Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাংকিং খাতে

প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্ট : মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাংকিং খাতে। গত বছর সংরক্ষিত মূলধনের পরিমাণ ৭৫ হাজার ৩৫২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৪ সাল শেষে যা ছিল ৭১ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে মূলধন বেড়েছে ৩ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ০১ শতাংশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং নীতিমালা ব্যাসেল-৩ এর আলোকে গত মার্চ প্রান্তিক থেকে ব্যাংকগুলোর মূলধন রাখতে হচ্ছে। এর আগে ব্যাসেল-টু নীতিমালার আলোকে ন্যূনতম চারশ কোটি টাকা অথবা ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ, এর মধ্যে যেটি বেশি সে হারে মূলধন রাখতে হতো। এখনো একই হারে মূলধন রাখতে হচ্ছে। তবে পরিবর্তনটা এসেছে এখন ১০ শতাংশের মধ্যে উদ্যোক্তা মূলধন রাখতে হচ্ছে ন্যূনতম সাড়ে চার শতাংশ। এছাড়া ব্যাংকিং পরিভাষায় টিআর-১ ও টিআর-২ নামে পরিচিত ঘরে আলাদাভাবে মূলধনের হিসাব করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর ১০ দশমকি ৮৪ শতাংশ মূলধন সংরক্ষণ করেছে। সেপ্টেম্বরে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬ লাখ ৯০ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে ১০ শতাংশ হারে ৬৯ হাজার ৬১ কোটি টাকা সংরক্ষণের প্রয়োজন ছিল। ব্যাংকগুলো রেখেছিল ৭২ হাজার ৭২০ কোটি টাকা যা ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত জুনে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের বিপরীতে ব্যাংকগুলো ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ হারে মূলধন রেখেছিল। আলোচ্য সময়ে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি মালিকানার আট ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর আর্থিক সুস্থতা এবং স্থিতিশীলতার অন্যতম পরিমাপক হচ্ছে মূলধন পর্যাপ্ততা। সারা বিশ্বে ব্যাসেল প্রণিত নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলো মূলধন সংরক্ষণ করে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকগুলোর মুনাফার অংশ মূলধনে স্থানান্তর, পুনঃমূলধনীকরণ ও প্রভিশন ঘাটতি কমার কারণে ব্যাংকের সংরক্ষিত মূলধন বেড়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে ব্যাংকিং খাতে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ