Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মধ্যম আয়ের দেশে পা দিচ্ছি বলেই জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা দরকার : কৃষিমন্ত্রী

ফল প্রদর্শনীতে বাহারি ফলের পসরা

| প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে পা দিচ্ছি বলেই জনগণের পুষ্টি চাহিদ পূরণ করা দরকার। বর্তমানে আমাদের দেশে একজন মানুষ মাত্র ৭৬ গ্রাম ফল খাওয়ার সুযোগ পায়। অথচ দরকার ১১৫গ্রাম। অর্থমন্ত্রীর সাহায্য পেলে দৈনিক ফল চাহিদা ১১৫ গ্রাম ফল পূরণ করা কঠিন কিছু নয়।
গতকাল শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজধানীর খামারবাড়ির আ কা মু গিয়াসউদ্দিন মিলকী অডিটোরিয়ামে ফল গাছ রোপণ পক্ষ-২০১৭ ও তিন দিনের জাতীয় ফল প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে একথা বলেন তিনি। সেমিনারে প্রধান অথিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত. সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ব্যবিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এম মোফাজ্জল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (স¤প্রসারণ) মো. মোশারফ হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মো. গোলাম মারুফ।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, মধ্যম আয়ের দেশে পা দিচ্ছি বলেই জনগণের পুষ্টি চাহিদ পূরণ করা দরকার। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, অর্থ চাই, দেশি ফলের গাছ লাগাই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রতিবছরের মতো এবারও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে তা দেশের জনগনের জন্য। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, আমরা আম উৎপাদনে সপ্তম ও পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম স্থানে আছি। অন্যান্য ফলের ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে লিচুর ক্ষেত্রে। লিচুর দীর্ঘ জীবনকালের জাত উদ্ভাবনের বিষয়ে গবেষকদের আহŸান জানান তিনি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কাঁঠালকে জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। কাঁঠাল এমন একটি ফল, যার কোনো অংশই ফেলানো যায় না। কাঁচা কাঁঠালকে ভেজিটেবল মিট হিসেবে ব্যবহার/গ্রহণ ও বিদেশে রফতানির বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন। এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে আ কা মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটোরিয়াম চত্বর পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির আয়োজন করা হয়। র‌্যালি শেষে প্রধান অতিথি ফলদ বৃক্ষ রোপণ পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী ২০১৭ এর উদ্বোধন করেন এবং স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় অঞ্চলভেদে বিভিন্ন ফলের পৃথক স্টল রয়েছে৷ উত্তরাঞ্চলের ফল, ভাওয়াল ও মধুপুর গড় অঞ্চলের ফল, উপকূলীয় অঞ্চলের ফল, পাহাড়ি অঞ্চলের ফল ইত্যাদি ভাগে ফলের পসরা সাজিয়েছে মেলায় আগত স্টগুলো।
মেলায় মোট স্টলের সংখ্যা ৭৫টি। সরকারি স্টলের মধ্যে রয়েছে কৃষি স¤প্রসারণ অধিদফতর, কৃষি তথ্য সার্ভিস, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন, কৃষি বিপনন অধিদফতর ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশন। এছাড়াও আম উৎপাদক ও বিপননকারী বেসরকারি সংস্থার ৪৯টি স্টল বসেছে প্রদর্শনীতে। মেলায় আমের ৬০টির অধিক প্রজাতিসহ প্রায় ১৫২ প্রজাতির ফলের একাধিক জাত প্রদর্শিত হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ