Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না

বিএমএ’র সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা

| প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যুর আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রতি হাজার চিকুনগুনিয়া রোগীর মধ্যে এক জনের এ রোগে মৃত্যু হতে পারে। বিশ্বব্যাপি এ রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। তাই বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা হয়ে থাকে। তবে এ রোগের চিকিৎসায় আর সচেতনা হওয়া প্রয়োজন।
এডিস মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাস সংক্রমণ জ্বর নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন-বিএমএ বৈজ্ঞানিক সেমিনারের বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ বিএমএ ভবনের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন সভাকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএমএ মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চিকুনগুনিয়া মহামারি পর্যায়ে পৌচ্ছায়নি। এটা নিয়ে এতো ফলাও করে প্রচারের কিছু নেই। এ রোগে কারও মৃত্যু হয়েছে এমন তথ্য আমার জানা নেই। তিনি বলেন, অসুস্থদের মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর মশা মারার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের নয়।
সেমিনারে বিষয়ের উপর বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসএমএমইউ’র প্রো-ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এবছর পর্যাপ্ত পরিমান বৃষ্টি হওয়ায় নির্মানাধীন বাড়িতে, বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করছে। সচেতনতার সঙ্গে এসব পানি পরিস্কার করতে হবে। তিনি এ রোগের হাত থেকে মুক্তি পেতে সবাইকে মশারি ব্যবহারে পরামর্শ দেন।
খ্যাতিমান রিউমাটোলজিষ্ট ও বাংলাদেশ মেডিক্যাল জার্নালের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি প্রফেসর ডা. সৈয়দ আতিকুল হক তার বক্তব্যে বলেন, চিকিুনগুনিয়ায় মৃত্যুর আশংকা উড়িয়ে দেয়া যায় না। প্রতি হাজার চিকুনগুনিয়া রোগীর মধ্যে এক জনের এরাগে মৃত্যু হতে পারে। বিশ্বব্যাপি এ রোগের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। তাই বিভিন্ন চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। এ রোগের চিকিৎসায় তিনি চিকিৎসকদের আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের ডিন প্রপেসর ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, চিকুনগুনিয়া আক্রান্তের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ ভাল হয়ে যায়। তবে কারও কারও শরীরে র‌্যাশ বা ব্যাথা দীর্ঘ দিন থাকতে পারে। তাই বলে দিনের পর দিন ব্যাথার ওষুধ বা প্যারাসিটামল খাওয়া যাবে না। চিকুনগুনিয়ায় কারও কারও কিডনি বা লিভারে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে পরবর্তী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। তিনি রোগী চিকিৎসকদের এ রোগ নির্ণয়ে অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করার আহবান জানান।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রন) ডা. সানিয়া তাহমিনা ঝোরা, আইইডিসিআর’র প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মাহাম্মদ মুশতাক হোসেন, বিএসএমএমইউ’র মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ তানভীর ইসলাম ও ডা. মো. আবু শাহীন। এছাড়া সেমিনারে বিএমএ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ