Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভারতীয় চরকে পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে

| প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, ভারতের কথিত গুপ্তচর কুলভূষণ যাদবকে দেশটিতে প্রচলিত আইনের বিধি-বিধান মেনে প্রাণদন্ড দেয়া হয়েছে। তার শাস্তিকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাদন্ড বলে ভারত যে অভিযোগ করেছে তা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনী যে তৎপরতা চালাচ্ছে তাই হচ্ছে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাদন্ড। পাক সিনেটে দেয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, যাদবকে প্রাণদন্ড দেয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানে প্রচলিত বিধি-বিধান বিরোধী কিছুই করা হয়নি। কিন্তু ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে এখনো যা ঘটছে তাকেই পূর্বপরিকল্পিত হত্যাদন্ড বলা হয় বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, যাদবের বিচার প্রক্রিয়া তিন মাস ধরে চলেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথিত গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর দায়ে পাকিস্তানের একটি সামরিক আদালত গত সোমবার যাদবকে প্রাণদন্ড দিয়েছে। পাক সেনাবাহিনীর একটি ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল বা এফজিসিএমে তার বিচার করার পর তার প্রাণদন্ড দেয়া হয়। পাক সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া এ প্রাণদন্ডর অনুমোদন করেছেন। গত বছরের ৩ মার্চ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স অভিযানের মাধ্যমে হোসেইন মোবারক প্যাটেল ওরফে যাদবকে আটক করা হয়েছিল। তাকে বেলুচিস্তানের মাশকেল থেকে আটক করা হয়। যাদবকে গ্রেফতার করার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সংলাপ প্রক্রিয়া নাকচ করে দিয়েছিল নয়াদিল্লি। গোয়েন্দা কুলভূষণ যাদবের প্রাণদন্ড আদেশকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সংসদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সব দলের এমপিরা। গতকাল ভারতীয় সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভার কাজ শুরু হতেই কুলভূষণ যাদবের প্রাণদন্ড আদেশের বিরুদ্ধে সদস্যরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদে সোচ্চার হন। বেশকিছু সদস্য পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র ঘোষণা করার দাবিও তোলেন। সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ দাবি করেন, তার ভাষায়, পাকিস্তান একটি মিথ্যা মামলা তৈরি করেছে। আসলে পাকিস্তানের কাছে কুলভূষণের বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ নেই। কুলভূষণের ফাঁসি হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন সুষমা। পার্সটুডে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ