Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চৌদ্দগ্রামে ২ সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ থাকায় ৩ উপজেলার চালকদের দুর্ভোগ চরমে

| প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা সংবাদদাতা : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবস্থিত দুইটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেয়ায় দূর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। বিশেষ করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সিএনজি অটোরিকশা চালকদের।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার কোম্পানী কালির বাজারস্থ মেসার্স এম এ খালেক সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও আমজাদের বাজারস্থ মেসার্স চিওড়া সিএনজি ফিলিং স্টেশন বন্ধ করে দেয় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী (বিজিডিসিএল)। স্টেশন দুটির মালিক উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের আলহাজ এম.এ খালেক। ২০১২ সাল থেকে স্টেশন দুটি নিয়ে হাইকোর্টে বাখরাবাদ ও আবদুল খালেকের মামলা চলমান রয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটি জাজমেন্ট হওয়ার সাথে বাখরাবাদ কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই স্টেশন দুটি মিটার খুলে নিয়ে যায়। এর ফলে চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোট ও লাকসামের সিএনজি অটোরিকশাগুলো গ্যাস লোড দিতে চালকদের প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। গ্যাস লোড করতে তাদেরকে কুমিল্লা অথবা ফেনী যেতে হয়। গ্যাস নিতে না পারায় বসে পড়েছে অনেক সিএনজি। দুর্ভোগে পড়েছে যাত্রী সাধারণ।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোটে মামলা করেন অত্র ফিলিং স্টেশনের মালিক আলহাজ এম.এ খালেক। মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে অনিয়ম, দুর্নীতি আর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কতিপয় কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বদলিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। তারা বিভিন্ন তদবির ও লবিং করে পুনরায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আসেন। আর ফিরে ফিরে এসেই সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে একই মালিকের দু’টো গ্যাস ফিলিং স্টেশন একই সময়ে মিটার খুলে নিয়ে যায়।
জনসাধারণ ও স্টেশনগুলোর সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তারা জানায়, বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি আমাদের এখানে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করেন। কোন অনিয়ম তারা উক্ত ফিলিং স্টেশনে পাননি। কোন অনিয়ম আমাদের এখানে ধরা পড়েনি। তবুও তারা আমাদের মিটার খুলে নিয়ে যায়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিএনজি চলাচলে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে সিএনজি চালকরা অন্যকোন পাম্প থেকে গ্যাস নেওয়াতে অনেক ঝুঁকি পোহাতে হবে বলে জানান তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চৌদ্দগ্রাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ