Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে পাচারকালে আরও ১৩ টন চাল উদ্ধার

প্রণয়ন চাকমা কারাগারে ২টি তদন্ত কমিটি

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সরকারি চাল পাচারের ঘটনায় সিএসডি গোডাউনের ম্যানেজার প্রণয়ন চাকমাকে গতকাল (বুধবার) সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। বদলি করা হয়েছে অভিযুক্ত সহকারী ম্যানেজার ফখরুল আলমকে। এ ঘটনায় খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ্এদিকে গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর আকবর শাহ থানা এলাকার বাগান বাড়ি থেকে আর সাড়ে ১৩ মেট্রিক টন চাল উদ্ধার করা হয়েছে। পরিত্যক্ত একটি ট্রাক বোঝাই এসব চাল উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে এ ট্রাকটি সিএসডি গোডাউন থেকে পাচার হওয়া চালের অংশ। এদিকে প্রণয়ন চাকমাসহ ৫ আসামীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হালিশহর থানার সেকেন্ড অফিসার রাজীব শর্মা ইনকিলাবকে বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করেন। নগরীর হালিশহর সিএসডি গোডাউন থেকে পাচারকালে ৩ হাজার ৯৬ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় গোডাউন ম্যানেজার প্রণয়ন চাকমা, সহকারী ম্যানেজার ফখরুল আলমসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয় হালিশহর থানায়। র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের নায়েক সুবেদার জহির উদ্দিন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাতে মামলাটি দায়ের করেন।
সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত টানা অভিযানে সাতটি ট্রাক বোঝাই ১৫৫ মেট্রিক টন চাল আটক করে র‌্যাব। সিএসডি গোডাউন থেকে খাদ্য বিভাগের এসব চাল পাচার হচ্ছিল। র‌্যাবের পক্ষ থেকে পাচারকারী হিসেবে গোডাউন ম্যানেজার প্রণয়ন চাকমা ও সহকারী ম্যানেজার ফখরুল আলমকে অভিযুক্ত করা হয়। ফখরুল আলমকে মামলায় আসামীও করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তারা বলছেন, তাকে ধরতে অভিযান চলছে। তবে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রণয়ন চাকমাকে সাসপেন্ড করা হলেও আকবর হোসেনকে গতকাল কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। ঘটনা তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জহিরুল ইসলামকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গতকালই প্রাথমিক রিপোর্ট দিয়েছে। জহিরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে সিএসডি গোডাউনে মজুদ চাল অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তাহলে ৩ হাজার ৯৬ বস্তা চাল কোথা থেকে আসলো- এর উত্তর খুঁজতে অধিকতর তদন্ত প্রয়োজন বলে জানান তিনি। খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, গুদামে হিসাবের বাইরে অতিরিক্ত চাল রাখা হয়। আর তা সময় সুযোগমতো বাজারজাত করে খাদ্য বিভাগের একশ্রেণির কর্মকর্তা। আর এ কারণে ৭ বস্তা চাল পাচার হওয়ার পরও গুদামের মজুদ অক্ষত রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। মজুদের বাইরে গুদামে এত বিপুল সংখ্যক চালের বস্তা কিভাবে ছিল তা তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের অনেকে। জানা গেছে, পুরো বিষয়টি তদন্ত করতে ডিজি অফিস থেকে আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চট্টগ্রাম

৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ