পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সৌদি আরবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে শেখ হাসিনার যোগদান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে বক্তব্য দিয়েছেন এর কড়া সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকলে, আর তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে সম্মেলনে যোগ দিলে ফখরুল সাহেব কী বলতেন? বিএনপি কোনো ইস্যু না পেয়ে এটাকে ইস্যু বানাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চলমান মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দাওয়াত দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ। সৌদি আরবের বাদশাহর দাওয়াতে প্রধানমন্ত্রী যাবেন না? যদি আজ বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকতেন, তাহলে কি মির্জা ফখরুল এ কথা বলতেন? অবশ্যই বলতেন না। রাজনীতির জন্য তারা কেন রাজনীতি করেন?
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সৌদি আরবে এমন একটা অনুষ্ঠান যেখানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট এসেছেন। মুসলিম ৫০টি দেশ এসেছে। এটা নিয়ে বিতর্ক তোলার তো কোনো কারণ নেই। আর তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় থাকত এবং বেগম জিয়া যদি অনুষ্ঠানে যেতেন তাহলে এ নিয়ে তো তাঁরা উল্লসিত উচ্ছ¡সিত হতেন। এখন কেন হতাশা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনো ইস্যু না পেয়ে বেপরোয়া বিএনপি এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের সমালোচনা শুরু করেছে। তারা একটার পর একটা ইস্যু খোঁজে।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, তাদের সব ইস্যু শেষ পর্যন্ত মাঠে মারা যায়। বেপরোয়া গাড়ি, বেপরোয়া ড্রাইভারের মতো বেপরোয়া বিএনপি। কখন যে কোন দুর্ঘটনা ঘটবে, সেটি নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি।
কাদের বলেন, যে কার্যালয়ে বসে বিএনপি গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেই কার্যালয়ে বসেই বিএনপি নেতারা এখন গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন। যে অফিসে গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছে, সেই অফিসকে বলছে গণতন্ত্রের প্রতীক। সবাই জানে সেখান থেকে ১৬৫ জন মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে।
ঢাকার প্রবেশ পথগুলোর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকার সব প্রবেশপথগুলো আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে আমরা বিউটিফিকেশন করব। ঢাকা-সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত ওই রাস্তা, তারপর এদিকে দাউদকান্দি পর্যন্ত। এই কাজটা তো অনেক দূর এগিয়ে গেছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এন্ট্রি পয়েন্টে বিউটিফিকেশন করা হবে।
বিমানবন্দর সড়কের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি ভালো কাজ-এটিকে এপ্রিশিয়েট করুন। এর আগে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এ ধরনের কাজ দেশে কখনও হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের মন্ত্রানলয় থেকে এমন কাজ হোক এটা অনেকেই চায় না। এ ব্যাপারে কারো ইর্ষা থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তিনি।
কাদের আরও বলেন, এ বিউটিফিকেশন নিয়ে সিটিকর্পোরেশনের গ্রহণযোগ্য পরামর্শ থাকলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরেরর প্রকৌশলীরা সেটি সংশোধন করার সুযোগ রয়েছে। এটি একটি পাইলট প্রজেক্ট।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু বনসাই নয়; বনসাই ছাড়াও আরও অনেক দেশী প্রজাতির গাছ লাগানো হবে। তিনি বাস্তবায়ণকারী প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ডকে আরও বেশি দেশী গাছ লাগানোর নির্দেশ দেন।
সড়ক যোগাযোগ অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ প্রকল্পে সাড়ে ৫ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা অনুযায়ী এরই মধ্যে বিমানবন্দর সড়কে প্রায় ২‘শ টি দেশী প্রজাতির ঝাউ, কৃঞ্ষচুড়া, কাঠবাদাম গাছ লাগানো হয়েছে। বাকি গাছগুলো বর্ষার মধ্যেই লাগানো শেষ হবে।
উল্লেখ্য, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়াল্ড গ্রæপের নিজস্ব অর্থায়নে দেশে প্রথমবারের মতো এক বড় বিউটিফিকেশনের কাজ চলছে।
অসুস্থ আ‘লীগ নেতাদের খোঁজ-খবর নিতে হাসপাতালে গেলেন ওবায়দুল কাদের
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের অসুস্থ নেতাদের দেখতে গেলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের দেখতে যান তিনি।
আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়ে বলা হয়, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীমকে ল্যাব এইড হাসপাতালে, সাবেক তথ্যমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদকে পপুলার হাসপাতালে, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু জাফরকে স্কয়ার হাসপাতালে, ল²ীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরকে গ্রীন লাইফ হাসপাতালে এবং নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মালেক বিএসসিকে পপুলার হাসপাতালে দেখতে যান ওবায়দুল কাদের। এ সময়ে তিনি তাদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।