Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পৃথক স্থানে দুই শিশুসহ ধর্ষিত ৩

| প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক : দেশের তিন স্থানে দুই শিশু ও এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ও ধর্ষণের অভিযোগ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের ভেটখালী গ্রামে গত বৃহস্পতিবার বিকালে আনারুল ইসলামের শিশু কন্যা (৫)-কে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে একই গ্রামের মজিদ গাজীর বখাটে ছেলে জাহিদুল (২২)। মেয়েটির পিতা আনারুল ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে খেলা করতে বাড়ির বাইরে গেলে জাহিদুল আমার মেয়েকে তাদের বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পরে আমার মেয়ের সাথে থাকা একই বয়সের একটি মেয়ে জাহিদুল কেন এরকম করছে জানতে চাইলে আমার মেয়েকে ছেড়ে দেয়। পরে সে কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে আসার পর আমি তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে শারীরিক ভাবে ভীষণ জখম হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুর পিতা বলেন, আমি জাহিদুলের বিরুদ্ধে শ্যামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। শ্যামনগর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির শারীরিক ভাবে জখম হয়েছে তবে মেডিকেল পরীক্ষার পরে সবকিছুই বলা যাবে। এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার ওসি সৈয়দ মান্নান সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানাধিন ৪নং ইউনিয়নের ছরমাদীঘি এলাকায় এক শিশু ধর্ষিত হবার ঘটনা ঘটে। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয়। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে সোনাপাহাড় নূরানী মাদ্রাসার ৩য় শ্রেনীর ছাত্রী এই শিশুটি খালার বাড়ী বেড়াতে যাচ্ছিল। ছদরমা দীঘি এলাকার তিতা বটগাছতল এর নির্জন স্থানে একা পেয়ে বখাটে যুবক জাহেদুল ইসলাম (২০) তাকে জোরপূর্বক ঝোপের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন টের পেযে যুবককে ধাওয়া করলে যুবকটি পালিয়ে যায়। এদিকে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় উক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করলে পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর নিয়ে রাতেই রেরহাট বাজার থেকে মৃত ইদ্রিস আলী ছেলে ধর্ষক জাহেদকে আটক করে। জোরারগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল কবির জানায়, আমরা দ্রæত শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামস্থ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করি।
আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আদমদীঘি উপজেলার বাগিচাপাড়া গ্রামের এক দরিদ্র পিতার (১৭) বছর বয়সের কিশোরী মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ধর্ষকসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ ঘটনায় ওই রাতে অভিযান চালিয়ে মূল আসামি ধর্ষক জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া (৩০) কে তার ভাইএর ভাড়া বাসা বগুড়া থেকে ও শালিসদার আবুল কালাম (৩৭) কে বাগিচাপাড়া গ্রামের বাড়ী থেকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের বাগিচাপাড়া গ্রামের দরিদ্র বাবলু সরদারের মেয়ে ও একই গ্রামের ময়েজ সোনারের বখাটে ছেলে দুই সন্তানের জনক জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া ওই কিশোরী মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে ৪/৫ মাস যাবৎ তার সাথে সু সম্পর্ক করে। এর সুবাদে সে ভিকটিমের বাড়িতে প্রায় যাওয়া আসা করত। গত ১ জুলাই ধর্ষিতা কিশোরীর পিতা বাবলু সরদার এশার নামাজ পড়তে গেলে এ সুযোগে লম্পট জিয়াউর রহমান ওরফে জিয়া রাত ৯টার দিকে কিশোরীর বাড়িতে গিয়ে তার শয়ন ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে একটি মহল বিষয়টি শালিস বৈঠকের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। পরে বিষয়টি ভিকটিমের পিতা ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এসএম বেলাল হোসেনকে অবহিত করে বৃহস্পতিবার রাতে মূল আসামিসহ শালিসদার ১০ জনকে এজাহারভুক্ত ও অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ