Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলা পত্রপত্রিকা প্রকাশে ফুরফুরার পীর সাহেবের অবদান

| প্রকাশের সময় : ৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অ ধ্যা প ক হা সা ন আ ব দু ল কা ই য়ু ম : হযরত মওলানা শাহ সুফী আবু বকর সিদ্দিকী রহাতুল্লাহি আলায়হি ছিলেন যুগশ্রেষ্ঠ আল্লাহর ওলী সর্বজন শ্রদ্ধেয় পীরে কামেল মুজাদ্দিদে জামান। তিনি দাদা হুজুর কিবলা নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন। তাঁর খলীফা ছিল দুই শ’রও অধিক। বর্তমান লেখকের আব্বা হুজুর হযরত মওলানা শাহ্ সুফী তোয়াজউদ্দিন আহমদ, ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক মওলানা আবদুল মান্নানের আব্বা হযরত শাহ্ ইয়াছীন, শরষীনার পীর নিছারুীন আহমদ, মওলানা রূহুল আমীন, মওলানা আহমদ আলী এনায়েতপুরী, মওলানা ময়েজউদ্দীন আহমদ, ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, সুফী সদরুদ্দীসহ তাঁর খলীফাগণ পত্রপত্রিকা প্রকাশের উদ্দীপনা লাভ করেছিলেন তাঁর থেকেই। বঙ্গীয় মুসলমান সাহিত্য সমিতির পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। আঞ্জুমানে ওয়ায়েজীনের সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তাঁর অনুমোদনে মোসলেম হিতৈষী নামে একটি জাতীয় পত্রিকা বের হয় ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে যা বহু বছর স্থায়ী হয়েছিল।
দাদা হুজুর কিবলার কাছ থেকে দু’আ গ্রহণ করে আমাদের সংবাদ জগতের অগ্রপথিক মওলানা আকরম খাঁ বিকশিত হয়েছিলেন। দাদা হুজুর কিবলার সক্রিয় সহযোগিতা ছিল সাপ্তাহিক মোহাম্মদী, মাসিক মোহাম্মদী এবং দৈনিক আজাদ প্রকাশে। মওলানা আকরম খাঁ দাদা হুজুর কিবলা ইন্তেকাল করলে তিনি দৈনিক আজাদে এক দীর্ঘ নিবন্ধে লিখেছিলেন : মওলানা আবু বকর সাহেবের ইন্তেকালে অন্তত অর্ধ্ব শতাব্দীব্যাপী একটা কর্মজীবনের ও ধর্ম সাধনার অবসান ঘটেছিল। তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিকের অসাধারণ তৎপরতার পরিচয় দিতে যাওয়া আজ আমাদের পক্ষে সম্পূর্ণ অসম্ভব। তাঁর অমায়িক ব্যবহার, তাঁর অসাধারণ আখলাক এবং আমাদের প্রতি তাঁর অশেষ ¯েœহের বর্ণনা করতে যাওয়াও আজ আমাদের সাধ্যাতীত। তাঁর লক্ষ লক্ষ মুরিদ ও গুণমুগ্ধ ভক্তের ন্যায় আমরাও আজ এই বিরাট অসাধারণ ব্যক্তিত্বের তিরোধানের শোকে অভিভ‚ত।
জনাব দাদা হুজুর কিবলার পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রত্যক্ষ উদ্যোগে সেকালে প্রকাশিত পত্রপত্রিকাসমূহের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে : সুলতান, ইসলাম প্রচারক, মিহির সুধাকর, নবনূর, আল ইসলাম, ইসলাম দর্শন, ইসলাম জগত, শরীয়ত, শরীয়তে ইসলাম, হানাফী, বঙ্গনূর, রওশনে হেদায়েত, আল মুসলিম হানাফী জমায়াত, সুন্নত আল জামায়াত, হেদায়েত।
দাদা হুজুর কেবলা ভাষা আন্দোলনেরও অগ্রপথিক। তাঁর পথ ধরেই ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিকে সোচ্চার করেছিলেন।
লেখক : মুফাফসিরে কুরআন, গবেষক, সাবেক পরিচালক ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন