Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চকবাজার ইফতার সামগ্রীর বাজার পরিদর্শন করেন সাঈদ খোকন

| প্রকাশের সময় : ২৯ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : হায় হায়, আমাগো মেয়র সাব য্যামতে ছব খাওন হুইংগা দেখবার লাগছে, হের তো রোজা ভাইঙ্গা যাইব। গতকাল রোববার বিকেলে রমজানের প্রথম দিন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী চকবাজারের ইফতার সামগ্রীর বাজার পরিদর্শন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাইদ খোকন। এ সময় তিনি ঘুরে ঘুরে সূতি কাবাব, চিকেন ফ্রাই, টানা পরোটা, পনির, বাদাম সরবত, ঘুঘনি, ছোলা বুট, ডিম চপ, সাসলিকসহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী ভেঙ্গে ভেঙ্গে নাকে ঘ্রাণ নিয়ে চেখে দেখেন। ডিএসসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। এভাবে খাবারের ঘ্রাণ শুঁকতে দেখে অদূরে দাঁড়িয়ে দুজন ঢাকাইয়া ভদ্রলোক মেয়র সাহেবের রোজা ভঙ্গ হয়ে যেতে পারে বলে এমন মন্তব্য করেন।
বিকেল ৪টায় মেয়র সদলবলে চকবাজারে পৌঁছান। মেয়র পৌঁছানোর আগে পর্যন্ত চকবাজারের সবধরনের ইফতার সামগ্রী খোলামেলা অবস্থায় দেদারসে বিক্রি চলছিল। যখনই তার উপস্থিতির খবর পৌঁছে তখনই প্রায় প্রত্যেক দোকানি ইফতার সামগ্রী পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেন। ইফতার কিনতে যাওয়া রোজাদারদের ব্যাপক ভিড় থাকলেও মেয়র হাসিমুখে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন দোকান পরিদর্শন করেন। তিনি প্রায় প্রতিটি দোকানের বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী হাতে নিয়ে ছিড়ে ছিড়ে ঘ্রাণ নিয়ে দেখেন কখন তৈরি করা হয়েছে, গরমে নষ্ট হবে কি না সে সম্পর্কে প্রশ্ন করে জানতে চান। সূতি কাবারের দোকানে গিয়ে তিনি কী কী উপকরণ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তা জানতে চান। দোকানিদের অনেকেই তাকে কাছে পেয়ে খুশি হন এবং তার নির্দেশনা মেনে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রির প্রতিশ্রæতি দেন।
পরে মেয়র সাংবাদিকদের কাছে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কারণে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা এসেছে। শৃংখলা ফিরে এসেছে। খাবারের মান অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পবিত্র রমজানে নগরবাসী যাতে স্বাস্থ্য সম্মত খাবার খেতে পারেন সেজন্য ৮টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব টিম নিয়মিত বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাবে। কোন প্রকার অনিয়ম দেখলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। খাদ্যের মান নিয়ন্ত্রণে আগামী বছর থেকে ইফতার বিক্রেতাদের মানসম্পন্ন খাবার তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান মেয়র।
এ সময় তিনি মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রেখে ইফতার সামগ্রীতে ভেজাল না দেয়া এবং কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অধিক মুনাফা অর্জন না করার জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, খাদ্যে জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর রং না দেয়া, বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে ফল না পাকানো ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য গণমাধ্যমকেও এগিয়ে আসতে হবে।
পবিত্র রমজানে ক্লাব বারে অবৈধ মদ জুয়ার কার্যক্রম চলতে দেয়া হবে না বলেও জানান মেয়র।
এ সময় মেয়রের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মামুন সরদার ও ইলিয়াস হোসেন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ডিএসসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ুন কবির, হাসিবুর রহমান মানিক, ওমর বিন আব্দুল আজিজ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সালাউদ্দিন, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মেয়রের সাথে উপস্থিত ছিলেন। পরে মেয়র ব্যবসায়ীদের হাতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের তৈরি খাদ্যদ্রব্যনিরাপত্তার সম্ভাব্য ঝুঁকিসমূহ মোকাবেলায় করণীয় সম্পর্কিত লিফলেট তুলে দেন। তবে মেয়র চলে যাওয়ার পরপরই পলিথিন দিয়ে ঢাকা খাবার থেকে পলিথিন সরিয়ে ফেলা হয়।



 

Show all comments
  • সজিব ২৯ মে, ২০১৭, ১:২৪ এএম says : 0
    মেয়ককে ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাঈদ খোকন

১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ