Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মসুলে আইএস’র শেষ ঘাঁটি পুনরুদ্ধার ইরাকি বাহিনীর

প্রতিরোধ গড়ে তোলা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চলছে

| প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরের পুরনো অংশে আইএস’র শেষ ঘাঁটি পুনরুদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। এর মাধ্যমে দৃশ্যত দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুলে আইএসআইএল’র দখলদারিত্বের অবসান হলো। ইরাকি সেনাবাহিনীর জয়েন্ট অপারেশন্স কমান্ডের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া রাসূল বলেছেন, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে আইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদি যে এলাকায় দাঁড়িয়ে কথিত খেলাফতের ঘোষণা দিয়েছিলেন তার পুরোটাই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তিনি জানান, আইএস’র হাত থেকে গত শনিবার পুরান মসুলের নুজাইফি স্ট্রিটের পাশাপাশি আত-তুব ও আস-সাগা এলাকা পুনরুদ্ধার করে সেনাবাহিনী। এসব এলাকাকে এতদিন আইএসের শেষ ঘাঁটি বলে মনে করা হচ্ছিল। এদিকে ইরাকের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পশ্চিম মসুল থেকে পূর্ব মসুলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করার সময় ৩৫ জঙ্গিকে হত্যা করেছে সরকারি সেনারা। স্বেচ্ছাসেবী বাহিনীর সহায়তা নিয়ে ইরাকের সেনাবাহিনী ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে মসুল পুনরুদ্ধারের অভিযান শুরু করে। এর প্রায় ১০০ দিন পর গত ১৯ ফেব্রæয়ারি টাইগ্রিস নদী দিয়ে বিভক্ত শহরটির পূর্ব অংশ থেকে আইএসকে পুরোপুরি নির্মূল করা হয়। এরপর পশ্চিম মসুলের পুরনো অংশে শক্তভাবে গেড়ে বসে এই জঙ্গি গোষ্ঠী। এ কারণে মসুলের এই অংশ পুনরুদ্ধার করতে প্রায় পাঁচ মাস সময় লেগে যায়। এদিকে সেনা সদস্যরা সংঘাত এলাকা থেকে বেসামরিক নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। তবে ইরাকে জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয়কারি লিজি গ্রান্ডি বলেন, এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার সাধারণ নাগরিক মসুলের ওল্ড সিটিতে আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আটকা পড়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল পুনরুদ্ধারের দীর্ঘ অভিযানের শেষ পর্যায়ে আছে ইরাকি বাহিনী। বিবিসি জানিয়েছে, শহরটিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) অবশিষ্ট বিচ্ছিন্ন অবস্থানগুলোতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে ইরাকি সেনাবাহিনী। ইরাকের সরকারের পক্ষ থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক বিজয় ঘোষণা করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলার ছত্রছায়ায় গত বছরের ১৭ অক্টোবর থেকে শহরটি পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরু করে ইরাকি বাহিনী। ইরাকের সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলো দখল করে ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার দখলকৃত অংশে ‘খিলাফত’ ঘোষণার আগেই ২০১৪ সালের জুনে মসুল দখল করে নিয়েছিল আইএস। কিন্তু নয় মাস আগে ইরাকে আইএসের সবচেয়ে বড় শক্তিকেন্দ্রটির দিকে ইরাকি বাহিনী অগ্রসর হওয়ার পর থেকে জঙ্গিরা তাদের অবস্থান হারাতে শুরু করে। সিনহুয়া, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মসুল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ