Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীতে ২৫ নৌদস্যুর আত্মসমর্পণ

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৭, ৩:৪৩ পিএম

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা : পটুয়াখালীর শিল্পকলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন দুই বাহিনীর ২৫ সদস্য। একই সঙ্গে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদও জমা দিয়েছেন তারা।
আজ শনিবার ১১টার দিকে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের আলিফ ও কবিরাজ বাহিনীর সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছেন।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বাংলাদেশের নৌসীমা ও বঙ্গোপসাগর নৌদস্যু মুক্ত করতে বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বদ্ধপরিকর। তার দিকনির্দেশনায় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় একাধিক নৌদস্যু বাহিনীর সদস্যরা র‌্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে এখন স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে এবং তাদের পুনর্বাসন করতে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ ছাড়া যেসব নৌদস্যু এখনো সমুদ্র সীমায় সাধারণ জেলেদের ওপরে আক্রমণ করছে তাদেরও আত্মসমর্পণের আহ্বান জানান মন্ত্রী। একই সঙ্গে সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে বলেও জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. আমরাম হোসেন, কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বসির উদ্দিন আহমেদ, কলাপাড়া চার আসনের সাংসদ আলহাজ মাহবুবুর রহমান তালুকদার, পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজা খান মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক একেএম শামীমুল হক ছিদ্দিকী, পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান প্রমুখ। আলিফ বাহিনীর সদস্যরা হলেন, আলিফ বাহিনীর প্রধান আলিফ মোল্যা ওরফে দয়াল(৪২), রেজাউল শেখ ওরফে ছোট (২৮), সফিনুর রহমান সফি (২০), আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে আব্দুলা (৪০), হজরত আলী বরকন্দাজ ওরফে জামাই গুটি (৩৮), শাহিনুর আলম ওরফে শাহীন(২৯), জমির আলী জমু (৪৬), আল আমীন মোল্লা (৩৫), তাইজেল ওরফে বড় ভাই (২৭), সিরাজুল ইসলাম ওরফে সুমন (৪১), আলমগীর গাজী (২৬), কামাল শেখ (৩৮), হোসেন আলী ওরফে ভাগ্নে (২৮), সেলিম মোড়ল (৩৯), হজরত আলী গাইন ওরফে ওরফে আঙ্গুল কাটা হজরত (৩৯), পিয়ার আলী (৩৭), লিটন বিশ্বাস ওরফে দেওয়ান (৩২), হাবিবুর রহমান ওরফে বাছা (২৭) ও এনামুল গাজী ওরফে এনা (৩৫)। এদের বাড়ি খুলনা, মুন্সিগঞ্জ ও বাঘেরহাটসহ বিভিন্ন এলাকায়।
কবিরাজ বাহিনীর সদস্যরা হলেন, ইউনুচ আলী শেখ ওরফে কবিরাজ (৩০), নাজিম শেখ (৩৮), আলতাব উদ্দিন ফকির (৩৩), আবু শেখ (৪৬), সেলিম হাওলাদার (৩০) ও আশরাফ হোসেন ওরফে রাজু (৩৭)। এদের বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
এ সময় আত্মসর্মপণকারীরা র‌্যাবের কাছে ১০টি এক নালা বন্দুক, সাতটি বিদেশি দোনালা বন্দুক, চারটি ২ বোর বিদেশি এয়ার রাইফেল, ছয়টি ওয়ান শুটারগান এবং চারটি কাটা রাইফেল ও ১ হাজার ১১০ রাউন্ড গোলাবারুদ জমা দেন।
র‌্যাব জানায়, ১৯৯৭ সাল থেকে আলিফ মোল্লা একটি দল তৈরি করে বঙ্গোপসাগরের সুন্দরবন এলাকায় নৌদস্যুতা চালিয়ে আসছে। ২০১২ সাল থেকে ইউনুছ আলী ওরফে কবিরাজ একটি নৌদস্যু বাহিনী তৈরি করে বঙ্গোপসাগরের জেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের সর্বস্বান্ত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ