Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আ’লীগ খালি প্রতিবেশী রাষ্ট্রে দিয়ে আসতে পারে নিয়ে আসতে পারে না-গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

| প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মহানগর বিএনপির কর্মী সম্মেলনে সংঘর্ষের পর গতকাল রাজশাহী জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনেও সংঘর্ষ হয়েছে। রাজশাহী মহানগরীর পাঠানপাড়ার একটি কমিউনিটি সেন্টারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি নাদিম মোস্তাফা গ্রæপ ও বর্তমান সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন গ্রæপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। তাদের উপস্থিতিতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপুর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান মিনু, ও নগরের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনসহ দলের নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এতে বক্তব্যদেন। গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, আমেরিকায় ইভিএম পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গ্রহণের ফলে রাশিয়ার সহযোগিতায় ভোটের ফল কারচুপি ও চুরি করে হিলারিকে হারিয়ে ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এই স্বৈরাচারি সরকার সেই পদ্ধতিতে ভোট করতে চাচ্ছেন। যাতে ভোট চুরি করে নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ক্ষমতায় আসতে পারেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা মনে করে দলের জন্য ব্যক্তি বড় তাকে দলের দরকার নাই। আর যে মনে করে ব্যক্তির চেয়ে দল বড় তাকে দলের দরকার। যেখানে কথা বলার অধিকার নাই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নাই সেখানে এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজ জনগনের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে যারা আস্থা বোধ করে। তিনি বলেন, রাজশাহীর অনেক সমস্যা আছে। আমরা জানি নগরীতে সমস্যা আছে, জেলার মধ্যে সমস্যা আছে। প্রত্যেক জায়গার মধ্যে কিছু না কিছু সমস্যা আছে। সেই সদস্যর সম্পর্কে আমরা অবগত। সেই সমস্যগুলো সমধানের জন্য একটি সুষ্ঠ পথ দরকার। একটু সময়ের দরকার, একটু আলোচনা দরকার। আপনাদের সকলের কথা শুনেছি। এখান থেকে গিয়ে পার্টির চেয়ারপার্সনের কাছে বলবো। আপনাদের সমস্যাগুলি যেনো সমাধান হয়। কেউ যেনো কারো ইন্ধনে নেতৃত্বকে কুলষিত করতে না পারে।
তিনি বলেন, বিএনপিকে ভাঙার জন্য দেশী ও বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। আজ যারা দলের মধ্যে গÐগোল করছেন তাদের তারা ইন্ধন দিচ্ছে। তাদের ইন্ধনেই নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল করছে কেউ কেউ। সরকারের পক্ষ থেকেও ইন্ধন দেয়া হচ্ছে। আজ তারেক রহমান ট্রায়াল কোর্ট থেকে মুক্তি পেলেও উচ্চ আদালতে তাকে সাজা দেয়া হয়। খালেদা জিয়াকে কোর্টের বারান্দায় দাড় করিয়ে রাখা হয়। এতে বুঝা যাচ্ছে জিয়ার পরিবারকে ধ্বংশ করার জন্য এসব কাজ করা হচ্ছে। তাই নিজেদের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। জিয়াউর রহমান হলো বিএনপির অনুপ্রেরণা। খালেদা জিয়া সাহস ও তারেক জিয়া আগামী দিনের পথ চলার উৎসাহ। রাস্তায় যা কিছু হবে তা মোকাবেলা করা আমাদের দ্বায়িত্ব। আমাদের শক্তি ক্ষয় না করে সকল শক্তিকে এক করে রাজপথ দখল করতে হবে। আমাদের রাজপথে জবাব দিতে হবে শেখ হাসিনাকে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ খালি প্রতিবেশি রাষ্ট্রে দিয়ে আসতে পারে নিয়ে আসতে পারেনা। আওয়ামীলীগ বিদেশে প্রচুর অর্থ পাচার করেছেন। এর হিসাব দিতে হবে। আজ সারাদেশে একই সুর এই সরকার দূর্নীতিবাজ।
সভার এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ কোন্দলের জের ধরে কর্মীরা চেয়ার মঞ্চের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে ও সভার চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ বাইরে পরিস্থিতি সামাল দেয়। নেতারা ঢাকার উদ্যেশে রওনা দেবার জন্য বিমান বন্দরে গেলে সেখানেও জেলা ও মহানগর দুই নেতার মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এনিয়েও বিব্রতবোধ করেন কেন্দ্রীয় নেতারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ’লীগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ