ভোজ্যতেল হিসেবে সূর্যমুখীর তেল মানবদেহের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ। এর চাষাবাদ সম্প্রসারিত করতে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি-২ সূর্যমুখী জাত উদ্ভাবন করেছে। গোপালগঞ্জে এ বছর প্রথম এ জাতের ট্রায়ালে সাফল্য এসেছে। সূর্যমুখী চাষ সম্প্রসারিত হলে ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমিয়ে দেশ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গোপালগঞ্জ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ