Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সিনেটের তদন্ত কমিটিকে নথি দিতে অস্বীকৃতি ফ্লিনের

| প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন সির্বাচনে রুশ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ মাথায় নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগকারী মাইকেল ফ্লিন এবার সিনেট প্যানেলের কাছে এ বিষয়ক প্রয়োজনীয় নথি হস্তান্তরে অস্বীকৃতি জানিয়ে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন। এখন তদন্ত কমিটির চাহিদা মেনে প্রয়োজনীয় নথি জমা না দিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করতে পারে মার্কিন সিনেট। খবরে বলা হয়, মার্কিন সিনেটের তদন্ত কমিটি রুশ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ক কিছু নথি চেয়েছিল ট্রাম্পের বেশ কয়েকজন সহযোগীর কাছে। এর মধ্যে ট্রাম্পের সাবেক সহযোগী পল ম্যানাফোর্ট ও রজার স্টোন কমিটির অনুরোধে নথি জমা দিয়েছেন। কিন্তু অস্বীকৃতি জানান ফ্লিন। তার আইনজীবীর দাবি, ফ্লিন মনে করছেন এসব নথি তদন্ত কমিটির কাছে জমা দিলে তা তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করা হবে। মার্কিন মুলুকের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তার এ মনোভাব সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। আর সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অনুযায়ী, তার নিজেকে রক্ষা করার আইনগত অধিকার আছে। সিনেট তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর রিচার্ড বার ও মার্ক ওয়ার্নার ফ্লিনের এ অবস্থান ও মনোভাবকে হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে তারা ফ্লিনের সাক্ষ্য নেবেন বলে জানিয়েছেন। হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভের ওভারসাইট কমিটির সদস্য ও ডেমোক্র্যাট নেতা এলিজা কামিং বলেন, রুশ সংশ্লিষ্টতা বিষয়ক তদন্তে ফ্লিনের এ অবস্থান প্রমাণ করে তিনি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগের সময় তিনি রুশ সূত্র থেকে অর্থ প্রাপ্তির বিষয়টি গোপন করেছেন। ফ্লিনকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ না দিতে ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু শপথ নেয়ার পরে ট্রাম্প পূর্বসূরীর এ পরামর্শ উপেক্ষা করেন। ফ্লিনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন। নিয়োগের পর থেকেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করে। ফ্লিনের রুশ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে একের পর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমগুলো। সেসময় তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সের্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ফোনে কথা বলার অভিযোগ ওঠে। ফ্লিন ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে কথা বলার অভিযোগ অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে সমালোচনার মুখে পদত্যাগে বাধ্য হন। এরপর রুশ কোম্পানির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে, সেই তথ্য গোপন করার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। খোদ হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ তোলা হয়। ফ্লিন এ অভিযোগও স্বীকার করে নেন। তার দাবি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার জন্য রুশ টেলিভিশন চ্যানেল রাশিয়া টুডে এবং দেশটির ভলগা-নেপর এয়ারলাইনস থেকে অর্থ নিয়েছেন তিনি। রাশিয়া টুডে সরকারি অর্থে পরিচালিত একটি সংবাদ মাধ্যম। মার্কিন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফ্লিন ওবামা প্রশাসনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এ কারণে তিনি ট্রাম্পের সুনজরে ছিলেন। যদিও অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ২০১৪ সালে তাকে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেন ওবামা। তিনি মনে করতেন, প্রশাসনের উচ্চপদের জন্য ফ্লিন যোগ্য প্রার্থী নন। এখন ফ্লিনের রুশ সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তদন্ত করছে দেশটির ফেডারেল গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এবং মার্কিন সিনেটের ইন্টেলিজেন্স কমিটি। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ