Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কলাপাড়ায় নদী তীরসহ বনাঞ্চল কেটে তৈরি করা হচ্ছে স্থাপনা

প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৩৭ পিএম, ১৫ এপ্রিল, ২০১৭

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নদী তীর দখল করে স্থাপনা তোলার হিড়িক চলছে। উপজেলার চাকামইয়া-টিয়াখালী দোন নদী তীরে প্রভাবশালীরা যে যেভাবে পারছে বনবিভাগের ছইলা-কেওড়া গাছসহ বনাঞ্চল পর্যন্ত কেটে উজাড় করে একের পর এক স্থাপনা নির্মাণ করছে। ইতোমধ্যে নবনির্মিত বাসস্ট্যান্ড থেকে চাকামইয়া ব্রিজ হয়ে উত্তরদিকে পর্যন্ত অন্তত শতাধিক স্থাপনা তোলা হয়েছে। কেউ কেউ আবার পাকা স্থাপনা তুলছে। বর্তমানে ফ্রি-স্টাইলে স্থাপনা তোলার কাজ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া উপজাতি রাখাইন সম্পদায়ের শ্মশানসহ গোটা এলাকা দখল করে করাতকলসহ বাড়িঘর তোলা হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে রাখাইন পল্লীর বাসীন্দাদের। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়া পৌরশহর থেকে এ নদীর পাড়ের বেড়িবাঁধটি সড়ক ও জনপথ বিভাগ মহাসড়কে উন্নীত করে। বেড়িবাঁধের নদীর সাইটে পাঁচ বছর আগেও বনবিভাগের সংরক্ষিত বাগান ছিল। ছিল ছইলা-কেওড়াসহ বাঁধের ¯েøাপে সামাজিক বনায়নের গাছপালা। কিন্তু এসব কেটে সাবাড় করে দেয়া হয়েছে। এখন বাঁধের ¯েøাপসহ বাঁধ সংরক্ষণের মাটি কাটার জায়গাসহ ভরাট করে বাড়িঘরসহ স্থাপনা তোলা হয়েছে। বনের গাছের মধ্যে পাকা স্থাপনা তোলা হয়েছে। নদী পর্যন্ত রক্ষা পাচ্ছে না। এদিকে নতুনপাড়া (চইয়াপাড়া) রাখাইন পল্লীর বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, তাদের শ্মশানসহ গোটা এলাকা দখল করে করাতকলসহ বাড়িঘর তোলা হয়েছে। বহুবার বাধা দেয়া হয়েছে কিন্তু কোনো প্রতিকার তারা পাননি। এখন শ্মশানে যাওয়া-আসার পথটুকু পর্যন্ত নেই। চারপাশ দিয়ে মাটি কেটে নেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং উপজেলা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি এবিএম সাদিকুর রহমান জানান, দখলদার উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বনবিভাগ কলাপাড়া আফিসের কর্মকর্তা আবুল কালাম আযাদ জানান, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের সাংবাদিকদের জানান, ভূমি প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ