Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন হ্রাসের প্রয়াস সচল রয়েছে : জাতিসংঘ

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনার হুমকি দিলেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার জলবায়ু পরিবর্তন কমিয়ে আনতে বৈশ্বিক গতিশীলতা তৈরি করেছেন। গত শুক্রবার জাতিসংঘের জলবায়ু-বিষয়ক প্রধান প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা এ মন্তব্য করেছেন। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি এক চিঠিতে প্যাট্রিসিয়া লিখেছেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এখনো একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। যখন চুক্তিটি গৃহীত হয় তখন সবগুলো দেশই এটা সমর্থন করেছে। প্যাট্রিসিয়া চিঠিতে জলবায়ু পরিবর্তন কমিয়ে আনতে বৈশ্বিক গতিশীলতার বেশকিছু উদাহরণ তুলে ধরেন।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতিসংঘ ও চীনের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে বিশ্বে সৌর বিদ্যুতের সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া অনেক সরকারই বৈশ্বিক উষ্ণতা কমিয়ে আনতে আইন পাস করছে। প্যাট্রিসিয়া বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন কমিয়ে আনতে সরকারগুলোর এ গতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে কোম্পানি, বিনিয়োগকারী, শহর ও অঞ্চলে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ তেল কোম্পানির প্রধান নির্বাহীরা সা¤প্রতিক সময়ে প্যারিস চুক্তির পক্ষে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। এক নির্বাহী আদেশে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিগত ওবামা প্রশাসনের নেয়া পরিকল্পনা বাতিল করলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কার্বন নিঃসরণের কারণে বেড়ে যাওয়া বৈশ্বিক উষ্ণতাকে সীমিত রাখতে ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান নামের সেই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন বিগত ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। পরিকল্পনাটি বাতিল করে এনার্জি ইন্ডিপেন্ডেন্স এক্সিকিউটিভ অর্ডার নামে নতুন নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের আদেশে যুক্তরাষ্ট্র স্বাক্ষরিত প্যারিস চুক্তির উল্লেখ না থাকায় কার্বন নিঃসরণ ২ শতাংশে সীমিত রাখার ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক সমঝোতার বাস্তবায়নও সংশয়ের মুখে পড়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক শিল্প-কারখানাগুলোকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে ট্রাম্প পরিবেশগত বিধিনিষেধ কমিয়ে আনার যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তার মধ্যে এই নির্বাহী আদেশকে সবচেয়ে জোরালো মনে করা হচ্ছে। প্রাণ-প্রকৃতি-পরিবেশের এই বিপন্নতার প্রেক্ষিতে গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে কপ ২১ নামের একটি সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একটি জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হন বিশ্বনেতারা। চুক্তির আওতায় বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত বছর নভেম্বরে ওবামা প্রশাসন ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। শুরু থেকেই ওই প্যারিস চুক্তির বিরোধিতাকারী ট্রাম্প জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক উৎপাদন ফিরিয়ে এনেছেন। নির্বাচনের আগে থেকেই ট্রাম্পকে জলবায়ু চুক্তিবিরোধী অবস্থানে দেখা গেছে। গত নভেম্বরে এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে অঙ্গীকারবদ্ধ ট্রাম্প বিভিন্ন উপায় খুঁজছেন। চুক্তি থেকে বের হয়ে আসতে চার বছরের একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে চুক্তিটি সমঝোতামূলক হওয়াতে কেউ এটি না মানলে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ নাই। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ