Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সদ্যবিদায়ী যবিপ্রবি ভিসির বিরুদ্ধে অনিয়মের এন্তার অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সদ্যবিদায়ী ভিসি’র বিরুদ্ধে অবৈধপন্থায় নিয়োগসহ অনিয়ম ও দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে যবিপ্রবি’তে। দুর্নীতি দমনসহ বিভিন্ন সংস্থা তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত শুরু করেছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানিয়েছে। অধ্যাপক পদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকলেও অবৈধভাবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের ড. মো. জিয়াউল আমিন এবং কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাসকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আর্থিক সুবিধা নিয়ে ঘোষণার অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ। এসব বিষয় নিয়ে অসংখ্য অভিযোগ পত্রিকা দপ্তরে এসেছে। তিনি তার দায়িত্ব পালনকালে যবিপ্রবি’তে নিজস্ব একটি চক্র গড়ে তুলে সব অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। অভিযোগকারীদের বক্তব্য, পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করলেই থলির বিড়াল বেরিয়ে পড়বে।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক পদে নিয়োগের জন্য স্মারক নম্বর-যবিপ্রবি/১১২১/ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/ ১৪-১০৫১১ মোতাবেক একজন মাত্র প্রার্থী সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউল আমিন আবেদন করেন। তার চাকরী হয়। ড. জিয়াউল আমিনের পূর্বের কর্মস্থলের পদ শিক্ষকতা/ গবেষণা আছে কি না এবং শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ অনার্স পর্যায়ের সমমান কি না তা যাচাই বাছাই করা হয়নি। নিয়োগ কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয় ‘সরকারি/ স্বয়ত্তশাসিত গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা অনার্স পর্যায়ের কলেজ না হওয়ায় অভিজ্ঞতা হিসেবে অতীত চাকরি গণনার সুযোগ নাই।’ তারপর ভিসির উদ্যোগে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একইভাবে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যাপক নিয়োগের লক্ষ্যে স্মারক নম্বর-যবিপ্রবি/১১২১/ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি/ ১৪-১০৫১১ মোতাবেক একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস আবেদন করেন। অধ্যাপক পদের যোগ্যতা তার নেই তবুও গত ৩৯তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তাকে নিয়োগ দেওয়া হয় ভিসির উদ্যোগে।
অভিযোগ ড. বিপ্লব কুমার বিশ্বাস তথ্য গোপন করে যবিপ্রবিতে চাকরি নিয়েছেন। তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন, ২০০০-২০১১ সাল পর্যন্ত পেট্রোবাংলা লিমিটেড কোম্পানীতে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অথচ পেট্রোবাংলার চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরির অভিজ্ঞতার প্রমাণ হিসেবে ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পেট্রোবাংলা লিমিটেডের সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মো. ফারুক স্বাক্ষরিত যে প্রত্যয়নপত্র দেয়া হয়েছে সেটি কোনভাবেই অফিসিয়াল ডকুমেন্ট নয়। এছাড়া, উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সাত্তারের ৮বছরের মেয়াদের শেষের দিকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেন আর্থিক সুবিধা নিয়ে। সেজন্য, ৩০দিনে রিজেন্ট বোর্ডের ৩টি সভা করার নজীরবিহীন ঘটনা ঘটিয়ে সবকিছু অনুমোদন দিয়েছেন। অভিযোগ, সেকশন অফিসার পদে ৪ জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১জন ও কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সদ্যবিদায়ী ভিসিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, সবকিছু নিয়মের মধ্যেই হয়েছে। তবে কাজ করতে গেলে একটু আধটু অনিয়ম হতে পারে, তাই বলে দুর্নীতির অভিযোগ সত্য নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ