Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাংবাদিকদের ওপর নজরদারি সরকারের বাকশালী দৃষ্টিভঙ্গি : রিজভী আহমেদ

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
বিদেশ ভ্রমণে সাংবাদিকদের ওপর নজরদারির নির্দেশনার সমালোচনায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এটা ‘একদলীয় সরকারের বাকশালী আচরণের’ বর্হিপ্রকাশ।
গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরামের এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে রিজভী এ মন্তব্য করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির  খোকনের মুক্তির দাবিতে ওই মানববন্ধন করা হয়।
রিজভী বলেন, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি। তাদের স্বাধীনতাকে আজকে বাংলাদেশে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। আজকে সত্য উচ্চারণ বন্ধ করেছে, মিডিয়ার ওপর স্বঘোষিত নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে। এখন তাদের চলাচলের ওপরে নজদারি করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকার করে না।
বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ‘দেশের স্বার্থবিরোধী কোনো তৎপরতায় লিপ্ত আছে কি না’  সে বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়ে গত বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে একটি সার্কুলার পাঠানোর খবর গত বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়।
সরকারের ওই সার্কুলারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নিষ্ঠুর, ঘাতক, বাকশাল, একদলীয় সরকারের এ ধরনের কর্মকান্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি আমরা। তিনি বলেন, সাংবাদিক ও গণমাধ্যম গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি। কিন্তু তাদের স্বাধীনতাকে আজকে সঙ্কুচিত করা হয়েছে। কারণ সত্য উচ্চারণ বন্ধ করা হয়েছে। মিডিয়ার ওপর স্বঘোষিত নিয়ন্ত্রণ জারি করা হয়েছে। আর এখন তাদের চলাচলের ওপরে নজদারি করছে। এটা কোনো গণতান্ত্রিক সরকার করে না।
রিজভীর দাবি, সরকার বিএনপিকে ‘ভয় পায়’ বলেই তাদের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। তারা আতঙ্কে আছে। কখন কোন ফাঁক দিয়ে বিএনপি বেরিয়ে পড়ে। বিএনপির  নেতাকর্মীদের বিশাল ঢল নামে-এই আতঙ্ক। এতো হত্যা করছেন, এতো গুম করছেন, এতো কারাগারে নিচ্ছেন, এরপরও আতঙ্ক কাটছে না। অন্যায় বা অবৈধ কর্মকান্ড ‘কখনো চাপা দেয়া যায় না’ বলেও সরকারকে সতর্ক করেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রী ভোট ও নির্বাচনকে তালাক দিয়েছেন মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত ৫ বছরে আওয়ামী লীগের নেতারা যে পরিমাণ দুর্নীতি করেছে, সেই অবৈধ টাকা রক্ষা করতেই প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় থাকতে চান।
সাম্প্রতিক জিয়াউর রহমান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে আওয়ামী লীগকে পূর্ণজন্ম দিয়েছেন। সুতরাং জিয়াউর রহমান ষড়যন্ত্র করেন না, ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ। আর একারণেই প্রধানমন্ত্রীর টার্গেট হচ্ছে, বিএনপিকে ধ্বংস করা।
তিনি বলেন, আজকে দেশে দুঃশাসনের মধ্যেও কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন, স্বাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কেউ কেউ প্রতিবাদ করছেন। যেমন প্রধান বিচারপতি করছেন। তিনি বলছেন যে, শাসন বিভাগ বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ করছে। প্রধান বিচারপতি যখন এই হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বলেন, তখন তাদের গায়ে জ্বালা ধরে যায়।
বরকত উল্লাহ বুলু, খায়রুল কবির খোকনসহ বিএনপির কারাবন্দি নেতাদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শিরিন সুলতানা, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমীন বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ