Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মার্কিন পর্যটন খাতে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আঘাত

| প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর মুসলিমপ্রধান সাতটি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরবর্তীতে চলতি বছর মার্চে মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশের ১০ বিমানবন্দরে ল্যাপটপ নিষেধাজ্ঞা জারি করে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্প প্রশাসনের এসব সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় তোলার পাশাপাশি আঘাত হেনেছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতে। স¤প্রতি লন্ডন হামলার পর আরেক দফা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার পক্ষে নিজের অবস্থান দৃঢ় করেন ট্রাম্প। টুইটারে এক বার্তায় তিনি লেখেন, আপনারা ঠিকই শুনেছেন, বেশকিছু বিপজ্জনক দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করাই প্রয়োজন। তবে এমজিএম রিসোর্টসের প্রধান নির্বাহী জেমস মুরেন জানান, ‘ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা’র মতো একটি শব্দ অবশ্যই পর্যটন শিল্পে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পর্যটন শিল্প-সংক্রান্ত এক সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। দৈনিক ১ কোটি ৬০ লাখ এয়ারলাইনস বুকিং পর্যালোচনা করে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফরওয়ার্ডকিজ। মার্কিন পর্যটনে ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের বিষয়ে মুরেনের সঙ্গে একমত পোষণ করেন ফরওয়ার্ডকিজের মুখপাত্র ডেভিড টার্শ। তিনি জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত নীতি পর্যটন শিল্পকে প্রভাবিত করছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফরওয়ার্ডকিজ জানায়, গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই দিন দিন গ্রীষ্মকালীন অবকাশ ভ্রমণের বুকিং কমছে। মার্কিনমুলুকে চলতি বছর জুন, জুলাই ও আগস্টের অগ্রিম এয়ারলাইনস বুকিং গত বছরের তুলনায় কমেছে। প্রারম্ভিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ম্যারিয়টের প্রধান নির্বাহী আর্ন সোরেনসন জানান, বর্তমানে সব গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের হার এক বছর আগের তুলনায় অনেক কম। তবে অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় নিষেধাজ্ঞা আক্রান্ত অঞ্চল থেকে ভ্রমণের হার সবচেয়ে কমেছে। প্রারম্ভিক তথ্য অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও মিসর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগত পর্যটকদের সংখ্যা ২০ শতাংশ কমেছে। ট্রাম্পের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার অন্যতম সমালোচক সোরেনসন জানান, বৈশ্বিক ভ্রমণের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও আগামী তিন থেকে পাঁচ বছর মার্কিন পর্যটন খাতে ট্রাম্প প্রশাসনের গৃহীত নীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পর্যটকরা অধিক অতিথিপরায়ণ ইউরোপে আকৃষ্ট হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটন খাতে পতন দেখা দেবে বলে মনে করেন সোরেনসন। এদিকে গেøাবাল বিজনেস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর হোটেল, খাবার, ভাড়ায়চালিত গাড়ি, শপিংসহ নানা খাতে মোট ১৩০ কোটি ডলার ভ্রমণসংশ্লিষ্ট ক্ষতির মুখে পড়বে যুক্তরাষ্ট্র। ন্যাশনাল পার্ক ও ডিজনিল্যান্ডের মতো পর্যটক আকর্ষণের কেন্দ্রগুলোতেও ভ্রমণকারীদের সংখ্যা কমছে। ব্যবসায়িক লোকসানের পাশাপাশি ছাঁটাইয়ের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৪২ হাজার কর্মসংস্থান। এক সম্মেলনে ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট রজার ডো জানান, চলমান অবস্থা কাটিয়ে উঠতে ট্রাম্প প্রশাসন ও প্রশাসনের গৃহীত নীতির জবাবদিহিতা থাকা উচিত। সিএনএন,এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মার্কিন

১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ