Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সেবা গ্রহীতাদের ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু

| প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জনবল রাজস্বকরণ না হওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা বিঘিœত ডা. মো. আবুল হাশেম খান
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের স্বাস্থ্যসেবার অবিচ্ছেদ্য অংশ কমিউনিটি ক্লিনিক। তৃৃণমূল পর্যায়ে প্রতি ছয় হাজার জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা হিসেবে বর্তমানে সারাদেশে ১৩ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে। গত আট বছরে (২০০৯-২০১৭) সারাদেশে প্রায় ৫৮ কোটি ৮৯ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন ও চিকিৎসা সেবা নিয়েছে। একই সময়ে ৯৪ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি জরুরি ও জটিল রোগীকে উন্নত ব্যবস্থাপনার জন্য উচ্চতর পর্যায়ের হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে এ হাসপাতালে সেবা গ্রহীতাদের ৮০ শতাংশ নারী ও শিশু। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম শুধু দেশেই নয়, দেশের গন্ডী পেরিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। বিশ্বের অনেক দেশ কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রমকে স্বাস্থ্য সেবার রোল মডেল হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল ছিল জাতীয় কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস। দিবসটি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন কার্যক্রম পালন করা হয়। স্বাস্থ্য ২০০০ সালের এই দিনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার পাটগাতী ইউনিয়নের গিমাডাঙ্গা কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধনের মাধ্যমে সেবা কার্যক্রমের সূচনা করেন। স্বাস্থ্য বিভাগ ২০০৯ সাল হতে ২৬ এপ্রিলকে ‘কমিউনিটি ক্লিনিক দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।
কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পের লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. আবুল হাশেম খান জানান, বর্তমানে প্রতিদিন একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে গড়ে ৩৮ জন সেবাগ্রহীতা আসছেন। গত আট বছরে প্রায় সোয়া ৮শ’ কোটি টাকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি কিছু কমিউনিটি ক্লিনিকে গর্ভবতী মায়েদের স্বাভাবিক ডেলিভারি হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৯ হাজার স্বাভাবিক ডেলিভারি হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। কমিউনিটি গ্রæপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রæপ সদস্য এবং স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিরা; বিশেষ করে ইউনিয়ন পরিষদ স্থানীয়ভাবে কমিউনিটি ক্লিনিকের দৈনন্দিন পরিচালনা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, স্থানীয়ভাবে তহবিল সংগ্রহ ও ব্যবহার নিশ্চিতকরণসহ পরিচালনায় সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে বলে তিনি জানান।
ডা. মো. আবুল কাশেম খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত একটি অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কার্যক্রম এটি। তিনি জানান, জনমুখী এ কার্যক্রম ১৯৯৬ সালে গৃহীত হয়, বাস্তবায়ন শুরু হয় ১৯৯৮ সালে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কার্যক্রম চলে। পরে ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকার ক্ষমতায় এলে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত যা চলমান থাকে।
পরবর্তীতে ২০০৯ সালে রিভাইটালাইজেশন অব কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ইনিশিয়েটিভস ইন বাংলাদেশ (আরসিএইচসিআইবি) শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিক পুনঃরুজ্জীবিতকরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এটি ২০১৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।
প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলে জুলাই ২০১৫ হতে সিবিএইচসি অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকের সব কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু হয়ে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে চতুর্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচিতে কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) অপারেশনাল প্লান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নারী ও শিশু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ