Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

হেফাজতের সঙ্গে চুক্তির প্রশ্নই ওঠে না প্রধানমন্ত্রী

হাওরের পানিতে ইউরেনিয়াম থাকার অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে

প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭

বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হেফাজতের সঙ্গে আমাদের কোনো চুক্তি হয়নি। চুক্তির প্রশ্নই ওঠে না। এ বিষয়টি নিয়ে অযথা বিতর্ক সৃষ্টির কোনো সুযোগ নেই। গত সোমবার রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাওর এলাকার পানিতে ইউরেনিয়াম থাকার অপপ্রচার ছড়ানোর জন্য বিএনপিকে অভিযুক্ত করে বলেছেন, তারা পুরো বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু অপপ্রচার আমরা দেখতে পাচ্ছি। আমি দেখলাম বিএনপি’র কোন একজন নেতা ভাবখানা এমন মহাবিজ্ঞানী, জ্ঞানী তিনি বলে দিলেন, ভারত থেকে ইউরেনিয়াম এসে এই হাওর অঞ্চলের মাছ মেরে ফেলছে।
তিনি বলেন, যখন এই অভিযোগটা আসল তখন কিন্তু আমরা বসে থাকিনি। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন থেকে বিজ্ঞানী পাঠিয়ে সেখানকার পানি পরীক্ষা করা হলো। তারা বললো সেখানকার পানিতে এরকম কিছু পাওয়া যায়নি। একথা শোনার পরেও তারা (বিএনপি) প্রেস কনফারেন্স করে একথা বলে বেড়াচ্ছে- এর মানে কি? শেখ হাসিনা বলেন, আমি বলবো, তারা যে কথাটা বলছে তার প্রমাণ নিয়ে তারা উপস্থিত হোন। তারা যদি বৈজ্ঞানিকভাবে এটা ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখাতে পারে, তবে জনগণ বিশ্বাস করবে। না হলে তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার জনগণ কখনও মেনে নেবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন কোথাও এরকম বন্যা ও জলোচ্ছ¡াস হয়, তখন সেখানকার মাছ ও জলজপ্রাণী মারা যায়। সেটাও কেন মারা যাচ্ছে সে বিষয়ে আমরা খবর নিচ্ছি। কিন্তু, নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে মানুষের মধ্যে এই যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এটা অবশ্যই কারো কারো চরিত্র। এক শ্রেণীর লোক আছে তারা জ্ঞান পাপী। তারা দেখে হোক না দেখে হোক উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা কথা বলে বেড়াবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা বলছে, আমি নাকি হেফাজতের সঙ্গে সন্ধি করে ফেলেছি। চুক্তি করে ফেলেছি। তিনি বলেন, চুক্তিটা কি করলাম। হেফাজতের সঙ্গে আমাদের তো কোন চুক্তি হয়নি। চুক্তির প্রশ্নই ওঠে না।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষার ক্ষেত্রে কওমী মাদ্রাসার অবদান রয়েছে। এটাকে অস্বীকার করা যাবে না। দেওবন্দ যে কওমী মাদ্রাসা, যারা প্রথম ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন শুরু করে তাদের হাতেই তৈরি, তারাই করেছিল। সেখানকার যে কারিকুলাম সেটা কিন্তু ভারত গ্রহণ করেনি। ভারতে যদি আপনারা খোঁজ নেন তাহলে দেখবেন- কোলকাতায় যেসব মাদ্রাসা আছে সেখানে হিন্দু, মুসলমান সকলেই লেখাপড়া করছে। এরকমও মাদ্রাসা আছে যেখানে ৪০ ভাগ হিন্দু শিক্ষার্থীও রয়েছে। আমাদের কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ৬টি বোর্ডে বিভক্ত। তাদের কারিকুলাম আলাদা। এখানে কি পড়ালেখা হচ্ছে তার খবর কেউ কোনদিন রাখেনি। তারা সেখানে ফার্সি, আরবি, উর্দু প্রভৃতি ভাষা শিখায়। পাশাপাশি অনেক মাদ্রাসায় আবার কম্পিউটারসহ অনেক কিছুই শিখাচ্ছে। দেশের ৭৫ হাজার কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ১৪ লাখ। তাদের কারিকুলাম কী, তারা কী শিখছেন, সঠিকভাবে কেউ বলতেই পারে না। তারা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ পান না, চাকরি পান না। তাদের শিক্ষার কোনো মূল্য নেই। তারা দেশে কাজ পান না, বিদেশে পান। তারা কোনো কিছু করে খেতে পারে না। এই ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনটা কি আমরা ভাসিয়ে দেব?
প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের প্রতি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, তারা কী এদেশের নাগরিক নয়? তাদের জীবনের কী কোনও মূল্য নেই? তাদের কি আমরা অন্ধকারে ঠেলে রেখে দেব? তাদের কি আমরা আলোর পথ দেখাব না? তাদের কি মূল ধারায় নিয়ে আসব না? তারা যে কারিকুলামে শিক্ষা গ্রহণ করুক, যেন তারা যেন জীবিকার সুযোগ পান, নাগরিক হিসেবে তাদের যে অধিকার আছে, সেটা আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। সেই জায়গায়টাই আমরা একটা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এই উদ্যোগ বহু আগে থেকেই নিয়েছিলাম যে, তাদের কারিকুলামটা ঠিক করে দেওয়া, তাদের শিক্ষাটা যেন মানসম্মত হয়, তারা যেন সঠিক পথে শিক্ষা গ্রহণ করে জীবিকা নির্বাহে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন প্রতিটি মাদ্রাসার নেতৃস্থানীয়দের নিয়ে আমি বসি। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ওপরই দায়িত্ব দিয়েছিলাম। দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর ৬টি কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের সবাই এক হয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা তাদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি এবং নীতিগতভাবে তারা একটি সিদ্ধান্তে এসেছেন যে, কারিকুলামটা তারা গ্রহণ করবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এজন্য আমি ওলামাদের নিয়ে একটি কমিটি এবং পরে একটি কমিশন গঠন করি। তাদেরকেই দায়িত্ব দিয়ে বলি আপনারা এক জায়গায় বসে একটি সমঝোতায় আসেন। তাদেরকে সনদ দেয়ার জন্য আমরা আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ও করে দিয়েছি। যেখান থেকে তারা সনদ পেতে পারেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার পর ৬টি কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের লোকজন এক হয়ে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্তে এসেছেন যে তারা কারিকুলাম গ্রহণ করবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যখন তারা এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তখনই আমরা ঘোষণা দিলাম, আমরা সনদ দেব। আর তাদের কারিকুলামগুলো কেমন হবে সেটির জন্য একটি কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়েছে। তাদের অফিসও দেয়া হয়েছে, তারা সেখানে বসে এই কারিকুলাম ঠিক করবেন। এতো দেওবন্দের কারিকুলামও তারা গ্রহণ করবেন এবং এর বাইরে আর কি কি নেবেন তা তারা ঠিক করবেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, হাইকোর্টে যে স্ট্যাচু করা হয়েছে সেটা নিয়েও কথা উঠেছে। গ্রিক গডেস অব জাস্টিস, থেমেসিস। তার স্ট্যাচু। কিন্তু গ্রিক স্ট্যাচুকে যখন শাড়ি পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দেয়া হলো- আমি সে বিষয়টিই চিফ জাস্টিসকে বলেছিলাম।
তিনি বলেন, স্ট্যাচুতো আমাদের দেশে অনেক আছে, থাকবে। এটাতো হাজার বছরের পুরনো একটা বিষয়। হাইকোর্টের মতো জায়গায় হঠাৎ এটা স্থাপন করা হলো কেন? ঈদগাহে নামাজ পড়তে গেলে এটা কেন আড়াল করে দেয়া হলো না। আর স্ট্যাচু যখন থাকবে তখন এটাকে কেন বিকৃত করা হলো। কাজেই আমি নিজেও বলেছি এটা আমার পছন্দ না। এটা আমি চিফ জাস্টিসকে বলেছি এবং যে ভাস্কর করেছেন তাকেও বলেছি।



 

Show all comments
  • kawsir ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৫৬ এএম says : 0
    আমার বুঝে আসে না, একদল বলছে ভোটের জন্য হেফাজতকে কাছে টানছে, আরেক দল বলছে হেফাজতের সাথে কোন চুক্তি হয় নাই। আমি বুঝি না হলে সমস্যা কোথায় ?
    Total Reply(0) Reply
  • Nur- Muhammad ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৭:১১ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধান মন্রী, আপনার কথা ই চুক্তি। হেফাজতের সাথে দেওয়া নেওয়ার কথা হয়েছে, তাই জনগণ এটাকে চুক্তি বলছে। গণতন্র ও জনগণের জন্য সহায়ক হলে, যে কোন ব্যক্তি বা দলের সাথে চুক্তি হতে পারে। এটা দোষের নয়। জনগণ এমন চুক্তি গ্রহন করে। ইতিহাস তা স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখে। হয়ত এমন ও হতে পারে, আপনার এই চুক্তি জনগণ যুগের পর যুগ সংরক্ষণ করবে। যে চুক্তি ভোটাধিকার ও গণতন্র হরণ করে, সে চুক্তি জনগণ প্রত্যাখান করে। এমন একটি চুক্তি হলো, ২০১৪ সালের .......... দলের সাথে ভোটারবিহীন নির্বাচন করার চুক্তি। জনগণ এই ভোটারবিহীন নির্বাচন চাইলো না কিন্তু আপনার ও ...... দল মিলে মিশে ক্ষমতার ভাগ বাটরা করলেন। যা এখন ও বিদ্যমান আছে। তাই ২০১৪ সালে জনগণ ছাড়া যে দলের সাথে আফস রফা করে আপনি ক্ষমতার মসনদ আকরে আছেন, তা জনগণ প্রত্যাখান করছে। "১৪ এর চুক্তি কলন্কিত চুক্তি। বঙ্গ বন্ধুর কণ্যা হিসাবে আপনার ললাটে এই কলন্কের তিলক থাকতে পারে না। জনগণ এই তিলক থেকে মুক্তি চায়। তাই কাল বিলন্ব না করে, তোষামদকারীদের কথা না শুনে এখন ই ভোটাধিকার ফিরে দিয়ে বঙ্গ কন্যার দৃঢ়তার পরিচয় দিন। এতে জনগণ আপনার পাশে থাকবে। ধন্য ধন্য বলে জয়ের শ্লোগান দিবে। কওমী মাদ্রাসাকে যোগ উপযোগী করা হচ্ছে, এটা অবশ্যই ভালো কাজ। এখানে সমালোচনার স্হান নাই। যারা একদিন বঙ্গবন্ধুর অধিক সমালোচনা করছিল, তারা ই এটা বাঁকা চুখে দেখছে। তাদের লাগাম টেনে ধরুন, দেখবেন ভালো কাজের সমালোচনা বন্ধ হয়ে গেছে। কেননা এদের কোন জন ভিত্ত বা ভোট নেই। রাজনীতিতে সমালোচনা করাই এদের পূঁজি। কওমী মাদ্রাসাগুলিত আরবী পড়ানু ঠিক আছে। উর্দু, ফার্সি র ব্যপকতার কি দরকার আছে? এই দুইটি ভাষা কমায়ে, যোগ উপযোগী বিষয়গুলি পড়ালে ছাত্ররা অবশ্যই যোগ্যতাসন্পন হবে। মাননীয় প্রধানমন্রীর কওমী মাদ্রাসার উদ্যোগকে সুস্বাগতম জানায়ে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। সবায়কে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:০০ পিএম says : 0
    এতদিন কোথায় ছিলেন,,, আজ হঠাৎ ভারত সফরের পর হেফাজতের জন্য আপনার দরদ উতলে পড়ছে কেন জনগণ জানতে চাই!!! আজ কেন হঠাৎ প্রত্যেক জেলায় মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা জনগণ সবই বুঝে,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৬:২১ পিএম says : 0
    জননেত্রী শেখ হাসিনা এখানে যে সব কথা বলেছেন সবই অক্ষরে অক্ষরে সত্য কাজেই এটা নিয়ে সামনে কোন কথা উঠা উচিৎ নয়। আমি বলতে চাই প্রধানমন্ত্রী ও এএল এর সভানেত্রী একজন জননেত্রী শেখ হাসিনা। যখন প্রধানমন্ত্রী কোন কথা বলেন তারপর আর কোন কথা থাকতে পারেনা বা সমালোচনা হতে পারেনা এটাই নিয়ম। এখন কেহ যদি নিয়ম না মানে তাহলে আমার বলার কিছুই নাই কারন এটা তার নিজস্ব শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী ইসলামি শিক্ষা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন এরপর কাওর যদি কিছু বলতে হয় তাহলে ওনার কথাকে প্রথম মিথ্যা প্রমান করেই বলা উচিৎ। বাংলাদেশে আমরা লেখাপড়া করি এবং উচ্চ ডিগ্রী নেই কিন্তু শিক্ষা নেই না। শিক্ষা এবং লেখাপড়া দু’টাই ভিন্ন বিষয় লেখাপড়া করলেই যে, শিক্ষিত হবে এটা ঠিক নয়। বাঙ্গালী মুসলমানরা এটা বুঝতে চান না বলেই আমাদের আজকের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তারপর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন মাদ্রাসায় উর্দু, ফার্সি শিক্ষা দেয়া হয় আমি মনে করি সেখানে ইংরেজী, হিন্দি ও হিব্রু ভাষাও যোগ করা উচিৎ কারন ভাষা ভাল ভাবে জানা থাকলে ঐ ভাষায় প্রচারিত গ্রন্থ বুঝতে সুবিধা হয়। ইসলাম শুধু আরবী, ফারসি, উর্দু ভাষায় লিখা হয়নি তাই বিভিন্ন মনীষীদের লিখা পড়তে হলে তাকে সেই সব ভাষায় পারদর্শি হতে হয়। তাছাড় দেশের একটা বৃহত্তর অংশ ইসলামি ইতিহাসে এতই পারদর্শি হচ্ছে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার শিক্ষা সাধারণদের কোন কাজেই লাগছেনা এটা দেশের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। সেকারনেই জননেত্রী ২০০৯ সাল থেকে এদের নিয়ে ভাবছেন এবং এদেরকে একটা পর্যায়ে নেয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রিখেছেন তারই ফসল সরকারের এই সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি নেত্রী হাসিনার হেফাজত নিয়ে যে সমালোচনার ঝড় বিইছে সেটার ইতি এখানেই টানা হবে। আমি হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদেরকে ভীষন ভয় পাই কারন মনের আবেগ নিয়ে কিছু সত্য কথা বললেই “কন্ডেম অব কোর্ট” এই আইনের আওতায় পরতে হয়। তারপরও একটা কথা আজ না বলেই পারছিনা কারন আমি প্রবাসী হলেও আমার ফেলে আসা দেশটা আমরাই স্বাধীন করেছিলাম সেই অধিকারেই আমি বলতে চাই এই পবিত্র স্থান যেখানে মানুষকে ন্যায় দেয়া হয় সেখানে কিভাবে একটা মূর্তি স্থাপন করে দেশের ৯৫% নাগরিকের মনে আঘাত দেয়া হচ্ছে??? আমি মনে করি জননেত্রী শেখ হাসিনা বিষয়টা এখন সংসদে এনে সরাসরি ভাবে আইন পাশ করে এটা ভেঙ্গে সেখানে কোন মূর্তি বা ভাস্কর যাতে আর না লাগানো হয় সেই আইন পাশ করা উচিৎ। এবং সাথে সাথে এটাও পাশ করতে হবে যে এই আইন বিচারের উর্ধে কাজেই এই আইন নিয়ে কোন মামলা হবে না। কেন বলেছি সেট নিশ্চয়ই বুঝা গেছে। বিএনপি অভিযোগ করেছিল হাওর এলাকার পানিতে ইউরেনিয়াম এসেছে ভারত থেকে আর তাই মড়ক লেগেছে। এর জবাব দেয়া উচিৎ ছিল আমলাদের তারা বিএনপিকে রাগাতে চায়না তাই তারা চুপ চাপ বসে ছিল। এখান আমলাদের দায়িত্বছিল মিথ্যা অভিযোগ সাথে সাথে খন্ডিয়ে বহুল প্রচার করা যাতে করে জনগণ বিভ্রান্ত না হয়। কিন্তু আমলারা মুখে কুলুপ এটে বসে ছিল এর কারন কি আমরা বুঝিনা আমলা ভাইরা??? আপনারা আমলারা জনগণের চাকর আর আপনাদের কর্তব্য ও দায়িত্ব জনপ্রতিনিধিদের হুকুম মানা এবং তাদের পাশে থেকে তাদেরকে ভুল করা থেকে বাঁচিয়ে রাখা এজন্য আপনারা সরকারি কর্ম কর্তা। ............... ইয়া আল্লাহ্‌ আপনি আমাদের আমলাদেরকে সত্য কথা বলা এবং সততার সাথে জীবন যাপন করার ক্ষমতা দান করুন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • nazrulislam duku mia ২৬ এপ্রিল, ২০১৭, ৯:২৮ পিএম says : 0
    Sekh hasina aponake dohnubad allah aponake basya rakoc
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ