Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে পীর সাহেব চরমোনাই

মূর্তি সরাতে ঘেরাও কর্মসুচী দেয়া হবে

| প্রকাশের সময় : ২৫ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম


স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বর্তমান রাজনীতির ধারাবাহিকতায় মানুষের কল্যাণ আসতে পারে না। ইসলামকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার মাধ্যমেই দেশের কল্যাণ ও শান্তি আসতে পারে। ইসলামী আন্দোলন এ রাজনীতিই করছে। তিনি বলেন, তার দল ইসলাম বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে ঘরে বাইরে। তিনি বলেন, সুষ্ঠু রাজনীতির কার্যক্রম এটা একটা ইবাদত। এ লক্ষ্য সামনে রেখেই ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আর সেই পরিবেশ তৈরী হলে ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনে অংশ নিবে। নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলকেন্দ্রিক ভোট (পিআর পদ্ধতি) হলে দেশে সন্ত্রাস, দূর্নীতিও অন্যায় থাকবে না। নির্বাচন কেন্দ্রিক বৃহত্তর জোট গঠন প্রসঙ্গে পীর সাহেব বলেন, সকল ইসলামী দলকে নিয়ে জোট করার পক্ষে। তবে নীতি ও আদর্শের মিল হলেই তা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর প্রথম সংবিধান আল­াহর রাসুল সা. তৈরি করেছিলেন। সেই সংবিধানের ভিত্তিতে ইসলামী শাসনের তেমন প্রচার হচ্ছে না। আর এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রাখতে পারে সাংবাদিকরা। ইসলামী আন্দোলন সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই সাংবাদিকদের সাথে সম্পর্ক তৈরী করতে চ্য়া। এজন্যই আজকের মতবিনিময় সভা।
পীর সাহেব বলেন, তামাম দুনিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের সামনে মূর্তি নেই। তাহলে ৯২ ভাগ মুসলিমানের দেশে সুপ্রিমকোর্টের সামনে কিভাবে মূর্তি স্থাপিত হলো। মসজিদ নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরীতে পরিণত করতেই চক্রান্ত হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের সামনে স্থাপিত গ্রিক দেবীর মূর্তি ন্যায় বিচারের প্রতীক নয়। গ্রিক দেবীর ইতিহাস ন্যায় বিচারের বিরুদ্ধে। আন্দোলন সংগ্রামের পরও প্রধান বিচারপতি মূর্তি না সরিয়ে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী মূর্তির বিরুদ্ধে কথা বলার পরও মূর্তি সরানো হচ্ছে না। মূর্তি না সরালে আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারি না। ১৭ রমজান এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ হবে। এরপরও মূর্তি না সরালে ঈদের পর সুপ্রিমকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচী দিতে বাধ্য হব।
পীর সাহেব বলেন, ১৪ দলীয় জোট ও ২০ দলীয় জোট দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করে না। তারা রাজনীতি করে ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থে। জোটভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে দুই বৃহৎ জোটের রাজনীতির সাথে ইসলামী আন্দোলনের নীতি আর্দশের কোন মিল নেই। তাই ইসলামী আন্দোলনের শ্লোগান হচ্ছে “ নো আওয়ামী লীগ, নো বিএনপি, ইসলাম ইজ দ্যা বেস্ট”
পাঠ্যসুচী বিষয়ে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কোমলমতি মুসলিম শিশুদের ইসলাম থেকে দূরে রাখতে পাঠ্যসুচী পরিবর্তনের চক্রান্ত হচ্ছে। এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর ইম্পেরিয়াল হোটেল ইন্টারন্যাশনালের কনভেনশন সেন্টারে ইসলামী আন্দোলনের উদ্যোগে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পীর সাহেব তার বক্তব্যে এবং সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল­াহ আল-মাদানী, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, গাজী আতাউর রহমান, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাদের, দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, উত্তর সভাপতি অধ্যক্ষ শেখ ফজলে বারী মাসউদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল­াহ আল-মাদানী বলেছেন, মূর্তি হিন্দুদের বাড়ীতে কিংবা মন্দিরে রাখুক এতে কারো আপত্তি নেই। সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে মূর্তি মেনে নেয়া হবে না। পাঁচটি মৌলিক চাহিদার নিশ্চয়তা দিকেই ইসলামী আন্দোলন রাজনীতি করছে। আশরাফ আলী আকন বলেন, ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনা ছাড়া পরিবর্তন হবে না। এজন্যই শুধ নেতা নয়, নীতির পরিবর্তন চাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পীর সাহেব চরমোনাই


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ