Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জমে ওঠেছে ফুলবাড়ীর ঈদ মার্কেট

| প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বৃষ্টি উপেক্ষা করেই চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ফুলবাড়ীতে ঈদ মার্কেট ততই জমে উঠছে। অন্যান্য বছর যেমন রজমানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, এবার তার ব্যতিক্রম ঘটলেও শেষ মূহুর্তের চিত্র উল্টো মাঝে মাাঝেই আষাঢ়ের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ক্রেতাদের মার্কেটে আসার ক্ষেত্রে অসুবিধার সৃষ্টি করছে তারপরেও বৃষ্টি উপেক্ষা করেই এখন চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা। ১৫/১৬ রমজানেও ফুলবাড়ীতে ঈদ মার্কেটে তেমন ভিড় না থাকলেও শেষ মূহুর্তে এসে শহরের বিপনী বিতানগুলোতে এখন ক্রেতাদের তিল ধারনের জায়গা নেই। বর্তমানে পৌর বাজারের সব ধরণের দোকানে বেচাকেনা পুরোদমে চলছে । গত বছরের তুলনায় এবার কাপড় জুতাসহ সব রকমের আইটেমের দাম বেশি তারপরেও ক্রেতারা ছুটছে বিপণী বিতানগুলোতে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় করে পছন্দের পণ্যটি কিনছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের ক্রেতাদের ভিড় বেশী লক্ষ্য করা যাচ্ছে। আবার রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা আশপাশের এলাকার লোকজন গাড়ি থেকে নেমে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা করে ঘরে ফিরছেন। ভিড় থেকে রক্ষা পেতে পৌর শহরের ক্রেতা সাধারণ ইফতারীর পর থেকে সেহ্রীর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কেনাকাটা করছেন। এবার ফুলবাড়ী বাজারে শাড়ী, থ্রি-পিস,সালোয়ার, কামিজ, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট প্রভৃতি কাপড়ের আইটেমসহ রকমারী জুতা স্যান্ডেলের সমাহার হয়েছে। বাচ্চাদের কাপড়ের মধ্যে গতবছরের আকর্ষণীয় ডিজাইন ও বাহারী কাপড়ের সমাহার যেমন রয়েছে তেমনি নিত্য নতুন নামেও এবার রয়েছে বাচ্ছাদের অনেক আইটেমের কাপড়। এবারে বাচ্চাদের নতুন নামে কোন ড্রেস না থাকায় গত বছরের কিরণ মালার পাশপাশি পাখিও এখন ধুমছে বিক্রি হচ্ছে বলে জানায় ব্যবসায়ীরা। তবে উঠতি বয়সের তরুন-তরুনীরা ভারতীয় ছবি“হোম টেক্স” থ্রিপিস ক্রয়ে পাগল হয়ে উঠেছে। এই থ্রিপিস ৪ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । এছাড়াও এবার নতুন সাজে বাজারে এসেছে গাউনের বাহুবলী-২,চেন্নাইএক্সপ্রেস,মঙ্গা,ফ্লোর টার্চ,তানশী থ্রিপিস,পাজোসহ বাহারী ডিজাইনের পোশাক। তবে তরুন-তরুনীরা এবার গাউনের জামার প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। কিন্তু আকাশ-ছোঁয়া দামের কারণে এই সব পোশাক সব ধরণের ক্রেতা কিনতে পারছেন না । রাতভর পুরো মার্কেট জুড়ে থাকছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় । ১ বছরের শিশু থেকে ১২/১৪ বছরের বাচ্চাদের ১ সেট পোষাক বিক্রি হচ্ছে ৬’শ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।
শহরের অভিজাত কাপড় ব্যবসায়ী নেকসাস ফ্যাশনের স্বত্তাধিকারী শিবলী সাদিক জানান,ঈদের খুশিতে পোশাকে একটু ভিন্নতা সব শ্রেণীর ক্রেতাকেই আকৃষ্ট করে,আর তাই সুন্দর,রুচিসম্মত কাপড় পেলে ক্রেতারা কখনও বাজেটের চিন্তা করেননা। তারপরেও সবশেণ্রীর গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আমরা বিভিন্ন মূল্যের বাহারি ডিজাইনের কাপড় ক্রেতাদের জন্য রেখেছি। ক্রেতা তার বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করতে পারবেন। পাঞ্জাবীর দোকানগুলোতে পাঞ্জাবীর পাশাপাশি ট্রাউজার ও চুড়িদার পায়জামা বিক্রি হচ্ছে বেশি। এবার পাঞ্জাবীর বাজারে সুতি পাঞ্জাবীর চাহিদাই বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাঞ্জাবীর মধ্যে পুষ্পকলি, জিপসী, অক্টপাস, মাসাককলিসহ বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবি পাওয়া যাচ্ছে। তবে দাম বেশি হওয়ায় ফ্যাশন পাঞ্জাবী ও রেডিমেট ফ্যাশন পোষাকের বিক্রি কম হচ্ছে। এবার পাঞ্জাবীর দোকানগুলো ডিজাইন ও কাপড়ভেদে সর্বনি¤œ ৭’শ থেকে উপরে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত পাঞ্জাবি বিক্রি করছে ।
পৌর বাজারে অভিজাত জুতার দোকান সৌখিন সু-হাউজের মালিক ফুলবাড়ী থানা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মোঃ মুরতুজা সরকার মানিক বলেন, শেষ মুহূর্তের বেচাকেনায় এখন ব্যস্ত ও নির্ঘূম সময় কাটাচ্ছেন ফুলবাড়ী পৌর-শহরের মার্কেটগুলোর ব্যবসায়ীরা । ফুলবাড়ীর অভিজাত টেইলার্সগুলো তাদের অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। শাড়ী কাপড়ের দোকানের মধ্যে রমনী শাড়ী ঘর, মনেরেখ শাড়ী ঘর, বধু সাজ এই তিনটি দোকানে বেশি ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এখানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। কারণ ক্রেতাদেরকে এই সব দোকানেও আক্ষেপ করে বলতে শোনা গেছে সব কাপড়ের দাম বেশি, কেনার সাধ্য নেই। সাধ্য নেই তাতে কি ঈদ বলে কথা এদিক সেদিক ঘুরে সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে শেষ মুহূর্তে স্বপ্ল বাজেটের ক্রেতারা ছুটছেন কমদামী নিলামী মার্কেটগুলোতে । তবুও যেন ঈদের খুশির কমতি না থাকে পরিবার পরিজনকে নিয়ে নতুন জামা-কাপড় আর নতুন প্রসাধনী কিনে পরিবারের ঈদ আনন্দকে উপভোগ করার চিরায়ত এই ঐতিহ্য যেন অটুট থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ