Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিবপুরে ভূমিদস্যুদের হত্যার হুমকি সরকারি কর্মচারী সিদ্দিক বাড়ি ছাড়া

প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে : সীমানা দেয়াল ভেঙে বাড়িঘর লুটপাট করে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করতে ব্যর্থ হয়ে এখন আবু সিদ্দিককে হত্যার হুমকি দিচ্ছে প্রতিপক্ষ ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীরা। এসব সশস্ত্র ভূমিদস্যুদের ভয়ে এখন বাড়ী-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আবু সিদ্দিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, শিবপুর উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের বাঘাব গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র চাকুরীজীবি আবু সিদ্দিকের সাথে পার্শ্ববতী পাড়ার হিরন মিয়া গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের কারনে সন্ত্রাসীরা আবু সিদ্দিককে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত অপচেষ্টা চালাচ্ছে। গত ২২ ফেব্রুয়ারী হিরন মিয়া, বশির উদ্দিন, শাওন, ইছাক গংদের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আবু সিদ্দিকের বাড়ীতে হানা দেয়। তারা বাড়ীর দুদিকের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা সিদ্দিকের স্ত্রী নাজমা বেগমকে মারধোর করে এবং গায়ের কাপড়-চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে তার গলা থেকে একটি সর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পড়ে তারা শোকেজের ড্রয়ার ভেঙ্গে নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকা লুট করে। এসময় সিদ্দিকের ভাবী এগিয়ে এলে তাকেও মারধোর করে কাপড়-চোপড় খুলে শ্লীলতাহানী ঘটিয়ে তার গলা থেকে আটআনা স্বর্ণের একটি চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এব্যাপারে আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে শিবপুর থানায় হিরন মিয়া, বশির উদ্দিন, শাওন, ইসহাকসহ ৮/১০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে। এতে আসামীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যাকরার হুমকি ধমকি দিচ্ছে। আসামীরা তার বাড়ী গিয়ে এই মর্মে ঘোষণা দিয়ে এসেছে যে, মামলা তুলে না নিলে যেকোন মুহূর্তে তারা আবু সিদ্দিক ও তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে হত্যা করবে। এই ভূমিদস্যুদের হুমকির মুখে আবু সিদ্দিক ও তার স্ত্রী এখন বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিবপুরে ভূমিদস্যুদের হত্যার হুমকি সরকারি কর্মচারী সিদ্দিক বাড়ি ছাড়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ