Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

৬ দেশ একমত হলেও ট্রাম্প অস্পষ্ট

সিসিলিতে জি-৭ নেতাদের মতপার্থক্য

| প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : জলবায়ু পরিবর্তন রোধে প্যারিস চুক্তি কার্যকরের বিষয়ে একমত হয়েছেন জি-৭ ভুক্ত ৬টি দেশ। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে অবস্থান পরিষ্কার করেননি। আসছে সপ্তাহে তিনি এ চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবস্থান জানাবেন বলে জানিয়েছেন। গত শনিবার সিসিলিতে জি-৭ বৈঠকে এ ইস্যুতে ট্রাম্পের সঙ্গে জোটভুক্ত দেশগুলোর মতপার্থক্য উঠে এসেছে। ট্রাম্প জানান, তার দেশ জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত নীতি পুনর্মূল্যায়ন করছে। তাই তিনি এখনই প্যারিস চুক্তির বিষয়ে মতামত জানাবেন না। টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, প্যারিস চুক্তি নিয়ে আমি আসছে সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব। নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বিরোধিতা করে আসছেন ট্রাম্প। তিনি এ চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনতে পারেন। আর তা হলে চুক্তিটি হুমকির মুখে পড়বে। এমন ভাবনা থেকেই এ চুক্তির প্রতি নিজেদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭ এর ৬টি সদস্য দেশ। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল বলেন, এখানে (বৈঠকে) পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, একজনের বিরুদ্ধে বাকি ৬ জন অবস্থান নিয়েছেন। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি কার্যকর করবে নাকি বাতিল করবে তা জানায়নি। পুরো আলোচনাটি অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া। আর বর্তমান পরিস্থিতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। সম্মেলনে যোগ দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরোধী অবস্থান সত্তে¡ও প্যারিস চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে কপ-২১ সম্মেলনে প্রথমবারের মতো একটি জলবায়ু চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হন বিশ্ব নেতারা। চুক্তির আওতায় বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধির হার ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে বিশ্বজুড়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা কমানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তা করতে রাজি হয় ধনী দেশগুলো। গঠন করা হয় জলবায়ু তহবিল। ২০১৫ সালের নভেম্বরে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এ চুক্তি অনুমোদন করলেও ট্রাম্প এ চুক্তির বিরোধী। এখন ট্রাম্প এ চুক্তি বাতিল করলে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়ার বিধান চুক্তিতে রাখা হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন তথা বৈশ্বিক উষ্ণায়নকে ইতোপূর্বে ‘গ্রেফ চীনের ধোঁকাবাজি’ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন ট্রাম্প। তবে চলতি বছরের মার্চে জাতিসংঘের জলবায়ুবিষয়ক প্রধান প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, ট্রাম্পের নেতিবাচক অবস্থান সত্তে¡ও বিভিন্ন দেশের সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের গতি কমিয়ে আনতে আগ্রহী। জাতিসংঘ ও চীনের নেতৃত্বে ২০১৬ সালে বিশ্বে সৌর বিদ্যুতের সক্ষমতা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া অনেক দেশের সরকারই বৈশ্বিক উষ্ণতা কমিয়ে আনতে আইন পাস করছে। সরকারগুলোর এ গতিশীলতা ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে। প্যাট্রিসিয়া এসপিনোসা বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি এখনও পুরো দুনিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। যখন চুক্তিটি গৃহীত হয় তখন সবগুলো দেশই এটা সমর্থন করেছে।  বিবিসি, আল-জাজিরা, সিএনএন, ভয়েস অব আমেরিকা, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ