Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেবা খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিলে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে-এফবিসিসিআই সভাপতি

| প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, সেবা খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নিলে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে। সার্ভিস সেক্টর যেমন আইনজীবী, চিকিৎসকরা কোনও পণ্য সরবরাহ করেন না। তারা মেধা ও শ্রম ব্যয় করছেন। সেজন্য সেবা খাতে ভ্যাট কমাতে আলাদাভাবে চিন্তা করা দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প কার্যালয়ে নতুন মূল্য সংযোজন ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ বাস্তবায়ন বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভাপতি বলেন, ৮ লাখের মধ্যে ৩০ হাজার ব্যবসায়ী ভ্যাট দেয় এটা শুনতে খারাপ এবং বলতে লজ্জা লাগে। আমরা চাই ৮ লাখ নিবন্ধন হলে ৮ লাখই ভ্যাট দেবে। সমস্যা কোথায়? সমস্যা সমাধানে ভ্যাট অনলাইন করা হয়েছে। এনবিআর থেকে বারবার বলা হচ্ছে, হয়রানি হবে না। কিন্তু মাঠে এ বার্তা পৌঁছাচ্ছে কই? মাঠে হয়রানির বিষয়ে এনবিআরকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, ভ্যাট অনলাইন চালু হলে আমাদের সঙ্গে কর্মকর্তাদের দেখা হবে না।
এনবিআরের কাছে ব্যবসায়ীরা প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা দেনা আছে জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বছরের পর বছর এই মামলা ক্যানসারের মতো ব্যবসায়ীদের মাথার ওপর বসে আছে। তাই এটার সমাধান হওয়ার দরকার। কিছু মওকুফ করে একটি নির্দিষ্ট সময় দিলে সমাধান হয়ে যাবে। কারণ, নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, গত অর্থবছরে ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে ৪ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হবে। রাজস্ব ছাড়া এত টাকা কীভাবে আসবে? অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা এনে করের বোঝা না বাড়িয়ে উন্নয়নের জন্য অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের জন্য সরকার এ আইন করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সবার সঙ্গে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনার মাধ্যমে আইনটি তৈরি করতে পাঁচ বছর লেগেছে। তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এ আইন ভালো। এর ফলে আর উকিল লাগবে না। এটা ভালো ব্যাপার। এমনিতেই দেশে ২৮-৩০ লাখ মামলা অমীমাংসিত হয়ে আছে। ফলে নতুন ভ্যাট আইনে নতুন করে যেন কোনও মামলা না হয় সেজন্য এটা ইতিবাচক।
নতুন ভ্যাট আইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় প্রয়োজন ও অর্থনৈতিক শৃঙ্খলাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এ আইনের প্রয়োজন রয়েছে বলে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সবাই বলেছে। সবাই এ আইনকে সাধুবাদও জানিয়েছেন। পুরনো ভ্যাট আইনও ভালো ছিল। সময়ের সঙ্গে সমস্যা দেখা দেওয়ায় এর পরিবর্তন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। সেজন্য নতুন ভ্যাট আইন করা হয়েছে। করদাতাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, অনলাইনে ভ্যাট দেওয়া ও পুরনো আইনের পরিবর্তনের প্রয়োজনে নতুন ভ্যাট আইন করা হয়েছে।
এ আইন অত্যন্ত স্বচ্ছ দাবি করে আইনমন্ত্রী বলেন, অর্থপাচার বন্ধে যে আইন হয়েছে তার জন্যও নতুন ভ্যাট আইন প্রয়োজন। এটি বাস্তবায়নে সবার সম্পৃক্ততা জরুরি। ব্যবসায়ীরা যদি সহযোগিতা করেন তাহলে ভ্যাট নিবন্ধন ৮ লাখ ও রিটার্ন দাখিল ৩৫ হাজারের যে ব্যবধান তা কমে আসবে। এ আইন বাস্তবায়ন কঠিন হবে না।
সৎ ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনা, সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে, ব্যবসায়ীদের এমন আশ্বাস দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বলেন, সৎ ব্যবসায়ীরা এনবিআরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন। এজন্য দেশীয় শিল্প সুরক্ষা, রফতানিমুখী খাতকে প্রণোদনা দেওয়াসহ কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আমরা কাজ করছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এফবিসিসিআই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ