Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পারটেক্সের প্রথম, গাজীর নাটকীয় জয়

| প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই। তবে এখনও যে তারুণ্য উপচে পড়ছে, তার ঝলক দেখিয়েই চলেছেন আব্দুর রাজ্জাক। তিন ম্যাচের মধ্যে দ্বিতীয়বার পাঁচ উইকেট পেলেন এই স্পিন লিজেন্ড! গতকাল অবশ্য দলকে জেতাতে ব্যাটসম্যান রাজ্জাককেও প্রয়োজন ছিল শেখ জামালের। কিন্তু রান আউট থেকে বাঁচতে ডাইভ দিতে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পান অধিনায়ক। আর ব্যাটিং করতে পারেননি, চিকিৎসার জন্য তাকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। এরপর আর পেরে উঠেনি শেখ জামাল। হেরেছে ২০ রানে। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সাত ম্যাচে এটি খেলাঘরের তৃতীয় জয়, শেখ জামালের দ্বিতীয় হার।
তবে তাকে ছাপিয়ে গেলেন রবিউল ইসলাম রবি। তার টানা দ্বিতীয় শতকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতেছে খেলাঘর। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৬ রান করে খেলাঘর। সর্বোচ্চ রবির ১০৩ রানের সঙ্গে পাপ্পুর ৪৬, অমিতের ৫৮ লড়াকু স্কোর এনে দেয় নবাগত দলটিকে। ১০ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন রাজ্জাক। চলতি আসরে এনিয়ে ২১ উইকেট নিলেন দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই বাঁহাতি স্পিনার। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এ নিয়ে নবমবার পেলেন পাঁচ উইকেট। জবাবে ৪৭ ওভার ২ বলে ২৪৬ রানে অলআউট হয়ে যায় শেখ জামাল। দলের হয়ে লড়াই করে গেছেন জাতীয় দলে খেলা দুই ক্রিকেটার রাজিন সালেহ (৭৬) ও জিয়াউর রহমান ৭৫। তানভীর ইসলাম ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটাই তার সেরা বোলিং।
এদিকে, সপ্তম ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ইমরান আলীর নৈপুণ্যে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে হারিয়েছে প্রথম বিভাগ থেকে উঠে আসা দলটি। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে পারটেক্সের প্রথম জয়টি ৬২ রানের। এই জয়ে ১১ নম্বরে উঠে এসেছে পারটেক্স, ৭ ম্যাচে ষষ্ঠ হারের তিক্ত স্বাদ পাওয়া কলাবাগান রান রেটে এগিয়ে আছে ১০ নম্বরে।
ফতুল্লার খান সাহেব উসমান আলী স্টেডিয়ামে শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ২৭৮ রান করে পারটেক্স। জবাবে ৪৬ ওভার ১ বলে ২১৬ রানে গুটিয়ে যায় কলাবাগান।
কলাবাগানের প্রথম ৭ ব্যাটসম্যানের ছয় জনই পৌঁছান দুই অঙ্কে কিন্তু তাদের কেউই নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি। চল্লিশ ছাড়ান কেবল একজন- হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। তার সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে জসিমউদ্দিনের ৬৭ রানই সর্বোচ্চ জুটি। অর্ধশতকে জুটি নেই আর একটিও। শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো কলাবাগান জয়ের আশা জাগাতে পারেনি কখনো।
পারটেক্সের আগের ম্যাচে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেক হয় ইমরানের। সেই ম্যাচে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। এবার ৪২ রানে ৫ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। চমৎকার বোলিংয়ে জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নামা পারটেক্সের সাত ব্যাটসম্যানই পৌঁছান দুই অঙ্কে। সর্বোচ্চ ৫৮ রান ইরফান শুক্কুরের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান আসে সাজ্জাদুল হকের ব্যাট থেকে। এই দুই জনের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৯৫ রানের জুটি। কলাবাগানের বাঁহাতি স্পিনার নাবিল সামাদ ৫০ রানে নেন ৩ উইকেট।
একই দিন অপর ম্যাচে এনামুল হক ও আবু হায়দারের নৈপুণ্যে জয়রথ ছুটে চলেছে গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্সের। ব্র্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১০ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছে দলটি। ৭ ম্যাচে টানা সপ্তম জয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শীর্ষে রয়েছে গাজী। দুই নম্বরে থাকা আবাহনীর চেয়ে চার পয়েন্টে এগিয়ে আছে দলটি। ব্রাদার্সের এটি পঞ্চম হার। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৮ বল বাকি থাকতে ২৩৬ রানে গুটিয়ে যায় গাজী। গত ২৯ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ৯৫ রানে আউট হওয়া বিজয় (৯৭) এবারও কাটা পড়েছেন সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৭ রান আগে। জবাবে ৭ বল বাকি থাকতে ২২৬ রানে অলআউট হয় ব্রাদার্স।
খেলাঘর-শেখ জামাল
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংস্থা : ৫০ ওভারে ২৬৬/৮ (রবি ১০৩, সালাউদ্দিন ৪৬, নাফিস ৩, অমিত ৫৮, সাদাত ৬, মাসুম ১১, ডলার ৮, রেজাউল ৬, নাজিম ১১*, রনদিভ ০; শাহাদাত ০/৫৩, জিয়া ০/১৭, রাজ্জাক ৫/৫২, সানি ২/৪১, সোহাগ ১/৩৮, তানবীর ০/২২, রাজিন ০/৩৭)।
শেখ জামাল ধানমÐি ক্লাব : ৪৭.২ ওভারে ২৪৬ (মাহমুদ ১১, মাহবুবুল ৩, চোপড়া ৪৪, আল মামুন ০, রাজিন ৭৬, জিয়া ৭৫, সোহাগ ৮, তানবীর ১২, রাজ্জাক ১০, সানি ৫*, শাহাদাত ২; রনদিভ ০/৩৬, তানভির ৪/৪১, ডলার ১/৩৪, রেজাউল ০/৪৫, সাদাত ০/৩৩, মাসুম ১/৩৬, রবি ০/২১)।
ফল : খেলাঘর ২০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রবিউল ইসলাম রবি (খেলাঘর)।

পারটেক্স-কলাবাগান
পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব : ৫০ ওভারে ২৭৮/৫ (জনি ২৯, যতিন ৩৪, সাজ্জাদ ৪৬, ইরফান ৫৮, সাজ্জাদুল ৫৩, জুবায়ের ১৬*, রাজিবুল ৩০*; তুষার ০/২১, মুক্তার ১/৫৯, হাসান ০/৪৮, নাবিল ৩/৫০, সঞ্জিত ০/৩৭, আশরাফুল ০/১৪, মেহরাব জুনিয়র ০/২০, মাসাকাদজা ০/২৫)।
কলাবাগান ক্রীড়া চক্র : ৪৬.১ ওভারে ২১৬ (মেহরাব ১১, আশরাফুল ১২, জসিম ৩৪, মাসাকাদজা ৪৫, তাসামুল ৩৪, তুষার ০, নুরুজ্জামান ৩৪, মুক্তার ৩, হাসান ১৫, সঞ্জিত ৯, নাবিল ৫*; মামুন ২/৪১, মাসুম ১/১৬, মাসুদ ১/৩৯, রাজিবুল ১/২৪, যতিন ০/৪০, জুবায়ের ০/৬, ইমরান ৫/৪২)।
ফল : পারটেক্স ৬২ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইমরান আলী (পারটেক্স)।
গাজী গ্রæপ-ব্রাদার্স
গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স : ৪৮.৪ ওভারে ২৩৬ (এনামুল ৯৩, জহুরুল ৪, মুমিনুল ১৫, শুভ ৪১, রসুল ৬, নাদিফ ৩৩, ফারুক ৫, মেহেদী ৯, আলাউদ্দিন ১৯*, শহিদুল ৩, হায়দার ৫; সাদ্দাম ৩/৩৪, মাইশুকুর ১/২৭, নাঈম ০/৩২, কাপালী ৩/৪৮, নিহাদউজ্জামান ১/৪৬, বিসলা ১/১৭, কামরুল ০/৩২)
ব্রাদার্স ইউনিয়ন : ৪৮.৫ ওভারে ২২৬ (মিজানুর ০, জুনায়েদ ১৪, ফরহাদ ১৪, কাপালী ৪৯, বিসলা ৫৬, ধীমান ৩২, মাইশুকুর ৩৮*, সাদ্দাম ২, নিহাদউজ্জামান ৭, নাঈম ৯; হায়দার ৪/৫২, আলাউদ্দিন ০/৩৭, মেহেদী ২/৪৩, রসুল ১/৩০, শুভ ০/২৯, মুমিনুল ০/৬, শহিদুল ২/২৯)
ফল : গাজী গ্রæপ ক্রিকেটার্স ১০ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : এনামুল হক বিজয় (গাজী গ্রæপ)।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জয়

১৮ ডিসেম্বর, ২০২২
১৭ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ