Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আনন্দ আর প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে কানাডা ডে উদযাপিত

ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ১৮৬৭ সালে মুক্তি লাভ করে দেশটি

| প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : এককালের ব্রিটিশ উপনিবেশ কানাডা ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। দিনটি উপলক্ষে গত শনিবার আনন্দে মেতে ওঠে কানাডার দশটি প্রদেশ এবং তিনটি টেরিটোরিসহ সমগ্র দেশ। তবে উদযাপনের আনন্দে বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। আর আনন্দের পাশাপাশি আবার দিনটিকে ইতিহাসের অর্ধসত্য আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদও হয় সেখানে। হাজার হাজার বছর ধরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আবাস হয়ে ওঠা কানাডা একসময় ফরাসি সাম্রাজ্যের উপনিবেশ ছিল। পরে তা চলে যায় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে। বেশ কিছু রক্তাক্ত যুদ্ধের স্মৃতি অতিক্রম করে ১৮৬৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তি অর্জন করে কানাডা। ১৮৬৮ সালে কানাডা কনফেডারেশনভুক্ত হয়। কানাডা নামে এই কনফেডারেশনটির যাত্রা শুরু হয় ১ জুলাই। এজন্যই দিনটিকে কানাডা ডে অর্থাৎ কানাডার জন্মদিন হিসেবে পালন করা শুরু হয়।
খবরে বলা হয়, ১৫০তম জন্ম বার্ষিকীতে উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে তিন কোটি ঊনষাট লাখ কানাডিয়ান। দেশের শহর-গ্রাম-প্রশাসনিক অঞ্চল সবখানে উদযাপনের রং। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নানান ধারার অনুষ্ঠান। আকর্ষণীয় আতশবাজি, মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা, চোখ ঝলসানো প্যারেড, আনন্দের নাচ-গান, হ্যাপি বার্থ ডে’র কেক কাটা, সৌহার্দ্যের বারবিউকিউ পার্টির ব্যাপক আয়োজন। দক্ষিণ মহাসাগর, অ্যাটলান্টিক এবং প্যাসিফিক এই তিন মহাসমুদ্রে পরিবেষ্টিত কানাডা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। অর্থাৎ ৯৯ লাখ ৭৬ হাজার ১শ’ ৮৬ বর্গকিলোমিটার। যার রাষ্ট্রীয় নাম- ডোমিনিয়ন অব কানাডা। কানাডায় ১০টি প্রভিন্স বা প্রদেশ এবং ৩টি টেরিটোরিস রয়েছে। আর জনসংখ্যা মাত্র ৩.৬৬ কোটি মাত্র। সবচেয়ে বড় আয়োজনটি করা হয় ওটোয়ায়। সেখানকার পার্লামেন্ট হিলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আশা ছিল, লাখো মানুষের সমাগম হবে সেখানে। তবে বাধ সাধে বৃষ্টি। তারপরও দূরদূরান্ত থেকে আসেন অনেকেই আয়োজনে শামিল হতে।
কানাডা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হলেও ব্রিটেনের সাথে ভিন্ন বন্ধন রয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতীকী প্রধান হচ্ছেন- ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ। তার অনুকূলে প্রতিনিধিত্ব করেন নির্বাচিত গভর্নর জেনারেল। অবশ্য রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রানির কোন নির্বাহী ক্ষমতা নেই। কানাডার জন্মকে ১৫০ বছরের ইতিহাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেখতে চান না কেউ কেউ। জন্মবার্ষিকীতে তারা নেমেছিলেন প্রতিবাদী উদযাপনে। তাদের বক্তব্য: হাজার হাজার বছর ধরে কানাডাকে আজকের জায়গায় এনেছে সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তাই ১৫০ বছরের মধ্যে দেশটির জন্মসীমা নির্ধারিত হলে, তা খন্ডিত ইতিহাস হয়। হয় অর্ধসত্য। জন্মবার্ষিকীর দিনটিকে তারা চান একটি সংলাপের দিন হিসেবে উদযাপন করতে। বহু সংস্কৃতির উদারভূমিকে করে তুলতে চান, আরও মানবিক আর দায়িত্বশীল। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিটিশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ