Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নেছারাবাদ সামাজিক বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জব্দ করা গোলপাতা বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে

| প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : নেছারাবাদে চলতি মাসে সুন্দরবন থেকে আনা অবৈধ সুন্দরী কাঠের সাথে জব্দ করা গোলপাতা গোপনে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে নেছারাবাদ উপজেলা বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেনের বিরুদ্ধে। ওই বন কর্মকর্তার জব্দ করা গোলপাতা থেকে প্রায় দু’শ’ পোন গোলপাতা বিক্রি করে ইতোমধ্যে ত্রিশ হাজার টাকার বেশি হাতিয়ে নিয়েছেন বলে গোলপাতা ক্রয়কার একাধিক লোকের সাথে কথা বলে জানা গেছে। গত ৭ এপ্রিল আটক করা ওই গোলপাতা স্টক করে রাখার পর থেকে প্রতি পোন (কুড়ি গন্ডা) দুইশ’ টাকা মূল্যে স্থানীয় আঃ লতিফ, কামরুলসহ অন্তত ২৫ জনের কাছে গোপনে বিক্রি করে তিনি ওই টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
গত শুক্রবার সরেজমিন জানা গেছে, সুন্দর বনের বগিরেঞ্জ থেকে বৈধ পাশে বিক্রি করতে আসা একটি গোলপাতার নৌকায় অবৈধ সুন্দরী কাঠ থাকার অভিযোগে ইন্দুরহাটের খাল থেকে গত ৭ এপ্রিল উপজেলা বনকর্মকর্ত কোস্টগার্ড নিয়ে ওই নৌকাটি আটক করেন। পরে ওই নৌকা থেকে নিষিদ্ধ সুন্দরী কাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে প্রায় বিশ কাহন ( ১৬ পোনে এক কাহন) গোলপাতাও জব্দ করেন বন বিভাগ। জব্দ করা ওই গোলপাতা উপজেলা বন বিভাগের অফিসের সামনে চুনপোড়া খালের পাড়ে তুলে স্টক করে রাখা হয়। পরে জব্দ করা গোলপাতার স্টক থেকে বন কর্মকর্তা সাজ্জাত হোসেন প্রায় দুইশ’ পোন গোলপাতা বিক্রি করেন। গোলপাতার ক্রেতা স্বরূপকাঠি গ্রামের কামরুল বলেন, একটু কম দামে পেয়েছি বলে দুইশ’ টাকা দরে তিনি ছয় পোন গোলপাতা ক্রয় করেন। জব্দ করা গোলপাতা গোপনে বিক্রির কারণ এবং বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা জানার জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাত হোসেনের অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলতে চাইলেও তিনি ফোন ধরেননি। কিছুক্ষণ পরে ০১৯১৫৭৯১৬৮২ নম্বরের একটি মোবাইল ফোন থেকে জিজ্ঞেসকরা সাংবাদিককে গোলপাতার বিষয় নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে নিষেধ করা হয়। বেশি বাড়াবারি করলে কাঠ পাচার মামলায় জড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয় ওই ফোন থেকে। উপজেলা বন কর্মকর্তা কর্তৃক গোলপাতা বিক্রি করার বিষয় জানতে চাইলে সামাজিক বনায়নের বাগেরহাট ডিভিশনের ডিএফও মোল্লা রেজাউল করিম বলেন, জব্দ করা মালামাল নিলাম ছাড়া বিক্রি করা যাবে না। বিষয়টির নিজে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ডিএফও রেজাউল করিম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নেছারাবাদ

১১ ডিসেম্বর, ২০২১
১২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ