Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দিরাইয়ে ভিজিএফের চাল বিতরণ বন্ধ

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মধ্যে ভিজিএফের ৩০ বস্তা চাল বিতরণ না করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তাড়ল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে। শনিবার তদারকি কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা কৃষি উপ-সহকারি রনধীর চন্দ্র দাস সরেজমিন উপস্থিত হয়ে এর সত্যতা পান। এ ঘটনায় তাড়ল ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, তাড়ল ইউনিয়নের ৮নং ও ৯নং ওয়ার্ডের অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ লোকজনের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে ভিজিএফের ১৫ মেট্রিকটন ও ভিজিডির ৬ মেট্রিকটন ৩শ কেজি মোট ১৭০ বস্তা চাল উপজেলা খাদ্যগুদাম থেকে ২৮ জুন চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস ও ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুর রহমান গ্রহণ করে নোয়াগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মজুদ করেন। শনিবার এসব চাল বিতরণের কথা থাকলেও তা না করে বিতরণের আগেই ৩০ বস্তা চাল কালোবাজারে বিক্রি করে দেন বলে জানান ইউপি সদস্য মিলন মিয়াসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ট্যাগ অফিসার রনধীর চন্দ্র দাস। রনধীর চন্দ্র দাস জানান, আমি খবর পেয়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে যাই, গিয়ে দেখি ১৭০ বস্তা চালের মধ্যে ৮২ বস্তা চাল মজুদ আছে, ৫৮ বস্তা খালি পাই। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, নৌকায় লোড না মানার কারণে দিরাই বাজারের ব্যবসায়ি বাদলের দোকানে ৩০ বস্তা চাল রেখে যাই, আজ (শনিবার) এই চাল নেয়া হবে। আত্মসাতের বিষয়টি তিনি গুজব বলে উড়িয়ে দেন।
তাড়ল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুজ্জামান পাবেল বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসছে, প্রথমে চাল উদ্ধারে জোর দেয়া হচ্ছে, পরে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে চাল বিতরণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হচ্ছে, কিন্তু তাড়ল ইউনিয়নে শুরু থেকেই চেয়ারম্যান বিতর্কিত কর্মকান্ডে জড়াচ্ছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ