Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

| প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এতে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বেসরকারি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ সেবা দিয়ে সরকার নির্ধারিত হারে ফি নিতে পারবে এমন বিধান রাখা হয়েছে।
গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৭ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রস্তাবিত খসড়ায় প্রাণিসম্পদের বিজ্ঞানীদের এই সুযোগ রাখা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এন এম জিয়াউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, দ্য লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অর্ডিনেন্স-১৯৮৪-কে ইংরেজি থেকে যুগোপযোগী করে বাংলায় রূপান্তর করে নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে চারটি নতুন ধারা সংযোজন করা হয়েছে। সচিব বলেন, আগের আইনে ইনস্টিটিউটে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের পরামর্শ ফির বিষয়টি ছিল না। ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, প্রাণিসম্পদ, শিল্প স্থাপনা বা অনুসন্ধান বিষয়ক পরামর্শ দেওয়ার জন্য বোর্ডের নির্ধারিত হারে ফি আদায় করতে পারবেন। জিয়াউল আলম বলেন, বোর্ড ইনস্টিটিউটের কার্যাবলী তত্ত¡াবধান ও দিকনির্দেশনা দেবে, ইনস্টিটিউটের নীতিগত বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। এ ছাড়া ইনস্টিটিউটের প্রস্তাবিত নীতিমালা ও কর্মপরিকল্পনা বোর্ড অনুমোদন দেবে। সরকারের কাছ থেকে বা অন্য কোনো উৎস থেকে অনুদান দিতে অনুরোধ করবে বোর্ড।
তিনি বলেন, ঋণ গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন, সরকারের অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব অনুমোদন দেবে বোর্ড। প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ইনস্টিটিউট সরকার নির্ধারিত শর্ত অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ করতে পারবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনায় এ সংক্রান্ত পুরনো আইনটিও বাংলায় রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি বলেন, নতুন করে ধারা ৮-এ বোর্ডের কার্যাবলী, ধারা ১৭ -ফি নির্ধারণ, ধারা ২২- বাংলা আইনটির ইংরেজিতে অনুবাদ করা, ধারা ২৩-এ রহিত ও হেফাজত সংযোজন করা হয়েছে। পুরনো আইনে এ ৪টি ধারা ছিল না। নতুন আইনের ১২ ধারা অনুযায়ী নিযুক্ত কোনো বিজ্ঞানী, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে পরামর্শ প্রদান করলে তার ফি বোর্ড নির্ধারণ করবে।
১০ হাজার পণ্যে শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ
সচিব বলেন, বৈঠকে সেকেন্ড অ্যামেন্ডমেন্ট অব দ্য এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট-এর অনুসমর্থনে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্টের (আপটা) আওতায় ছয়টি দেশের বাজারে প্রবেশে পণ্যের শুল্ক সুবিধা বাড়ছে বাংলাদেশের। বর্তমানে ৪ হাজার ৬৪৮টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা পেলেও আফটার দ্বিতীয় সংশোধনীর আওতায় বাংলাদেশ মোট ১০ হাজার ৬৭৭টি পণ্যে সেই সুবিধা পাবে। সেক্ষেত্রে আরো ৬ হাজার ২৯টি পণ্যে শুল্ক সুবিধা বাড়ছে। এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আপটার সাতটি দেশের মধ্যে ভারত ৩ হাজার ৩৮১টি, চীন ২ হাজার ৩৭২টি এবং দক্ষিণ কোরিয়া ২ হাজার ৩৭২টি বাংলাদেশি পণ্যে শুল্ক সুবিধা দেবে। পাঁচ থেকে শতভাগ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাবে, পণ্যভেদে শুল্ক ছাড়ের হার একেক রকম। ১৯৭৫ সালে ব্যাংককে একটি বাণিজ্য চুক্তি হয়। ২০০৫ সালে এটি সংশোধিত হয়ে আপটা হয়।ব্যাংকক এর সদস্য দেশ না হলেও এটি ব্যাংকক চুক্তি নামে পরিচিত। এর সদর দফতর ব্যাংকক।বাংলাদেশসহ মোট সাতটি দেশ আপটার অন্তর্ভুক্ত। দেশগুলো হলো- ভারত, শ্রীলঙ্কা, লাওস, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও মঙ্গোলিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ