Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়ে ঠাঁই নেই দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দরগুলোতে

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : ঈদ পরবর্তি কর্মস্থলমুখি যাত্রীর চাপে ঠাঁই নেই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নদী বন্দরসহ বাস ও লঞ্চ স্টেশনগুলোতে। আকাশ পথেও বাড়তি ভাড়ায় যাত্রী যাচ্ছে ঢাকায়। বরিশাল নদী বন্দর থেকে প্রতিদিনের মত গতকালও নিয়মিত নৌযানের দ্বিগুন লঞ্চ ও স্টিমার ঢাকার উদ্যেশ্যে ছেড়ে গেলেও তাতে তিল ধরার ঠাই ছিলনা। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্বম বরিশাল নদী বন্দরের টার্মিনাল ভবনসহ পন্টুন ছাড়িয়ে বাইরের খোলা চত্তরেও ছিল যাত্রী ভিড়ে ঠাশা। নিয়মিত ৮টি বেসরকারী নৌযানেরস্থলে দুটি ক্যটামেরন সহ কুড়িটি বেসরকারী নৌযানে অšতত ৫০ হাজার যাত্রী বরিশাল থেকে ঢাকায় গেছে গতকাল। এবারের ঈদের আগে-পড়ে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে অন্তত দশ লাখ মানুষ যাতায়াত করছে।
এর বাইরে রাষ্ট্রীয় বিআইডবিøউটিসি’র নিয়মিত রকেট স্টিমার সহ একটি বিশেষ নৌযানে আরো প্রায় ৪হাজার যাত্রী চাঁদপুর-ঢাকায় গেছে। যাত্রী স্রোতে গতকালও প্রতিটি বেসরকারী নৌযান ধারন ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুন যাত্রী বহনে বাধ্য হলেও বরিশালের প্রশাসন ক্যাটামেরন সার্ভিসের ‘গ্রীনলাইন-২’ নৌযানটিতে গতকাল দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী ভ্রমন করতে দেয়নি। ফলে ৭শ যাত্রী বহন ক্ষমতার নৌযানটি থেকে অনেক যাত্রী নেমে যেতে বাধ্য হলেও বেশ কিছু টিকেটধারী যাত্রী নৌযনটিতে উঠতেই পারেনি পুলিশ-প্রশাসনের তৎপড়তায়। ফলে গ্রীন লাইন-২ বরিশাল বন্দর ত্যাগের পরে বেশ কিছু আসন খালী পড়েছিল। ঐসব আসনের টিকেটধারী যাত্রীরা নৌযানটিতে আরোহন করতে পারেনি বলে জানা গেছে। এসব যাত্রীদের জন্য কোন বিকল্প ব্যবস্থাও করতে পারেনি বিআইডবিøউটিএ।
আগের তিন দিনের মত গতকালও বরিশাল নদী বন্দরে দুপুরের আগে থেকেই যাত্রীদের ভিড় ছিল লক্ষনীয়। আগের দিন সন্ধায় বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাওয়া নৌযানগুলো গতকাল সকালে ঢাকায় যাত্রী নামিয়ে দিয়ে বিকেলেই বরিশাল ফিওে আসে। ডবল ট্রিপে সন্ধার পরে ১৮টি নৌযান গতরাতে বরিশাল বন্দর ত্যাগ করে। তবে প্রতিটি নৌযানেই ছিল উপচে পড়া ভীড়। গত কয়েকটি ধরে টার্মিনাল ভবনেও পা ফেলার ঠাই নেই।
বরিশাল ছাড়াও পটুয়াখালী এবং ভোলা নদী বন্দর সহ বরগুনা, ঝালকাঠী সহ দক্ষিনাঞ্চলের সবকটি নদী বন্দর ও লঞ্চ স্টেশনগুলোতে এখনো কোন ঠাই নেই। আজ (রবিবার) সরকারী-বেসরকারী কর্মস্থলে যোগ দেয়ার লক্ষে গত কয়েকদিন ধরে নৌপথে ঢাকা ছাড়াও চাঁদপুর হয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে যাচ্ছে মানুষ। শ্রমজীবী ও কর্মজীবী হাজার হাজার মানুষ বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে কর্মস্থলে ফিরছে। বিআইডবিøউটিএ, পুলিশ ও প্রশাসন বরিশাল নদী বন্দরে যথেষ্ঠ সতর্ক থাকলেও যাত্রীদের এ শ্রোত সামাল দেয়া দুরুহ হয়ে পড়ে।  তবে নির্দিষ্ট আসনের ক্যাটামেরন ‘গ্রীন লাইন’এর ক্ষেত্রে প্রশাসন যথেষ্ঠ সফলতার পরিচয় দেয়।
ওয়াকিবাহাল মহলের মতে আগামী শনিবার পর্যন্তই বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও চট্টগ্রাম অঞ্চলের যাত্রী স্রোত অব্যাহত থাকবে। তবে এরই মধ্যে বিআইডবিøউটিসি আজ রোববার-এর পরে আর কোন বিশেষ স্টিমার সার্ভিস পরিচালনা করছে না।
সড়ক পথেও বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬টি জেলা থেকে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাচ্ছে প্রতিদিন। বিআরাটসি’র বরিশাল ও খুলনা বাস ডিপোর প্রায় ৭৫টি বাস দেশের বিভন্ন সড়ক পথে বিপুল সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করছে। আকাশ পথে বেসরকারী ইউএস-বাংলা নিয়মিত ও বিশেষ ফ্লাইটে বাড়তী ভাড়ায় বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন করলেও জাতীয় পতাকাবাহী বিমান কোন বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করছেনা  বরিশাল সেক্টরে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ