Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কক্সবাজারের হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে চিকুনগুনিয়া জ্বরে আক্রান্ত রোগী

| প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার ব্যুরো : সারাদেশে ছড়িয়ে পড়া চিকুনগুনিয়া কক্সবাজারেও প্রভাব বিস্তার লাভ করেছে। দিনে দিনে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক মাসে জ্বর নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের শতকরা ২০ জন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, কক্সবাজারে গত এক মাস ধরে চিকুনগুনিয়ার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। জুন মাসে জ্বর নিয়ে প্রতিদিন গড়ে ১০ জন হাসপাতালে এসেছে বলেও জানা গেছে। এর মধ্যে অন্তত দুইজন চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত। সে হিসাবে শতকরা ২০ জন মানুষ চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে চিকিৎসকদের ধারণা। তবে আক্রান্তদের অভিযোগ, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসা পাচ্ছেন না তারা। চিকনুগুনিয়া শনাক্ত হলেই নাকি তাকে প্রাইভেট হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে অন্তত ৮০ শতাংশ রোগী প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
অভিযোগ সম্পর্কে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) শাহীন আবদুর রহমান বলেন, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের মূল চিকিৎসা হলো পরিচর্যা। জনবল সঙ্কটের মাঝেও সব ধরনের সেবা দিচ্ছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই চিকুনগুনিয়া আক্রান্তদের সেভাবে পরিচর্যা করা সম্ভব হয়ে উঠে না বলেই প্রাথমিক চিকিৎসার পর প্রাইভেটভাবে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
অভিজ্ঞজনদের মতে, রাজধানী ঢাকা থেকে চিকুনগুনিয়া সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। ঢাকা আসা-যাওয়ায় থাকা লোকজনের মাধ্যমে রোগটি কক্সবাজারে ছড়াচ্ছে। ঢাকায় চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহনকারী মশার কামড় খেয়ে কক্সবাজার আসা মানুষটির মাধ্যমে পর্যটন নগরীতে বিস্তার ঘটছে রোগটির। আবার অনেক পর্যটকের মাধ্যমেও এই ভাইরাসটি সমুদ্র শহরে আসছে বলে অভিমত স্বাস্থ্য অধিদফতর সংশ্লিষ্টদের। এভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. আবদুস ছালাম বলেন, চিকুনগুনিয়া নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সবসময় সজাগ রয়েছে। রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও। তার পরামর্শ মতে চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারে কাজ চলছে। পৌর শহরে মশা নিরোধে সব ধরনের উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস ছড়ানো মশা দিনের বেলা কামড়ায়। তাই দিনের বেলা ঘুমালে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে হবে। এছাড়া মশা যাতে জন্মাতে না পারে সেজন্য বাসার ভেতরে ও বাইরে পড়ে থাকা বালতি, ড্রাম, মাটির পাত্র, টিনের কৌটা, পরিত্যক্ত টায়ার, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত যানবাহন, নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত চৌবাচ্চা, পরিত্যক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবারের প্লাস্টিক বা মাটির পাত্র, ফ্রিজ বা এয়ারকুলারের নিচে এবং বাড়ির ছাদ বা মেঝের নিচু স্থানে তিনদিনের অতিরিক্ত জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশ বিস্তার করে থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ