Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হাওর এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : হাওর এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসনে সংশ্লিষ্টদের আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে এ পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেগুলো আরও বেশি প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের প্রেস বিফ্রিংয়ে এবং একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মন্ত্রী জানান, সবাই যেন ত্রাণ পায়, সে জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, হাওর এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ পৌঁছানো গেছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চারটি মন্ত্রণালয় সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিয়েছে।
বৈঠকে হাওরের বন্যা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রিলিফ এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট যে মিনিস্ট্রি রয়েছে তারা যাতে একটু তৎপর হয় সে ব্যাপারে অনুশাসন দেয়া হয়েছে।
কোন ধরনের তৎপরতার কথা বলা হয়েছে- এ বিষয়ে শফিউল আলম বলেন, যা প্রয়োজন পুনর্বাসনের জন্য, জনগণ যাতে সন্তুষ্ট হয় যে আমাদের জন্য কিছু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান করে ফেলেছে, কাজও করছে। তারপর যেটা করছে সেটা যাতে সবাইকে জানানো হয়।
বাঁধ নিয়ে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ আছে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাঁধ নিয়ে আলোচনা হয়নি। অন্য ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে যে মানুষ ঠিকভাবে রিলিফ পাচ্ছে কিনা’?
শফিউল আলম বলেন, পর্যবেক্ষণ হচ্ছে রিলিফ মানুষের কাছে পর্যাপ্ত পৌঁছেছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয় সাথে সাথেই স্টেপ নিয়েছে, মানুষ ফিল করছে যে কিছু কাজ হয়েছে। আলোচনা হয়েছে যে অনেক কাজ হচ্ছে, এটাকে একটু প্রচারে নিয়ে আসা- এটা প্রধানমন্ত্রীর ম্যাসেজ।
বৈঠক  সূত্রে জানা যায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে বা অন্যান্য দেশের মতো ইপিজেডে ভিন্ন নামে ট্রেড ইউনিয়ন করার ব্যবস্থা করা যায় কিনা তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় ইপিজেড আইন নিয়ে কথা উঠলে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাদের ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়ন করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, সেসব দেশে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর নেই। যা  আছে তা হলো ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন। আপনারাও দেখেন অন্য নামে করা যায় কিনা।
বৈঠকে হাওর এলাকার পানিতে ইউরেনিয়াম ও মাছের মৃত্যু নিয়ে আলোচনা উঠে আসে। মন্ত্রীদের কয়েকজন বলেছেন, পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে, হাওরের পানিতে ইউরেনিয়াম পাওয়া যাচ্ছে। ইউরেনিয়াম পাওয়া গেলেতো ভালো। ইউরেনিয়াম অনেক দামি। এটা সংগ্রহ করা যেতে পারে।
হাওরে মাছ মারা যাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পত্র-পত্রিকায় লেখা হচ্ছে হাওরে মাছ মারা গেছে, এর হিসাব হলো কীভাবে? কোন পরিসংখ্যান দিয়ে এর পরিমাপ করা হলো? মাছ মারা যাওয়ার হিসাব করা হলো কীভাবে?
জীবাণুসহ মাছ-পোনা আমদানিতে কারাদন্ডের আইন হচ্ছে
আমদানি করা মাছ, পোনা বা রেণুুর মাধ্যমে রোগজীবাণু ও ক্ষতিকর উপাদান প্রবেশ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত মাছ আমদানি ঠেকাতে নতুন একটি আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনের মাধ্যমে একটি কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে এবং কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনো মৎস্য, মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণু বা প্যাকিং দ্রব্য আমদানি করতে পারবে না। এই আইন অমান্য করলে দোষীরা অনূর্ধ্ব দুই বছরের কারাদন্ড বা ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। এসব বিধান রেখে ‘মৎস্য সঙ্গ নিরোধ আইন ২০১৭’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনের কথা বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব  বলেন, মাছ জাতীয় জিনিস এখন আমরা নিজেরা নিজেরা নিয়ে আসছি। কিন্তু ভবিষ্যতে আনতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। আমদানির অনুমতিপত্র এবং মৎস্যবিষয়ক সনদপত্র গ্রহণ, সংশোধন, বাতিলের এখতিয়ার দেয়া আছে কর্তৃপক্ষকে। এগুলো কর্তৃপক্ষ নিয়ন্ত্রণ করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, এটা একটা নতুন আইন। বিভিন্ন দেশ থেকে মৎস্য পোনা, রেণু আমদানি করা হয়। সেগুলোতে যেন রোগজীবাণু বা ক্ষতিকর কিছু না থাকে সেজন্য আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে এ আইন করার বিষয়টি এসেছে।
তিনি আরো বলেছেন, আমাদের দেশে যেসব মৎস্য জাতীয় প্রাণী আসা নিষিদ্ধ সেগুলো যেন না আসে। যেমন-পিরানহা, আফ্রিকান মাগুর এগুলো আনা আমাদের আইনে নিষিদ্ধ। যদি ভুলক্রমে চলে আসে তবে এ আইন প্রটেকশন দেবে।
শফিউল আলম বলেছেন, আইনে সঙ্গনিরোধের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, মৎস্য রোগের প্রাদুর্ভাব বা বিস্তার রোধে আমদানির মাধ্যমে আনা মৎস্যপণ্য, উপকারী জীবাণুু বা প্যাকিং দ্রব্যাদি পৃথকীকরণ এবং পরীক্ষার জন্য সরকার নির্ধারিত কোনো স্থান বা আঙিনায় মৎস্য সঙ্গ নিরোধ কর্মকর্তার নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অন্তরীণ বা পর্যবেক্ষণে রাখাই হচ্ছে সঙ্গনিরোধ।
শফিউল আলম বলেছেন, সরকার জনস্বার্থে সময়ে সময়ে মৎস্য, মৎস্যপণ্য বা উপকারী জীবাণুর আমদানির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে।
তিনি আরো বলেছেন, মৎস্য সঙ্গনিরোধের বিষয়ে সরকারকে সুপারিশ দিতে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মৎস্য সঙ্গনিরোধ কমিটি নামে একটি কমিটি গঠন করতে পারবে। এ আইনের উদ্দেশ্য পূরণে সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নির্ধারিত বন্দরে মৎস্য সঙ্গনিরোধ স্টেশন করতে পারবে।
শফিউল আলম বলেছেন, কোনো পুকুর, দীঘি বা জলাশয়ে বা কোনো আঙ্গিনায় মৎস্য সঙ্গনিরোধবিষয়ক রোগ-জীবাণু হিসেবে পরিচিত বা অনুমিত রোগ-জীবাণু পাওয়ার ক্ষেত্রে মালিককে নিকটস্থ মৎস্য সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে অবহিত করবেন। এ আইনের অধীনে অপরাধের জন্য পুলিশ সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবে না জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেছেন, তা আবার জামিনযোগ্য হবে। বিচারিক আদালতের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতও এ আইনের অধীনে করা অপরাধের বিচার করতে পারবে।
এখন বিদেশ থেকে আসা মাছ সঙ্গনিরোধ করা হচ্ছে কীনা-জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন যে বিদেশ থেকে মাছ আসছে তা প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় চেক করা হয়। এখন সেটা কার্যকর করার জন্য এই আইনটি হচ্ছে।
 মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হার কমেছে
চলতি বছর প্রথম ত্রৈমাসিকে মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার গত বছরের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ কমেছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় নেয়া সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের হার ৪৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ। গত বছর একই সময়ে এই হার ছিল ৬২ দশমিক ০৩ শতাংশ।  বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১০টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। এতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় ১০১টি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে ৪৭টি। ৫৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। অপরদিকে গত বছরের একই সময়েও ১৩টি মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ওই সময়ে সিদ্ধান্ত হয় ৭৯টি। এর মধ্যে ৪৯টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নাধীন ছিল ৩০টি। বাস্তবায়নের হার ছিল ৬২ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মন্ত্রিসভায় লাকি আখন্দের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব
মন্ত্রিসভায়  মুক্তিযোদ্ধা এবং কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লাকি আখন্দের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে একটি শোকপ্রস্তাব গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রিসভায় বলা হয়, লাকি আকন্দের মৃত্যুতে দেশের সাংস্কৃতিক জগতে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে, তা পূরণ হওয়ার নয়। বঙ্গবন্ধুর আহŸানে ১৯৭১ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে লাকি আখন্দের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগদান করার অবদানের কথা স্মরণ করেন মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভায় বলা হয়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তার সুমধুর সুরে নতুন ধারার গানগুলো মুিক্তযোদ্ধাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মন্ত্রিসভায় লাকি আখন্দের রুহের মাগফিরাত কামনা করে এবং তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয়।



 

Show all comments
  • Nur- Muhammad ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:২৫ এএম says : 0
    ধন্যবাদ মাননীয় প্রধান মন্রী, হাওরবাসীদের জন্য উদ্যোগ নেওয়ায় আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। এই উদ্যোগটি আর ও আগে নিলে,ক্ষয় ক্ষতি কম হত, হাওরবাসী বেঁচে যেত। দেশ, মানব সৃষ্ট, দল লুন্ঠনকারীদের কারনে বন্যায় ভাসছে। হাওর ভাসছে। হাওরবাসী আহাজারী করছে। এমন সময়ই মাননীয় প্রধানমন্রী পাশের দুই দেশে সফর করছে। সফরে বন্ধু দেশ আমাদের কাছ থেকে পেল কিন্ত আমাদের প্রাপ্তির খাতায় শূন্যই রহে গেল। পৃথিবীর ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, কোন দেশ প্রধান, বিদেশের মাটিতে সফরে গেলে, ঐ সময়ে তার দেশে দুর্যোগ দেখা দিলে, সরকার প্রধান তক্ষনাত সফর সংক্ষিপ্ত বা বাতিল করে, নিজ দেশের দুর্যোগ এলাকায় চলে আসে। জনগণের পাশে দাড়ায়। দুর্যোগ থেকে সর্ব শক্তি দিয়ে জনগণকে টেনে তুলে। কিন্তু আমাদের জনগণের মন্দ কপাল। জনগণের ভাগ্যে তা হলো না। বিদেশ থাকায় জনগণ প্রধানমন্রীকে পেল না। উপরন্ত পানি মন্রনালয়ের মন্রী সব দোষ জনগণের উপর চাপায়ে দিল। মন্রীর ভাষ্য মতে, জনগণ বাধ কেটে এই বন্যা বা বিপর্যয় ডেকে আনছে। মন্রী নিজের অবহেলাকে জনগণের উপর চাপায়ে দিল। জনগণ এই বিপদে ও চিৎকার দিয়ে বলছে, দলিয় ক্যাডার ও চোরের দল লুটে পুটে খেয়ে ফেলছে। তাই বাধ হয় নাই। বাধ যে খানে হলো না সে খানে বাধ কাটবে কোন খান থেকে। জনগণ সত্য বলছে।আর মন্রী দায়িত্বে অবহেলা করে ক্ষমতার দাপটে কথা বলছে। তাই এখন আর বিদেশ সফর নয়। কাল বিলন্ব নয়। মাননীয় প্রধান মন্রীকে এখনই হাওর বা দুর্যোগ এলাকায় যাওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। জনগণের পাশে সহযোগিতার হাত নিয়ে দাড়ানোর সবান্ধব অনুরোধ করছি। হাওরবাসী তাদের বিপদ কেটে উঠক, এই দোয়া করছি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:২৩ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্রী, হাওরবাসীর দুর্যোগ মোকাবেলায় আপনি ত্রাণ মন্রীকে ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রটোকল আনুযায়ী হয়ত ঠিক আছে। কিন্তু এই বিপর্যয়ে জনগণ সরাসরি আপনার সংন্পিকততা চায়। নতুবা দূর্নীতি হবে। জনগণ কিছুই পাবে না। হাওরবাসীর এই দুর্সময়ে জনগণের পাশে কেবল বঙ্গ কণ্যা ই দাড়াতে পারে,আর কেহ নয়। ত্রান জনের অনেক কথা জনগণের অন্তরকে ক্ষত বিক্ষত করছে। তার পরিবার নারায়ণ গন্ঞ্জের ৭ খুনের প্রধান হিসাবে জড়িত। হয়ত মন্রীর আল্লাদে ৭ খুন প্রধান খুন করছে। জনগণ মনে করে, সচ্ছ বিবেক থাকলে, মন্রী মহোদয় অনেক আগেই পদ ত্যাগ করতেন। কিন্তু তিনি পদ ত্যাগ করেন নাই। বরনচ জনগণের কাধের উপর বোঝা হয়ে বসে আছেন। তাই জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি না খেলে, আপনাকে সৎ লোক নিয়ে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • ম.আ.হোসেন ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৪:২৯ পিএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অবশ্য পালনীয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার-এর সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংস্থার সমন্বয়ে স্বল্প (খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা), মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী (পানি ব্যবস্থাপনা, প্লাবন সহিঞ্চু ধানজাতসহ ভূমি ও মৃত্তিকার ভৌত এবং রাসায়নিক গুণাবলীর ভিত্তিতে উপযোগী শাক-সব্জি চাষ এবং ফল বাগান গড়ে তুলতে হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ধানের সাথে মাছ (খাচায়) এবং ধানের সাথে হাস চাষ করে কৃষকের খাদ্য নিরাপত্তা বিধান করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এবং বাজার ব্যবস্থার উন্নতি সাধন করতে হবে। অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কতৃপক্ষের অধীনে ওয়াটার ট্যাক্সি পরিচালনার মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি সাধন এবং পর্যটন বাড়ানো সম্ভব। এক্ষেত্রে প্রাইভেট-পাবলিক পার্টনারশিপ গড়ে তোলা সম্ভব। হাওড় এলাকার স্বচ্ছল প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:৪৩ পিএম says : 0
    @ Nur- Muhammad , তোমাকে আমি ছোট ভাই বলেই ডাকছি কারন আমি জানি তুমি বয়সে আমার চেয়ে অনেক ছোট। তুমি আমার লিখা পড়ে এবং আমি একজন গাজী মানে মুক্তিযোদ্ধা শুনে আমাকে অনেক সম্মান দিয়েছ সেজন্য আমি তোমাকে ধন্যবাদ জানাই। তোমার সেই লিখার জবাব দিতে মাশ খানেক সময় লেগেছে এটা নিশ্চয় অবাক হবার কথা। আমি জানি আমার বিভিন্ন লিখা তুমি পড়ে থাকলে জেনেছ যে আমার রাজনীতি শুরু ছাত্রলীগের মাধ্যমে আর শেষ করেছি এই প্রবাস জীবনে কানাডা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক হিসাবে। আমি ১৯৯৬ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারপ্রাপ্তই হিসাবেই কাটিয়ে দিয়েছি। শারীরিক কারনে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে বাধ্য হয়েছি। তাই বলে আমি কট্টর এএল নই তবে হা আমি কট্টর বাঙ্গালী, কট্টর মুসলমান ও কট্টর দেশ প্রেমিক এই তিনটা বিষয় আমি আপোষ করিনা কাওর সাথে। তেমন কোন অসুবিধা হলে সড়ে পড়ি কিন্তু এরই মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। তাই আমি এএল এর বিরুদ্ধে এমনকি জননেত্রী হাসিনা যাকে আমি ভীষন শ্রদ্ধা করি তাকেও অন্যায় করলে ছাড় দেই না ফলে আমি তার জন্য অনেক কিছু করার পরও তিনি আমাকে কিন্তু একটুকু উপকার কিংবা সহানুভূতি জানান নি বরং আমাকে এড়িয়ে গেছেন। আমি এতে কোন পরোয়া করিনি এবং করিনা এটাই আমার ধর্ম। যদি আমার করা কাজে উনি উপকৃত হয়েছেন কিন্তু এসব কাজ আমি দেশের জন্য করেছি। বিএনপি ক্ষমতায় তখনও আমি দেশের জন্য করেছি ফয়দা নিয়েছে বিএনপি আমার যায় আসেনা কারন আমার কাছে আল্লাহ্‌ পরে দেশ পরে দল এই নীতিতেই আমি চলি। তুমি আমাকে বলেছিলে একসাথে কাজ করতে কিন্তু কিভাবে সেটা করা যায় আমি জানতে পারিনি কারন তোমার লিখা পড়ে আমি কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। এখন তুমি আমাকে বলতে পার কি কি ভাবে কি করতে চাও তাহলে আমি দেখব এই প্রবাস জীবনে আমি কতটুকু কি করতে পারি। কারন ইতিমধ্যে আমি বেশ কিছু কাজে হাত দিয়েছি যেমন রোহিঙ্গা সমস্যা; এতিম খানা একটা চালাই ২০০৮ থেকে এটা ছিল বরুরা থানায় নিয়ে আসছি ঢাকায় সামনের মাশ থেকে এটা নিয়েও ব্যাস্ত; আমি প্রাইমারী স্কুলের সাথেও জড়িত ওইদিকেও কাজ করতে হয়। আবার বিআরএমজি শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি কাজেই আমার এই অসুস্থতার কারনে নতুন ভাবে জড়াতে চাইছিলাম না। আমার মেঝ মেয়ে কানাডার এক এনজিতে পরিচালক হিসাবে কাজ করছে তাই একটু সুযোগ আছে বলেই এসব কাজে জড়িয়েছি নয়ত আমি পারতাম না। এখন বুঝে নিও আমার পক্ষে সম্ভব কিনা? আল্লাহ্‌ তোমাকে কোন বিশেষ দল নয় দেশের ও দশের জন্য কাজ করার ক্ষমতা দান করুন আমীন।
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৮:৪০ এএম says : 0
    হে বাংলার সর্বশেষ্ঠ সন্তান মোহাম্মদ শাহ আলম খান আপনাকে আমি ( নূর- মোহাম্মদ, পোড়াকান্দি, তিতাস, কুমিল্লা। বর্তমান- ঘড়িদারপাড়া, ধামরাই, ঢাকা।) জানাচ্ছি হাজার ও ছালাম। আপনার মত বীর মুক্তি যোদ্ধাকে এই ছোট লিখনীর মাধ্যমে আমি নগণ্য কি ভাবে সন্মান করবো। আপনার কিছু বিশেষন জানতে পেরে, দেশপ্রমের জাগরন এমনি জেগে উঠছে। মাননীয় প্রধান মন্রী হাওরবাসীকে পর্যাপ্ত ত্রাণ দেওয়ার কথা বলছে। আমরা পূর্বে ও এখন ও বলছি, এই ত্রাণ যেন লুটপাট না হয়। হাওরবাসী যেন সুষ্ঠ ও সঠিক ভাবে ত্রাণ পায়। প্রধান মন্রী খেয়াল রাখলে এটা সন্ভব হবে। নতুবা কাদের সাহেবের কাউয়ার দল খেয়ে ফেলবে।মাননীয় প্রধান মন্রী ইপিজেড এ ট্রেড ইউনিয়নের কথা বলছেন। এটা শ্রমিকদের গণতান্তিক অধিকার। তবে এই অধিকার গণতান্তিক ভাবেই হইতে হবে। রাজনৈতিক লেজুর ভিত্তিক হলে, আমাদের রপ্তানী অর্জন ধ্বংস হবে। ঘোলাটে হবে। তাই এই ব্যপারে সবায়কে সজাগ থাকতে হবে। আবার আসি শ্রদ্ধেয় খান ভাই এর কাছ, আপনি বলছেন, মাননীয় প্রধান মন্রীকে অনেক সন্মান করেন। আমি ও বঙ্গবন্ধুর কণ্যা, বঙ্গ কণ্যা, জননেত্রীকে শ্রদ্ধা করি। আমি আর ও শ্রদ্ধা করি আপোষহীন ও দেশ নেত্রী খালেদা জিয়াকে। দেশের বিরাট একটি অংশ তার সাথে আছে। তাই তাকে ছালাম। সাবেক প্রসিডেন্ট এরশাদের সময় আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র। তুমুম স্বৈরাচার বিরুধী আনন্দলোনের কর্মী। শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া সহ অনেক জাতীয় নেতার ডাক শুনছি। জাতীয় নেতাদের সাথে আনন্দলোন করছি। এই আনন্দলোনে স্বৈরাচারের পতন হলো। গণতন্রের বিজয় হলো। মজার ব্যাপার হলো এরশাদ এই সময় জেলে ছিল। জেল থেকে এরশাদ পাঁচটি সিটে বিজয়ী হলো। এরশাদের এই বিজয়, গণতন্রেরই বিজয় বলা যায়। তার মাঝে জনসমর্থন, জনসেবা, গণতন্র না থাকলে এই বিজয় হইত না। তাই তার এই জনসমর্থনকে সন্মান করতে হয়, শ্রদ্ধা করতে হয়। অতএব, গণতন্রের কর্মী হিসাবে আমি সকল নেতাকে সন্মান ও শ্রদ্ধা করি। সন্মানিত খান ভাই, একসাথে কাজ করা মানে আমি জাতীয় ঐক্য ও দেশ প্রেমকে বুজাতে চেয়েছি। আপনি অসুস্হ আছেন জেনে খুব মনঃ পিড়া হলো। সর্বশক্তিমান আল্লাহ কাছে আপনার অরোগ্য ও প্রবাস জীবনের সাফল্য কামনা করছি। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ