Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কালবৈশাখীতে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ নিহত ২

| প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : দেশের বিভিন্নস্থানে কালবৈশাখী ঝড়ে কমপক্ষে ২ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। এছাড়া বাড়িঘর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ফসল ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পাবনায় প্রাচীর ধসে নিহত ১
পাবনা জেলা ও চাটমোহর উপজেলা সংবাদদাতা : কালবৈশাখী ঝড়ে পাবনা পৌর এলাকার কুঠিপাড়ায় বাড়ির সীমানা প্রাচীর ধসে ১জন নিহত ও ২জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাবনার উপর দিয়ে বয়ে যায় প্রচন্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড় এবং সেই সাথে শুরু হয় বজ্রবৃষ্টি। প্রায় ১৫ মিনিট স্থায়ী কালবৈশাখী ঝড়ে কুঠিপাড়ায় এক বাড়ির সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। তখন ঝড় ও বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্যে দৌড়ে বাড়ি ফেরার সময় সীমানা প্রাচীর ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলেই মোজাফ্ফর হোসেন (৬০) নিতহ হন। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র। এ ঘটনায় স্বপ্না খাতুন নামে একজন আহত হয়েছেন। তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে, জেলার চাটমোহর উপজেলায় বজ্রপাতে ভবানীপুর এলাকার বজ্রপাতে বাসুদেব নামে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সে ওই গ্রামের বৈদ্যনাথের পুত্র। তাকেও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : সদর উপজেলার মস্তফাপুর গ্রামের তোতা খলিফার ছেলে এসএসসি ফলপ্রার্থী জুয়েল খলিফা (১৫) ঝালকাঠীতে তাবলিগে গিয়ে রবিবার বিকেলে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ১ জন আহত হয়। সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১মাস ১০দিন আগে মাদারীপুরের ২১ এসএসসি পরীক্ষার্থী ৪০দিনের তাবলিগে বের হয়। সোমবার তাদের এক চিল্লা শেষে ফিরে আসার কথা ছিল। রোববার বিকেলে ঝালকাঠীতে মসজিদের সামনে বের হলে হঠাৎ বজ্রপাতে জুয়েলসহ দু‘জন আহত হয়। আহত অবস্থায় তাদের ঝালকাঠী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে জুয়েল মারা যায়। অপর ১জনকে বরিশালে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত জুয়েল এবার সদর উপজেলার মস্তফাপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল
বাউফলে আহত ১০
বাউফল উপজেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর বাউফলে ঝড়ে উপজেলার কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপড়ে পড়েছে শতাধিক গাছ। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। এদের মধ্যে কালাইয়া গ্রামের লিটু বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি বজ্র্রপাতে আহত হয়েছেন। তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, রোববার বিকেলে আকস্মিকভাবে ঝড় শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যুত সরবরাহ। গতকাল সোমবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত তা বন্ধ থাকে। ঝড় সারা দিনই থেমে থেমে চলে । বজ্রপাতে, গাছের ডালের আঘাতে ও টিনে কেটে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন এলাকার কমপক্ষে ২০টি ঘর, ৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফসলের মাঠ ও উপড়ে গেছে দুই শতাদিক গাছপালা।
রামগতিতে মসজিদ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ঘূর্ণিঝড়ে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ২টি মসজিদ ও একটি নৌপুলিশ ফাঁড়িসহ প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপড়ে পড়েছে পাঁচ শতাধিক গাছপালা। সোমবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত রামগতি উপজেলার মেঘনার উপক‚লীয় বড়খেরী ও চরগাজী ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এ ঝড়ে বয়ে গেছে। বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।স্থানীয়রা জানান, ঝড়ে উপজেলার কয়েক শ’ একর জমির সায়াবিন, বাদাম, মরিচ ও বিভিন্ন প্রকার ডাল নষ্ট হয়ে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কালবৈশাখী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ