Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাম্পের আদি পুরুষদের বাস ছিল জার্মানিতে

প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জার্মানির রাইনল্যান্ড প্যালেটিনেটের কালস্টাট গ্রামে আজ মাত্র বারোশ’ মানুষের বাস। প্রথাগতভাবে ওয়াইন তৈরির জায়গা এটা কি ভাবেন! এখানকার মানুষ সুদূর মার্কিন মুলুকে রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সম্পর্কে? কালস্টাট গ্রামের ওয়েবসাইটে গেলে দেখতে পাবেন, সারা গ্রামটা নানা ধরনের ওয়াইন সেলার আর ওয়াইন স্যাম্পলিং রুমে ভর্তি। স্থানীয় বাসিন্দা বা আন্তর্জাতিক পর্যটক, কালস্টাটে সকলেরই প্রিয় পানীয় হলো ওয়াইন। গ্রামের যতো বাসিন্দা, তার দ্বিগুণ ওয়াইন টেস্টিংয়ের সিট আছে বলে স্থানীয়রা গর্ব করে থাকেন।
ধারণা করা হয়, এই এলাকা থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পিতামহ ১৮৮৫ সালে মার্কিন মুলুকে যাত্রা করেন অভিবাসী হিসেবে। তখন তার বয়স ছিল ১৬। কিন্তু তখন তার নাম ড্রাম্ফ ছিল না। বংশের আদিনাম হলেও ড্রাম্ফ নামটি নেপোলিয়নের আমলে অর্থাৎ ঊনবিংশ শতাব্দী শুরু হওয়ার সময় বদলে ট্রুম্প করে নেয়া হয়েছিল। এই ট্রুম্প থেকেই ট্রাম্প।
ট্রাম্প বা জার্মানে ট্রুম্প নামটি প্যালেটিনেট এলাকা ও বাভারিয়ায় খুবই প্রচলিত বলে জানালেন এক স্থানীয় লোক। তবে মায়ার বা ম্যুলার-এর মতো এই নাম থাকার মানে এই নয় যে সব ট্রাম্প বা ট্রুম্পরাই পরস্পরের আত্মীয়। কালস্টাট গ্রামে  ট্রাম্প বা ট্রুম্প নামের কেই নেই। তবে অনেকেরই নাকি ট্রাম্পের সঙ্গে অতীতে রক্তের সম্পর্ক অর্থাৎ যৌথ পূর্বপুরুষ ছিল। স্থানীয় টেলিফোন বুক ঘাঁটলে দেখা যাবে, কালস্টাটের আশপাশে ডজনখানেক ট্রুম্প আছেন। কিন্তু এই ওয়াইন তৈরির গ্রামাঞ্চলে কেউই প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে নিয়ে কথা বলতে রাজি নন। দশ-বারো বার টেলিফোন করার পর বোঝা গেল, প্যালেটিনেট অঞ্চলের ট্রুম্পরা মার্কিন মুলুকে তাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে উঠেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্পর্কে কি ভাবছেন বা বলছেন তাই নিয়ে যখন কথা চলেছে, তখন এক মাঝবয়সী মিস্টার ট্রুম্প বললেন, তারা সত্যিই কি ভাবছে কেউই তা বলার সাহস পাচ্ছে না। সেটাই হলো সমস্যা। অন্তত প্রকাশ্যে নয়। বন্ধ দরজার পেছনে কি বলা হচ্ছে সে আরেক কথা। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দৃশ্যত কালস্টাটের বাসিন্দাদের একটি বৈশিষ্ট পেয়েছেন আর তা হচ্ছে আমরা আমাদের মনোভাব জোরগলায় প্রকাশ করতে ভালোবাসি, বললেন কালস্টাটের এক অধিবাসী।  
সব মিলিয়ে দেখা গেল, কালস্টাটের মানুষজন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে আদিখ্যেতা করতে রাজি নন, অন্তত আপাতত নন। ট্রাম্প রিপাবলিকানদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হলে, এমনকি পরে প্রেসিডেন্ট হলে তখন না হয় আরেকবার জিজ্ঞেস করে নেয়া যাবে। ডিডব্লিউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্পের আদি পুরুষদের বাস ছিল জার্মানিতে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ